আদিবাসী নৃত্য, রাবণকাটা মুখোশ নৃত্য থেকে টুসু ভাসানের চৌদল। কী নেই। বাঁকুড়ার পুরো লোকসংস্কৃতিই উঠে এলো ২৬-তম বিষ্ণুপুর মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের এক কিলোমিটার দীর্ঘ শোভাযাত্রায়। শহরের বিষ্ণুপুর হাইস্কুল ও কেজি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের মাঠে সোমবার শুরু হল পাঁচ দিনের বিষ্ণুপুর মেলা। মেলা কমিটির সভাপতি তথা রাজ্যের শিশু কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়-সহ উপস্থিত ছিলেন রাজ্য মন্ত্রীসভার ৬ জন সদস্য। এ বারের মেলায় জেলার হস্ত ও কুটির শিল্পীরা ১৮৮টি স্টলে নিজেদের পসরা সাজিয়েছেন, তেমনই রাজ্যের অন্য জেলার শিল্পীরাও বিভিন্ন স্টলে মেলে ধরেছেন নিজেদের শিল্প-সামগ্রী। বিষ্ণুপুরের ধ্রুপদ, জেলার ভাদু, টুসু, ঝুমুর, বাউল গানের সঙ্গে একই মঞ্চে শোনা যাবে কলকাতা-সহ রাজ্যের অন্যান্য জেলার লোকশিল্পীদের গানও। |
বিষ্ণুপুর মেলা এখন জাতীয় মেলার চরিত্র অর্জন করেছে বলে দাবি মেলা কমিটির সম্পাদক তথা বিষ্ণুপুরের মহকুমাশাসক পলাশ সেনগুপ্ত। মহকুমাশাসক বলেন, “এ বার মেলায় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, পর্যটন, তথ্য ও সংস্কৃতি, কৃষি, শিশুকল্যাণ, প্রাণী সম্পদ, স্বাস্থ্য বিভাগ-সহ রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের বেশ কয়েকটি দফতর রয়েছে।” উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী বলেন, “এই মেলার মধ্যেই ২৫, ২৬, ২৭ ডিসেম্বর পর্যটন দফতরের বিষ্ণুপুর উৎসবও চলবে। ফলে মেলা আরও জমাটি হয়ে উঠবে।” |