|
|
|
|
পড়ুয়াদের পাশ করানোর অনুরোধ বিধায়কের, দাবি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আগরতলা |
পরীক্ষায় অকৃতকার্য পড়ুয়াদের পাশ করানোর ‘অনুরোধ’ করেছেন বিধায়ক, কাউন্সিলর !
এমনই অভিযোগ উঠল ত্রিপুরার ঐতিহ্যবাহী এমবিবি কলেজ সংলগ্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মহাত্মা গাঁধী মেমোরিয়াল উচ্চমাধ্যমিক স্কুলে।
স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ বার দ্বাদশ শ্রেণির ‘টেস্ট’ দিয়েছিল ১৭৮ জন পরীক্ষার্থী। দশম শ্রেণির টেস্ট পরীক্ষা দেয় ৭২ জন। প্রতিটি বিষয়ে পাশ নম্বর ছিল ২০। কিন্তু, দ্বাদশ শ্রেণির ৩৭ জন এবং দশম শ্রেণির ১৮ জন ওই নম্বরও পায়নি। অকৃতকার্য ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকেরা তাদের পাশ করিয়ে দেওয়ার দাবিতে প্রধান শিক্ষককে চাপ দিতে থাকেন বলে অভিযোগ। তাঁকে ঘেরাও করা হয়। প্রধান শিক্ষক পরিমল মজুমদার বলেন, ‘‘এক সপ্তাহ আগে টেস্টের ফল প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই আমার উপর অভিভাবকদের চাপ বাড়তে থাকে। ওঁদের জানিয়ে দিই, টেস্টে অকৃতকার্যদের চূড়ান্ত পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়।”
অভিভাবক মহলের চাপের মুখে ত্রিপুরার ওই স্কুল কর্তৃপক্ষ নতিস্বীকার করেনি। তবে, স্থানীয় বিধায়ক ও কাউন্সিলরের ‘অনুরোধ’ উপেক্ষা করতে পারেননি তাঁরা। স্কুল সূত্রের খবর, বিষয়টি ফের ‘বিবেচনা’ করে দেখতে বলেন কংগ্রেস বিধায়ক গোপাল রায়, আগরতলা পুরসভার এক কাউন্সিলর।
পরীক্ষায় পাশ ফেল নিয়ে কাউকে কোনও অনুরোধ করেননি বলে দাবি করেছেন গোপালবাবু। তিনি বলেন, ‘‘শিক্ষক কাউন্সিলকে বিষয়টি বিবেচনা করার কথাই শুধু বলেছিলাম। সামাজিক, আর্থিক ভাবে পিছিয়ে থাকা পরিবারের কোনও ছেলেমেয়ের একটি শিক্ষাবর্ষ নষ্ট হওয়া উদ্বেগের। সে বিষয়টিই স্কুল কর্তৃপক্ষের সামনে তুলে ধরতে চেয়েছিলাম।”
অভিভাবকদের ‘দাবি’ ক্রমশ তীব্র হওয়ায় ‘টিচার্স কাউন্সিল’-এর বৈঠক ডাকেন প্রধান শিক্ষক। তিনি জানান, বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, এ বছর অকৃতকার্য পড়ুয়ারাও চূড়ান্ত পরীক্ষায় ফর্ম জমা দিতে পারবে। দ্বাদশ এবং দশম শ্রেণির প্রত্যেককেই তা -ই ত্রিপুরা বোর্ড ও কাউন্সিলের পরীক্ষায় বসার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। |
|
|
|
|
|