এমনিতেই রাস্তার অবস্থা বেহাল। তার জন্য ব্যবসা মার খাচ্ছে যথেষ্টই। তার উপর জুড়ে বসেছে লো-ভোল্টেজ। সবে মিলিয়ে সমস্যায় জেরবার শালবাদরা পাথর শিল্পাঞ্চলের পাথর ব্যবসায়ীরা। তাঁদের দাবি, ক্রাশার চালু করার সময় বিদ্যুৎ দফতরে ৬-১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জমা দিয়ে বিদুৎ সংযোগ নিতে হয়েছিল। অথচ এখন বিদ্যুৎ পরিষেবা ঠিকমতো না মেলায় ব্যবসায়ীদের বেশিরভাগ সময় জেনারেটর দিয়েই ইউনিট চালু রাখতে হচ্ছে। যার জেরে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ওই ব্যবসায়ীরা।
শালবাদরা পাথর ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি শক্তি চক্রবর্তী, সম্পাদক বরুণ রায়দের অভিযোগ, “শুধু বিদ্যুৎই নয়, এলাকায় রাস্তার হালও ভয়ানক খারাপ। তার জেরে শিল্পাঞ্চলে পাথর বোঝাই করতে এসে লরি চালকদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। অনেকেই এদিকে আসতে চায়ছেন না। ব্যবসা মার খাচ্ছে। অথচ রাজ্য সরকারের ঘরে এই শিল্পাঞ্চল থেকে সারা বছরে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব জমা পড়ছে। কিন্তু বিদ্যুৎই হোক কিংবা রাস্তা প্রয়োজনীয় পরিষেবা মিলছে না। সব ক্ষেত্রেই শালবাদরা পাথর শিল্পাঞ্চলকে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে।” তাঁদের দাবি, প্রশাসনকে বারবার জানিয়েও আশ্বাস ছাড়া কিছুই মিলছে না।
সমিতির সদস্য শাহিদ শেখ, হাজি শোহরাবরা জানাচ্ছেন, লো-ভাল্টেজের চোটে বেশির ভাগ সময়ই ক্রাশারের ইউনিট চালু রাখা যাচ্ছে না। ফলে চড়া দামে ডিজেল দিয়ে জেনারেটর দিয়ে ইউনিট চালাতে হচ্ছে। কিন্তু বিদ্যুৎ চালিত ইউনিট থেকে যে উৎপাদন হয়, তা জেনারেটরে হয় না। এ ছাড়া ডিজেলের খরচ বেশি হওয়ায় অন্যান্য পাথর শিল্পাঞ্চলের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পাথর বিক্রির ক্ষেত্রে ব্যাঘাত ঘটে। সব মিলিয়ে মার খাচ্ছে গোটা শালবাদরা পাথর শিল্পাঞ্চলই। যার প্রভাব পড়ছে ওই শিল্পাঞ্চলের উপর নির্ভরশীল বিভিন্ন পেশার সঙ্গে মানুষজনও। বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির মল্লারপুর গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রের সহকারি বাস্তুকার সন্দীপ মণ্ডলের দাবি, “ওই এলাকায় আলাদা ফিডার লাইনের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর জন্য এলাকার মাঠে বৈদ্যুতিন খুঁটিও রাখা আছে। মাঠে ধান থাকার জন্য এখনও খুঁটি বসানোর কাজ শুরু করা যায়নি। আশা করছি খুব শীঘ্রই আমরা ওই এলাকায় নতুন ফিডার লাইন বসানোর কাজ শেষ করতে পারব। তা হলেই লো-ভোল্টেজের সমস্যা মিটবে।” পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির রামপুরহাট বিভাগীয় বাস্তুকার অসিতকুমার শ্যামল বলেন, “সদ্য দায়িত্ব এসেছি। কোথায় কী সমস্যা আছে, খোঁজ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেব।” |