ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান ও সদ্যোজাত শিশুদের এসএনইউসি-র উদ্বোধনে এসে বিতর্কে জড়ালেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
রবিবার কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ওই দুই পরিষেবার উদ্বোধনে আসেন চন্দ্রিমাদেবী। সঙ্গে ছিলেন ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। ঘটনাচক্রে, এ দিন সকালেই এই হাসপাতালে সদ্যোজাত একটি শিশুর মৃত্যু হয়। মৃত শিশুর মা মুর্শিদাবাদের শক্তিপুরের বাসিন্দা ইপ্সিতা শীট ও রবীন্দ্রনাথ শীট স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁদের অভিযোগ, “চিকিসকদের গাফিলতিতে আমাদের প্রথম শিশুকে হারাতে হল।” মন্ত্রীর কাছে দোষী চিকিৎসকের শাস্তির দাবি করেন তাঁরা। কিন্তু ওই দম্পতির অভিযোগ, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর কাছে পুরো অভিযোগ জানানোর আগেই তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর সারা দিন হাসপাতালে বসে থাকলেও আর মন্ত্রীর দেখা পাননি বলেও অভিযোগ করেন তাঁরা। |
এ ব্যাপারে চন্দ্রিমাদেবীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “অনুষ্ঠানে কী বললাম শোনেননি?” হাসপাতাল চত্বরে এ দিনের অনুষ্ঠানে চন্দ্রিমাদেবী বলেন, “সরকার সব কিছুর সাথে সমঝোতা করতে পারে কিন্তু গাফিলতি কিছুতেই মেনে নিতে পারবে না।” ঘন্টাখানেক ধরে চলে অনুষ্ঠান। বক্তারা জানান, মূল দামের প্রায় ৬৭ শতাংশ কম দামে ন্যায্য মূল্যে ওষুধ মিলবে। এসএনসিইউ ইউনিট চালু হওয়ায় শিশুদের চিকিসায় সুবিধা হবে।
তবে, এ দিনের অনুষ্ঠান হয় বক্স বাজিয়ে। অথচ যেখানে সভা হয়, ঠিক তার পিছনে রয়েছে হাসপাতালের ‘পেয়িং ওয়ার্ড’। যদিও সেখানে রোগী থাকলেও তার জানলা বন্ধ ছিল। হাসপাতাল চত্বরে বক্স বাজানোর বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে চন্দ্রিমাদেবী বলেন “কোনও অসুবিধা তো হয়নি।” অন্য মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, “আওয়াজ খুবই আস্তে হচ্ছিল। তা ছাড়া যেগুলি উদ্বোধন হল সেগুলি মানুষের কী কী কাজে লাগবে সেগুলি তো জানাতে হবে।” |