নিকাশি পাইপ বসানোর কাজ করার সময়ে শনিবার রাতে জলের পাইপ ফেটে ভেসে গিয়েছিল গোটা এলাকা। অভিযোগ, খবর দেওয়ার পরেও মেরামতির কাজ করতে আসেননি হাওড়া পুরসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ারেরা। এমনকী, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সংস্থাকে ঘটনার কথা জানানো হলে তাঁরাও জানিয়ে দেন, ৪৮ ঘণ্টার আগে ওই পাইপ মেরামত করা সম্ভব নয়। শেষে হাওড়ার নতুন তৃণমূল মেয়রের উদ্যোগে সারা রাত কাজ করে অন্য একটি বেসরকারি সংস্থার ইঞ্জিনিয়ারেরা বড়সড় জলসঙ্কট থেকে মুক্তি দিলেন হাওড়াকে। এ দিকে, খবর দেওয়া সত্ত্বেও না আসায় পুরসভার সংশ্লিষ্ট ইঞ্জিনিয়ারদের কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মেয়র। |
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে মেয়র রথীন চক্রবর্তী। রবিবার। —নিজস্ব চিত্র। |
হাওড়া পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, মধ্য হাওড়ার কদমতলা এলাকার নরসিংহ দত্ত রোডে মূল নিকাশি পাইপ বসানোর কাজ চলছে গত কয়েক মাস ধরে। শনিবার রাতে কাজ চলার সময়ে পাশেই ভূগর্ভস্থ ১০ ইঞ্চি ব্যাসের নিকাশি পাইপের একটি বড় অংশ ফেটে যায়। মুহূর্তের মধ্যে জলে ভেসে যায় নরসিংহ দত্ত রোড, ব্যাঁটরা থানা এবং কদমতলা বাজার সংলগ্ন এলাকা। পরিস্থিতি বিবেচনা করে রাতেই ঘটনাস্থলে চলে আসেন মেয়র রথীন চক্রবর্তী ও স্থানীয় ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দিব্যেন্দু মুখোপাধ্যায়। খবর দেওয়া হয় পুরসভার সংশ্লিষ্ট ইঞ্জিনিয়ারদের। ঘটনার কথা জানানো হয় ওই এলাকায় পাইপ মেরামতির দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার সংস্থাকেও। কিন্তু অভিযোগ, রাতে কেউই আসেননি। শেষে মেয়র নিজে সারা রাত দাঁড়িয়ে থেকে একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং সংস্থাকে দিয়ে ওই ফাটল মেরামতির কাজ করান।
রবিবার সকালে ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে মেয়র জানান, ওই পাইপ মেরামত না করা হলে এ দিন সকালে পদ্মপুকুর জলপ্রকল্প থেকে জল ছাড়া হলে ফের ভাসত গোটা এলাকা। তীব্র জলসঙ্কট দেখা দিত মধ্য হাওড়া ও উত্তর হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে। তাই তিনি নিজে উদ্যোগী হয়ে মেরামতির কাজ করান। রথীনবাবু বলেন, “যে ইঞ্জিনিয়ারদের খবর দেওয়া সত্ত্বেও আসেননি, তাঁদের শো-কজ করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সংস্থার চুক্তিপত্রও বাতিল করা হচ্ছে।” তিনি আরও জানান, গত চার বছর ধরে কদমতলা বাজারের কাছে যে ৩৫ মিটার নিকাশি পাইপ বসানোর কাজ চলছে, সেই কাজ ৩১ জানুয়ারির মধ্যে শেষ করতে বলা হয়েছে। কাজ শেষ না হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। |