টুকরো খবর
লোকসভার প্রচারে ফব
লোকসভা ভোটে কোচবিহার আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেই প্রচারে নেমেছে ফরওয়ার্ড ব্লক। কোচবিহার জেলার বিভিন্ন ব্লকে কর্মী-সভা করার পাশাপাশি বাড়ি বাড়ি গিয়েও প্রচারের কাজ শুরু করে দিয়েছে বাম শরিক। জেলা সম্পাদক উদয়ন গুহ বলেন, “সম্ভাব্য প্রার্থীর হিসেবে আমরা দীপক রায়ের নাম ঘোষণা করেছি। উনি আমাদের যুব নেতা। সমস্ত কমিটিতে তাঁকে প্রার্থীকে হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে কর্মীদের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে বলা হয়েছে।” তৃণমূল বামেদের প্রচারকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। দলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “আমাদের প্রার্থী দলের রাজ্য নেতৃত্ব ঘোষণা করবে। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে সর্বত্র কর্মীরা নেমে পড়েছেন। বামেরা প্রার্থী খুঁজে না পেয়ে এক জনকে দাঁড় করিয়ে তাঁকে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। মানুষ সাড়া দিচ্ছেন না।” কোচবিহারের বর্তমানে ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা নৃপেন রায় সাংসদ। সর্বত্র বাম বিরোধী হাওয়া, দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের পর এ বারে দলে নতুন মুখ আনার সিদ্ধান্ত নেয় ফরওয়ার্ড ব্লক। সম্প্রতি কোচবিহারে সাংবাদিক বৈঠক করে সিতাইয়ের যুব নেতা তথা শিক্ষক দীপক রায়ের নাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। দলীয় সূত্রে খবর, কোচবিহারে ফরওয়ার্ড ব্লক ও সিপিএমের ঘাঁটিগুলি কার্যত দখলে নিয়েছে তৃণমূল। এই অবস্থায় আগামী লোকসভায় তৃণমূলের সঙ্গে লড়াই করতে বামেরা তাই দ্রুত প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে প্রচারে নেমে পড়েছেন।

বৃদ্ধা মেয়ের মারে মৃত্যু নবতিপরের
৬০ বছরের মেয়ের লাঠির আঘাতে মারা গেলেন ৯০ বছরের বৃদ্ধ বাবা। শনিবার রাতে ফালাকাটার ধনীরামপুর ১ পঞ্চায়েতের যোগীঝোরা বড়বাগ গ্রামে। পুলিশ জানায়, মৃত ওই বৃদ্ধের নাম কেশর সিংহ তামাঙ্গ। তাঁর এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। ২০ বছর আগে স্ত্রীর মৃত্যুর পর থেকে তিনি বড় মেয়ে মায়াদেবী বিশ্বকর্মার কাছে থাকতেন। মেয়ের স্বামী সেনাবাহিনীর জওয়ান ছিলেন। শনিবার রাতে খাবার দিতে দেরি করায় মেয়েকে বকাঝকা করছিলেন ওই বৃদ্ধ। বাবার উপর বিরক্ত হয়ে আচমকা খেপে গিয়ে ঘরের কোণে পড়ে থাকা লাঠি দিয়ে বৃদ্ধ বাবার মাথায় মেয়ে আঘাত করেন বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত হয়ে কেশর সিংহ ঘটনাস্থলেই মারা যান। মায়া দেবী পালিয়ে যান বলে অভিযোগ। প্রতিবেশীদের কাছ থেকে পুলিশ খবর পায়। রবিবার তল্লাশি চালিয়ে সন্ধ্যায় গ্রামের একটি সুপারি বাগানে লুকিয়ে থাকা মায়া দেবীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার হওয়ার পর মায়াদেবী বলেন, “বাবা গোলমাল করছিল। বিরক্ত হয়ে লাঠি দিয়ে মারি। মারা যাবেন ভাবিনি।”

