|
|
|
|
ভোট টানতে মোদীর নামে টাকা তুলতে চায় বিজেপি
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি
২৪ ডিসেম্বর |
একার ক্ষমতায় লোকসভায় যতটা সম্ভব আসন টানার দাওয়াই আজ বিজেপি নেতাদের বাতলে দিলেন নরেন্দ্র মোদী। ঘরে ঘরে গিয়ে মোদীর নামে অর্থ সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল। এ ভাবেই মানুষকে মোদীর সঙ্গে একাত্ম করতে চাইছে তারা।
প্রকাশ্যে অবশ্য মোদী অনেক দিন ধরেই ২৭২টি আসনের বেশি আসন পাওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এগোনোর কথা বলছেন। আজ দিল্লিতে বিজেপির সব শীর্ষ নেতা, বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও সব রাজ্যের পদাধিকারীদের নিয়ে দিনভর বৈঠক করেন মোদী। সেখানে তিনি জানান, লোকসভা নির্বাচনে ২৭২টির বেশি আসন পাওয়া আদৌ অসম্ভব নয়। এমনিতেই বিজেপির কাছে ১০০টির বেশি আসন রয়েছে। আরও ১০০টির মতো আসন এমন রয়েছে, যেখানে বিজেপি এক লাখের কম ভোটে হেরেছে। গত পাঁচ বছরে তরুণ প্রজন্মের ১২ কোটি ভোটার তালিকায় যুক্ত হয়েছে। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে মোদীর গ্রহণযোগ্যতাও রয়েছে। যদি বুথ স্তরে কর্মীরা গিয়ে এই সব ভোটারকে উদ্দীপিত করতে পারে, তা হলে অনায়াসেই বিজেপি ২৭২টির বেশি আসন দখল করতে পারে।
এই লক্ষ্যে এগোনোর জন্য মোদীর দাওয়াই মূলত দুটি। এক, গোটা জানুয়ারি মাসে বুথে বুথে গিয়ে নতুন ভোটারদের খুঁজে বের করে তাঁদের নাম ভোটার তালিকায় নথিভুক্ত করা। তাঁদের বিজেপি মুখী করতে ওই ভোটারদের সংবর্ধনাও দিতে হবে। দুই, কর্মীদের সঙ্গে ভোটারদের নিয়মিত যোগাযোগ বাড়াতে হবে। এই প্রক্রিয়া সুনিশ্চিত করার জন্য মোদী আজ থেকে এক অভিনব কর্মসূচির আয়োজন করেছেন। যার নাম ভোট ও নোট। অর্থাৎ, ঘরে ঘরে গিয়ে প্রতি পরিবারের কাছ থেকে কমপক্ষে দশ টাকা ও সর্বোচ্চ এক হাজার টাকা সংগ্রহ করতে হবে। এর উদ্দেশ্য বহুবিধ। এক দিকে দলের তহবিল তৈরি হবে। কিন্তু তার থেকেও বড় কথা, এই অর্থ চাওয়া হবে মোদীকে প্রধানমন্ত্রী বানানোর জন্য। ‘মোদী ফর পিএম’ স্লোগান নিয়ে এই অর্থ চাওয়া হবে। যিনি অনুদান দেবেন, তাঁর মনেও মোদীর প্রতি আকর্ষণ তৈরি হবে। একই সঙ্গে প্রতিটি ঘরে ঘরে যেতেও বাধ্য হবেন দলের কর্মীরা।
এক সময় জনসঙ্ঘ এ ভাবে ‘ঘর ঘর যাও’ অভিযান করত। এখন মোদীও সেই কৌশল গ্রহণ করলেন। দলের নেতারা জানাচ্ছেন, কংগ্রেস ও আঞ্চলিক দলগুলির তো আছেই। তার উপরে দিল্লিতে আম আদমি পার্টির যে উত্থান হয়েছে, সেটিও ভাবাচ্ছে বিজেপিকে। কারণ, কংগ্রেস সরকারের প্রতি মানুষের ক্ষোভকে পুঁজি করেই অরবিন্দ কেজরিওয়ালদের উত্থান ঘটেছে। লোকসভায় সেই পরিসরটি গোটা দেশে দখল করতে চান মোদী।
বিজেপির এক নেতার মতে, আর যা-ই হোক, আম আদমি পার্টির সেই ক্যাডার নেই, যার ভিত্তিতে গোটা দেশে তারা প্রভাব ফেলতে পারে। কিন্তু বিজেপির তো তা আছে। আর মোদীর প্রতি মানুষের আকর্ষণও রয়েছে। দরকার মোদীর নামে মানুষকে একাত্ম করা। শুধু গুজরাতই নয়, যে ভাবে সম্প্রতি শিবরাজ সিংহ চৌহান, রমন সিংহ, বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়ারা জিতে এসেছেন, তাঁদের মডেলও তুলে ধরতে হবে।
আগামিকাল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর জন্মদিন। বাজপেয়ীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েই দিল্লি ছাড়বেন মোদী। স্থির হয়েছে, ২৫ ডিসেম্বর বাজপেয়ীর জন্মদিনটিকে ‘সুশাসন দিবস’ হিসাবে তুলে ধরা হবে। |
|
|
|
|
|