|
|
|
|
বাম সাংসদকে কালো পতাকা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
সিপিআই সাংসদ প্রবোধ পাণ্ডার সভায় কালো পতাকা দেখিয়ে বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূল সমর্থকেরা। সোমবার বেলদার গাঁধী পার্কে সিপিআইয়ের কৃষক সংগঠন সারা ভারত কৃষক সভার অবস্থান চলাকালীন কয়েকজন যুবক কালো পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ দেখান। অভিযোগ, তাঁদের কয়েকজনের হাতে তৃণমূলের পতাকাও ছিল। সভায় উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক অরুণ মহাপাত্র, সংগঠনের জেলা সম্পাদক বিমল ভট্টাচার্য প্রমুখ।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, বীজধানের দাম বৃদ্ধি, ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের সরকারি সাহায্য দেওয়ার মতো দাবি নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই বিভিন্ন ব্লকে অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করছে সিপিআইয়ের কৃষক সংগঠন। এ দিন দুপুর ২টোয় বেলদায় সভা শুরু হয়। সভা শুরুর কিছুক্ষণ পরেই প্রবোধবাবু উপস্থিত হন। বিমলবাবু সভায় বক্তব্য শুরু করলে মঞ্চের পাশেই পার্কের বাইরে থেকে তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তৃণমূলের কয়েকজন যুবক। তাঁদের হাতে তৃণমূলের পতাকাও ছিল বলে অভিযোগ। প্রবাধবাবুকে তাঁরা কালো পতাকা দেখান। বেলদাকে পুরসভা না করা, সারা বছর এলাকায় সাংসদের না আসা নিয়ে স্লোগানও দিতে থাকেন তাঁরা। |
|
কালো পতাকা নিয়ে তৃণমূলের বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র। |
প্রবোধবাবু বক্তব্য রাখার সময়েও স্লোগান ওঠে। সভা শেষে পুলিশি ঘেরাটোপে সাংসদ-সহ সভায় উপস্থিত নেতাদের বে র করে নিয়ে যাওয়া হয়। বিমলবাবু বলেন, “আমরা পুলিশের অনুমতি নিয়েই সভার আয়োজন করেছিলাম। কিন্তু তৃণমূলের একটি গোষ্ঠীর কিছু যুবক বিক্ষোভ দেখিয়ে আমাদের কর্মসূচি বানচাল করার চেষ্টা করলেও তা পারেনি।” প্রবোধবাবু বলেন, “তৃণমূলের কিছু ঝাণ্ডাধারী যুবক হাতে কালো পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। ওঁরা প্ররোচনা দিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করতে চাইলেও আমরা সেই প্ররোচনায় পা দিইনি।” তিনি আরও বলেন, “বেলদা পুরসভা কেন হল না, তা রাজ্য সরকার বলতে পারবে।”
যদিও তৃণমূল জেলা পরিষদ কর্মাধ্যক্ষ সূর্য অট্ট বলেন, “সাধারণ মানুষ নির্বাচনের সময় এই সাংসদ-বিধায়কদের মুখ দেখেন। এলাকায় সারা বছর কোনও কাজে তাঁদের পাওয়া যায় না। অথচ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কৃষির উন্নয়নে গতি এনেছে। সেখানে সিপিআইয়ের কৃষক সংগঠন হঠাৎ করে বেলদায় কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে চাইছে। তাই দেখে সাধারণ মানুষ বিক্ষোভ দেখিয়েছে।” |
|
|
|
|
|