গঙ্গারামপুরের আইসির উপস্থিতিতে কালদিঘি অতিথি নিবাসের কর্তাকে মারধর করে ভবনের চাবি এলাকার তৃণমূল সমর্থকেরা কেড়ে নিয়েছে বলে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে অভিযোগ তোলা হয়। গত শুক্রবার প্রাক্তণ মন্ত্রী নারায়ণ বিশ্বাসের ঘনিষ্ঠ গঙ্গারামপুর ব্লক কর্মোদ্যোগ সমিতি নামে ওই স্বেচ্ছেসেবী সংস্থার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তৃণমূল পরিচালিত জেলা পরিষদ সভাধিপতি ললিতা টিগ্গা আর্থিক অপব্যবহারের অভিযোগ করেন। বিষয়টি নিয়ে চাপান উতোর চলছেই। রবিবারও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে পুলিশ-প্রশাসনের কাছে তদন্ত করার দাবি জানানো হয়েছে। ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা জেলা পরিষদ থেকে ২০০৬-০৭ সালে প্রায় ৪৫ লক্ষ টাকা নিয়ে নিজেদের জমিতে অতিথি নিবাস তৈরি করে ব্যবসা শুরু করে। সংস্থার সম্পাদক আবদুল আজিজ জানান, গত ১১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় কালদিঘিতে অনাথ আশ্রমে মহকুমাশাসক মিটিং করতে আসেন। আধিকারিকদের বসার জন্য অতিথি নিবাস থেকে ভাল কিছু চেয়ার ও টেবিল বার করা হচ্ছিল। সেই সময় একদল তৃণমূলের লোকজন হইচই শুরু করেন। খবর পেয়ে আসেন গঙ্গারামপুরের আইসি অসীম গোপ। তাঁর অভিযোগ, “বিক্ষোভকারীরা আইসির সামনে ওই অতিথি নিবাসের ম্যানেজারকে মারধর করে সেখানে তালা মেরে চাবি নিয়ে চলে যান। আইসি সব দেখেও দাঁড়িয়ে ছিলেন।” সংস্থার সম্পাদক আবদুল আজিজ বলেন, “বিষয়টি ওই দিনই মহকুমাশাসককে জানালে তিনি লিখিত অভিযোগ করতে বলেন। পর দিন তা মহকুমা শাসকের পাশাপাশি জেলা পুলিশ সুপারকেও দেওয়া হয়। এসডিপিও তদন্ত করে যান।” এ নিয়ে অভিযোগ করায় আইসির ভূমিকা আড়াল করতে জেলা পুলিশ কর্তৃপক্ষ পাল্টা জেলা পরিষদকে দিয়ে অভিযোগ দায়ের করিয়েছে বলে মনে করেন প্রাক্তন মন্ত্রী নারায়ণ বিশ্বাস। তাঁর বক্তব্য, “আবেদনের ভিত্তিতে সে সময় জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ অতিথি নিবাসের জন্য ওই সংস্থাকে অর্থ বরাদ্দ করেন। জেলা পরিষদ অতিথিনিবাসটির দখল চাইলে আলোচনায় বসতে পারতেন। অতিথি নিবাস দখলে রাখার ইচ্ছা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার নেই।” তৃণমূল নেতা রতন ঘোষ বলেন, “ অতিথি নিবাস থেকে ওই দিন চেয়ার টেবিল বার করতে দেখে কর্মীরা আপত্তি করেন। কাউকে মারধর করা হয়নি।” |