হাসনাবাদে শুরু হল ‘সুন্দরবন কাপ’। রবিবার জেলা পুলিশের উদ্যোগে হাসনাবাদ স্পোর্টিং অ্যাসোসিয়েশনের মাঠে এই কাপের উদ্বোধন করেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাধিপতি রহিমা মণ্ডল, পুলিশ সুপার তন্ময় রায়চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, বসিরহাটের এসডিপিও অভিজিত বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বার সন্দেশখালি, হাড়োয়া, মিনাখাঁ, হাসনাবাদ, হিঙ্গলগঞ্জ এবং হেমনগর এই ছ’টি থানা থেকে ৯টি মহিলা এবং ১০৮টি পুরুষ দল এই প্রতিযোগিতায় যোগ দিচ্ছে। থানা চ্যাম্পিয়নের পর জেলা চ্যাম্পিয়নের জন্য ফাইনাল খেলাটি হবে হাসনাবাদের টাকি এরিয়ান্স ক্লাবের মাঠে। গত বছরের মত এবারেও অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দলকে ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। এ দিন হাসনাবাদের বালিয়াডাঙা তরুণ সঙ্ঘ এবং চকপাটলি ফুটবল ক্লাবের মধ্যে খেলাটি সূচনা করেন পুলিশ সুপার। খেলায় ১-০ গোলে জয়ী হয় চকপাটলি ফুটবল ক্লাব। এ দিনের উদ্বোধনে এসে স্থানীয় ৫টি ক্লাবকে ১ লাখ টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন জ্যোতিপ্রিয়বাবু।
|
বোমা মেরে গুলি করে কুপিয়ে খুন করা হল মথুরাপুরের লালপুর পঞ্চায়েতের প্রাক্তন কংগ্রেস উপপ্রধানকে। তাঁর নাম আলাউদ্দিন মোল্লা (৬৭)। বাড়ি শিবগঞ্জ লালপুর গ্রামে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার প্রবীণ ত্রিপাঠী বলেন, “এখনও কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, পারিবারিক বিবাদেই এই খুন।” পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, সোমবার বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ লালপুর বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়েছিলেন আলাউদ্দিন। সেই সময়ে কয়েক জন দুষ্কৃতী তাঁকে সামনে থেকে গুলি করে। তাঁর বুকে, পেটে গুলি লাগে। তাঁর গায়ে বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। এর পরে তাঁকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। মথুরাপুর থানার পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে। প্রত্যক্ষদর্শী করিম মোল্লা, রহিম গাজি বলেন, “আমরা চায়ের দোকানে বসেছিলাম। হঠাৎ বোমা-গুলির শব্দ পেয়ে দেখি মাটিতে চিৎ হয়ে পড়ে রয়েছে আলাউদ্দিনের দেহ। কয়েকজন রায়দিঘি আর কয়েকজন লালপুরের দিকে পালাচ্ছে।” আলাউদ্দিনের স্ত্রী অপর্ণা নস্কর (মোল্লা) বলেন, “স্বামীকে একাধিকবার খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। পুলিশকে জানিয়েওছিলাম।” |