|
|
|
|
উত্তর ভারতে ঠান্ডার বলি ৬ |
নিজস্ব প্রতিবেদন
২৩ ডিসেম্বর |
চিলাই কালানের প্রথম দিন অর্থাৎ শনিবারই কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছিল তুষারপাত। রবিবার বন্ধ থাকলেও সোমবার থেকে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় ফের শুরু হল তুষারপাত। ফলে বিপর্যস্ত জনজীবন। তুষারপাতের ফলে শ্রীনগর-জম্মু জাতীয় সড়কে বন্ধ হয়ে গিয়েছে যান চলাচল। বান্দিপোরা জেলায় দুই কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
জম্মু কাশ্মীর ছাড়াও ঠান্ডায় জনজীবন বিপর্যস্ত উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়-সহ গোটা উত্তর ভারতে। ঠান্ডার কারণে চণ্ডীগড়ে মৃত্যু হয়েছে চার জনের। ন’জন নিখোঁজ। ব্যাপক কুয়াশার কারণে বিপর্যস্ত রেল পরিষেবাও। উত্তর ভারতের ২২টি ট্রেনের সময়সীমা পরিবর্তন করা হয়েছে বা দেরিতে চলছে। ফলে হাওড়া স্টেশনেও ট্রেনগুলি দেরিতে পৌঁছচ্ছে। কুয়াশার কারণে পূর্বা এক্সপ্রেস এতটাই দেরি করে হাওড়ায় এসেছে যে, আজ, মঙ্গলবার তা বাতিল করা হয়েছে বলে রেলের তরফে জানানো হয়েছে।
কাশ্মীরে শীতের প্রথম ৪০ দিন চিলাই কালান। তার পরের ২০ দিন চিলাই কুর্দ এবং পরবর্তী ১০ দিন হল চিলাই বাচা। স্থানীয়রা এমনই নানা নামে ডাকেন তাঁদের প্রিয় এই ঋতুটিকে।
চিলাই কালান মূলত তুষারপাতের সময়। প্রতি বছরই এই সময় ধীরে ধীরে সাদা হয়ে যায় গোটা উপত্যকা। বরফের পুরু আস্তরণ ঢেকে দেয় ডাল লেক-সহ অন্যান্য হ্রদকেও। সোমবার অনন্তনাগ, পহেলগাম, ককেরনাগ, বানিহাল, পানিটপ এবং লাদাখেও হালকা তুষারপাত হয়েছে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদদের।
শ্রীনগর-জম্মু জাতীয় সড়কই কাশ্মীর এবং বাকি দেশের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র উপায়। আইজিপি (ট্র্যাফিক) বলেন, “তুষারপাতে জাতীয় সড়ক বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আমরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছি। আশা করছি মঙ্গলবার সকালে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।”
শনিবার তুষারপাত শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তৎপর হয়ে উঠেছে প্রশাসন। কাশ্মীরের ডিভিশনাল কমিশনার শৈলেন্দ্র কুমার বলেন, “উপত্যকাবাসীদের প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস সরবরাহ করার জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলাস্তরে। তৈরি রাখা হয়েছে রাস্তা থেকে বরফ সরানোর যন্ত্রও। বরফ পড়লে যাতে কোথাও গাড়ি চলাচল বাধা না পায়, তার জন্য সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের হাসপাতাল এবং হোটেলগুলিকেও পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” |
|
|
|
|
|