তিন ঘণ্টা তালা বন্দি শিক্ষককে
স্কুলের মিডডে মিলের চাল চুরির অভিযোগে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে তালাবন্দি করে রাখলেন বাসিন্দারা। তিন ঘন্টা পরে পুলিশ গিয়ে চাল, সাইকেল-সহ প্রধান শিক্ষককে থানায় নিয়ে যায়। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে বরুই পদ্মমণি হাইস্কুলে রবিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটে। তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে ব্লক প্রশাসন। হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ভারপ্রাপ্ত বিডিও সুজয় ধর জানান, ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযুক্ত প্রধানশিক্ষক অমল ঘোষ চাঁচলে থাকেন। এ দিন ছুটির দিন হলেও বিকালে তিনি ওই স্কুলে যান। বাসিন্দাদের অভিযোগ, স্কুলের আশেপাশে জনবসতি নেই। প্রধান শিক্ষক তাঁর পরিচিত দুজনকে নিয়ে স্কুলে যান। তারা সাইকেলে করে চার বস্তা চাল নিয়ে যাওয়ার সময় গ্রামবাসীরা আটকালে চাল, সাইকেল ফেলে পালায়। প্রধান শিক্ষককে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গিয়ে তার অফিস ঘরেই তালাবন্ধ করে রাখেন বাসিন্দারা।

খুনের জন্যই পিস্তল কিনেছিল অভিযুক্ত
প্রাক্তন প্রেমিকা মৌসুমীকে খুন করার জন্য ১৫ দিন আগে স্থানীয় এক দুষ্কৃতীর কাছ থেকে ৬ হাজার টাকা দিয়ে ৭ এমএম দেশি পিস্তল কেনে অভিযুক্ত তরুণ। গৌড় কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী মৌসুমীর বাড়িতে ঢুকে গুলি করে খুন করার পর ওই পিস্তল নিয়ে সে তরুণ আত্মহত্যার চেষ্টা করে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, ৬ হাজার টাকায় ওই তরুণ পিস্তলটি কালিয়াচক থেকে কিনেছিল। জেলা পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “এক জন ছাত্রের হাতে কী ভাবে দেশি পিস্তল এল, তা পুলিশ বিস্তারিত তদন্ত করে দেখেছে। তরুণের পরিবার, বন্ধুদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।”

কলেজের দাবি গোয়ালপোখরে
কলেজ না থাকায় বাধ্য হয়েই অন্যত্র যেতে হচ্ছে। যাঁরা আর্থিক কারণে অন্যত্র গিয়ে ভর্তি হতে পারেন না, থমকে থাকে তাঁদের পড়াশুনা। গোয়ালপোখরে ৭টি স্কুল আছে যেখানে উচ্চ মাধ্যমিক পড়ানো হয়। স্নাতক স্তরে পড়াশুনোর জন্য ছাত্রীদের ইসলামপুর, বিহারে কিসানগঞ্জ, ডালখোলা বা রায়গঞ্জে যেতে হচ্ছে। গোয়ালপোখর থেকে ওই এলাকাগুলির দূরত্ব ৩৫ থেকে ৫০ কিমি। অনেকেই পড়া ছেড়ে দিচ্ছেন। অনেকেই কলেজ লাগোয়া এলাকায় ঘরভাড়া করে থাকছেন। বাসিন্দাদের দাবি, এলাকায় কলেজ গড়ে উঠলে পড়াশুনোর প্রতি আগ্রহও ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে আরও বাড়ত।

কোচবিহারে ডাক মেলা অনুষ্ঠিত হল
ডাক মেলা অনুষ্ঠিত হল কোচবিহারে। রবিবার সকালে জেলার প্রধান ডাক ঘরের সামনে ওই মেলার উদ্বোধন করেন উত্তরবঙ্গ ও সিকিমের পোস্ট মাস্টার জেনারেল এল প্রধান। তিনি জানিয়েছেন, ডাক বিমা ও ডাক সঞ্চয় প্রকল্প নিয়ে সাধারণ বাসিন্দাদের বিস্তারিত জানাতে সর্বত্র ওই মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। গত ১৯৯৫ সাল থেকে ডাক বিমা শুরু হয়েছে। ওই বিমায় নানা সুবিধা রয়েছে। এই সবই প্রচার করা হচ্ছে।





First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.