ছিটমহল বিনিময়ের দাবি জোরালো করতে দু’দেশে ৬ জেলায় গণ-স্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযানে নামছে ভারত-বাংলাদেশ ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটি। রবিবার কমিটির দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ‘অনলাইন’ বৈঠক হয়। সেখানে বিলের ভবিষ্যৎ নিয়ে অপেক্ষা না করে ছিটমহল বিনিময়ের পক্ষে চার লক্ষাধিক বাসিন্দার স্বাক্ষর সংগ্রহে অভিযানের সিদ্ধান্ত হয়।
কমিটি সূত্রেই জানা গিয়েছে, ১৫ জানুয়ারি থেকে এ রাজ্যে কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি জেলায় সংগঠন সদস্য গণস্বাক্ষর অভিযান কাজ শুরু করবেন। বাংলাদেশের নিলফামারি, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম ও লালমণিরহাট এলাকায় ওই অভিযান শুরু হবে। ২১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে অভিযানের কাজ শেষ করে তা দুই দেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও শাসক ও বিরোধী পক্ষের দলনেতার কাছেও পাঠানো হবে। সমন্বয় কমিটি সহকারী সম্পাদক দীপ্তিমান সেনগুপ্ত বলেন, “জনমত বাড়াতে গণস্বাক্ষর অভিযানের সিদ্ধান্ত হয়েছে। স্থল সীমান্ত চুক্তি বিলের ভবিষ্যৎ নিয়ে না ভেবে আমরা আরও কর্মসূচি নিচ্ছি।” কমিটি সূত্রেই জানা গিয়েছে, অভিযানের পাশাপাশি দুই দেশের প্রথম সারির রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের কাছে ছিটমহল সংক্রান্ত একটি বই দেওয়ার কথাও এ দিনের বৈঠকে চূড়ান্ত হয়েছে। ওই ব্যাপারে খ্যাতনামা কিছু লেখকের সঙ্গে কমিটি নেতৃত্বের প্রাথমিক কথা হয়েছে। নাগরিকত্বহীনতা, পরিচয়পত্র না থাকা থেকে আইনের শাসন কিংবা স্বাস্থ্য, শিক্ষা, যোগাযোগ, বিদ্যুতের মত নাগরিক পরিষেবা না থাকায় বাসিন্দাদের দুর্ভোগের কথাও ওই বইয়ে উল্লেখ করা হবে। দীপ্তিমানবাবু বলেন, “রাজ্যসভায় স্থলসীমান্ত চুক্তি বিল পেশ ছিটমহল বিনিময়ের দাবির পক্ষে অনেক বড় পদক্ষেপ। এতে কিছু বাঁধা আসাটাও অস্বাভাবিক কিছু নয়। ছিটমহল সংক্রান্ত তথ্য পুস্তিকা বা বই সব রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃত্বের হাতে তুলে দেওয়া হলে বিভ্রান্তির অবকাশ থাকবে না বলেই আমাদের বিশ্বাস।” এর পাশাপাশিই, জনসংযোগ বাড়াতে দিনহাটা থেকে লালমণিরহাট পর্যন্ত বন্ধ রংপুর রোড ফের চালু করার দাবিও তুলেছেন ভারত-বাংলাদেশ ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির সদস্যরা। |