|
|
|
|
কলাইকুণ্ডায় পরিচারিকা ধর্ষণে জেল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
খড়্গপুরের কলাইকুণ্ডা বিমানঘাঁটির আবাসনে এক পরিচারিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ অভিযোগ উঠেছিল গত বছর। সেই ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে ১০ বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল আদালত। সোমবার এই রায় শুনিয়েছেন মেদিনীপুরের দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক বুলি দাস। সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানাও ধার্য করা হয়েছে। আগেই ওই যুবককে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। এ দিন ছিল রায় ঘোষণা। রায় শোনার পরে আদালত চত্বরেই সাজাপ্রাপ্ত যুবকের স্ত্রী কান্নায় ভেঙে পড়েন। অন্য দিকে, ধর্ষিতা বধূর স্বামী বলেন, “সুবিচার মিলেছে। অভিযুক্তদের উচিত সাজা হয়েছে। আদালতের রায়ে আমি খুশি। বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থা বাড়ল।”
পুলিশ সূত্রে খবর, ২০১২ সালের ৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে কলাইকুণ্ডা বিমানঘাঁটি চত্বরে ঘটনাটি ঘটে। পাশাপাশি দুই আধিকারিকের আবাসনে থাকতেন অভিযুক্ত যুবক এবং ওই মহিলা। দু’জন পরিচারক-পরিচারিকার কাজ করতেন। ওই দিন দুপুর দেড়টা নাগাদ সার্ভেন্ট কোয়ার্টারের শৌচাগারে ওই পরিচারিকাকে বিশ্বরূপ দাস নামে পরিচারক ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। দুপুরে ওই পরিচারিকা যখন স্নান করতে ঢুকেছিলেন, তখন বিশ্বরূপও শৌচাগারে ঢুকে পড়ে। তার হাতে ছুরি ছিল। সে ছুরি নিয়ে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। পরে প্রমাণ লোপাটেরও চেষ্টা করে অভিযুক্ত। ঘটনার সময় পরিচারিকার স্বামী কোয়ার্টারে ছিলেন না। পরে স্ত্রীর কাছ থেকে সব শোনেন। ধর্ষিতা মহিলা খড়্গপুর লোকাল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
কলাইকুণ্ডা এয়ারফোর্স ক্যাম্পাস খড়্গপুর লোকাল থানা এলাকার অন্তর্গত। লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ ধর্ষণের মামলা রুজু করে। গ্রেফতার হয় বিশ্বরূপ। তার বাড়ি খড়্গপুর লোকাল থানার কাদুয়া গ্রামে। ছুরিটিও উদ্ধার হয়। এরপর একে একে চার্জশিট পেশ, চার্জগঠন, সাক্ষ্যগ্রহণ হয়। মামলাটি চলছিল মেদিনীপুরের দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক বুলি দাসের এজলাসে। সরকারপক্ষের আইনজীবী শক্তিপদ দাস অধিকারী জানান, এই মামলায় সব মিলিয়ে ১২ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। ২১ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত যুবককে দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক। সোমবার সাজা ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। দুপুরে ধৃতকে দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারকের এজলাসে হাজির করানো হয়। অভিযুক্ত অবশ্য দাবি করেন, তিনি নির্দোষ। এরপর বিচারক সাজা শোনান।
রায় শোনার পর ধর্ষিতার স্বামী বলছিলেন, “আমার স্ত্রীর সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে, তা জঘন্যতম অপরাধ। এমন ঘটনা যারাই ঘটাবে, তাদেরই দৃষ্টান্তমূলক সাজা হওয়া উচিত।” সরকারপক্ষের আইনজীবী শক্তিপদ দাস অধিকারীর বক্তব্য, “ওই যুবক প্রমাণ লোপাটেরও চেষ্টা করেছিলেন। আদালতে তা-ও জানিয়েছি। আগে ওই যুবককে দোষী সাব্যস্ত করেছিল আদালত। সোমবার রায় ঘোষণা করা হয়। আদালতের রায়ে ওই মহিলার পরিবারের সকলেই খুশি।” |
|
|
|
|
|