বধূকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগে স্বামী ও দেওরকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনাটি রামপুরহাট পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের। পুলিশ জানায়, মৃতার নাম সুচিত্রা মণ্ডল (৩৩)। ২০০৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি দখলবাটি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা সুচিত্রাদেবীর সঙ্গে বিয়ে হয় রামপুরহাট হাইস্কুলের শিক্ষক নির্মল মণ্ডলের। বিয়ের পর থেকেই অতিরিক্ত টাকা চেয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা সুচিত্রাদেবীর উপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করত বলে অভিযোগ। শনিবার ওই বধূকে অগ্নিদ্বগ্ধ অবস্থায় রামপুরহাট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে জানিয়ে দেন। স্বামী, দেওর, শ্বশুর, শাশুড়ির বিরুদ্ধে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ দায়ের হয়। রবিবার সকালে এই অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। রামপুরহাট থানার আইসি সুবীর বাগ বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে বধূটির স্বামী ও দেওর মধু মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শ্বশুর ও শাশুড়ি পলাতক। তাঁদের খোঁজ চলছে।” মধুকে সোমবার রামপুরহাট আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিন জেলহাজতে রাখার নির্দেশ দেন। এ দিকে, পুলিশি পাহারায় রামপুরহাট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন নির্মল মণ্ডল। তাঁর দাবি, “আমি সিউড়িতে শিক্ষকতা করতাম। স্ত্রী ও মেয়ের জন্য এক বছর হল রামপুরহাট হাইস্কুলে বদলি হয়ে এসেছি। শনিবার বিকেলে বাড়ির আসবাবপত্র কেনা নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে কথা ঝগড়া হয়েছিল। পরে আমি ছাদ থেকে শুকনো কাপড় নিয়ে নীচে নামতেই দেখি, বাড়ির মেঝেতে দাঁড়িয়ে দাউ দাউ করে জ্বলছে সুচিত্রা। আগুন নেভানোর চেষ্টা করি। ততক্ষনে ওর শরীরের বেশির ভাগ অংশ পুড়ে গিয়েছে। আমিও জখম হয়েছি।” |