|
|
|
|
আরজেডি-র সঙ্গে দ্বন্দ্ব, বিকল্প খুজছেন পাসোয়ান
স্বপন সরকার • পটনা
২৪ ডিসেম্বর |
আরজেডি এবং এলজেপির মধ্যে আসন ভাগাভাগি নিয়ে ক্রমেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হচ্ছে বিহারে। পরিস্থিতি এমনই দাঁড়িয়েছে যে প্রয়োজনে লালুকে ছেড়ে নীতীশের সঙ্গে হাত মেলানোর কথাও ভাবতে শুরু করেছে রামবিলাস পাসোয়ানের দলিত পার্টি—এলজেপি।
এলজেপি প্রধান রামবিলাস খানিকটা আগ বাড়িয়েই জানিয়েছিলেন, আরজেডির সঙ্গে তারা আসন সমঝোতায় যাবেন। লালুপ্রসাদ জেলে যাওয়ার পরে রামবিলাস লালু-পত্নী রাবড়ী দেবীর সঙ্গেও দেখা করে তাঁর সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে যান। পরে তিনি রাঁচির জেলে লালুপ্রসাদের সঙ্গে দেখাও করেন। এমন এক আবহের মধ্যে ছন্দপতন ঘটে লোকসভায় আরজেডির নেতা রঘুবংশ প্রসাদ সিংহের বিবৃতিতে। এরপরেই এলজেপি-র পক্ষ থেকেও পাল্টা বিবৃতি দিয়ে পরোক্ষে আজ দ্বিতীয় বিকল্প সন্ধানের ইঙ্গিত দেওয়া হল।
কী এমন বিকল্প তা নিয়ে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অভিমত, দুই দলের বিরোধের পিছনে জেডিইউ-এর হাত আছে। অতি পিছিয়ে পড়া জাতি হিসেবে পাসোয়ানদের ভোট পেতেই এই পরিকল্পনা বলে মনে করা হচ্ছে। এমনিতে নীতীশ কুমারের এ বার উচ্চবর্ণের ভোট পাওয়ার সম্ভাবনা কম। যার অনেকটাই যাবে বিজেপির ঝুলিতে। ফলে নীতীশ চাইছেন, দলিত, মহাদলিত, সংখ্যালঘুদের বেশির ভাগ ভোটকে এককাট্টা করতে। জেডিইউয়ের হিসেব পাসোয়ানদের যদি আরজেডি থেকে বিচ্ছিন্ন করা যায় তা হলে দলিত ভোটের বেশিরভাগই আসবে তাদের দখলে। এলজেপিকে কিছু আসন ছেড়ে সেই সম্ভাবনাকে আরও নিশ্চিত করা যেতে পারে।
আরজেডির রঘুবংশ প্রসাদ আজ আবার জানিয়েছেন, “কে কোন দলের সঙ্গে জোটে যাবে সেটা তাদের ব্যাপার। তবে শুধু মাত্র আসনের সংখ্যা দিয়ে আসন ভাগাভাগি করা যাবে না। জানাতে হবে কোন আসনের জন্য কারা প্রার্থী হবেন। সেই বুঝে দেখতে হবে সংশ্লিষ্ট দলের ওই প্রার্থী সেখান থেকে জিতে আসার ক্ষমতা রাখে কী না।” একই সঙ্গে তাঁর বক্তব্য, “গত বার পাসোয়ানদের ১২টি আসন দিয়ে ভুল হয়েছিল। কারণ তারা একটি আসনেও জিততে পারেননি। এমনকী খোদ রামবিলাস পাসোয়ানও হাজিপুর থেকে হেরে যান।” গত লোকসভা ভোটে এলজেপি ১২টি আসনে লড়ে একটি আসনেও না জিততে পারেনি। পাশাপাশি, আরজেডি জিতেছিল ২৮টির মধ্যে ৪টি আসনে। রঘুবংশের কথার জের টেনে আজ এলজেপি-র পক্ষ থেকে রাজ্য সভাপতি পশুপতি পারস বলেন, “আমাদের দলের কারা প্রার্থী হবেন তা ঠিক করার আরজেডি কে? আমরা জোটের পক্ষে সব সময় থেকেছি। কিন্তু যে ভাবে আরজেডির পক্ষ থেকে নানা মন্তব্য করা হচ্ছে তা জোটের পরিপন্থী।”
বিকল্প হিসেবে কী করা হতে পারে তা জানিয়ে এই নেতা বলেন, “দলের সংসদীয় বোর্ড এবং রামবিলাস পাসোয়ান চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। ওরা যদি ৪টি আসন দিতে চায় তা আমরা কোনও ভাবেই মানব না। জোটের জন্য বিকল্প সন্ধান করব।” বিকল্প কী জেডিইউ? প্রশ্নটি উড়িয়ে দেয়নি এলজেপি। দলের নেতাদের জবাব, “হতেই পারে। দেখা যাক কী হয়।” |
|
|
 |
|
|