ছপরায় ভোটে লড়তে পারেন রাবড়ী
গামী লোকসভা নির্বাচন থেকে দূরে থাকতে হবে আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদকে। লালুর দীর্ঘদিনের আসন, সারন জেলার ছপরা লোকসভা কেন্দ্রে বার কাকে প্রার্থী করা হবে, তা নিয়ে কৌতুহল রয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তবে, এর মধ্যেই লালুপ্রসাদ তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়ে দিয়েছেন, ওই আসনে তাঁর স্ত্রী, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ী দেবীর নাম ভাবনা -চিন্তার মধ্যে রয়েছে। রাবড়ী দেবী এখন বিহার বিধান পরিষদের সদস্য।
১৯৭৭ সাল থেকে লালুপ্রসাদ যতবার ছপরা আসনে প্রার্থী হয়েছেন, এখানকার মানুষ তাঁকে বিমুখ করেননি। জাতপাতের বিহারে ওই আসনটি যাদব ‘অধ্যুষিত’। এর আগে, দু’বার লালু ওই আসনে প্রার্থী হননি। কখনও তিনি মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, কখনও মাধেপুরা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। দলের তরফে ১৯৯৬ সালে লালবাবু রাই এবং ১৯৯৯ সালে হীরালাল রাইকে প্রার্থী করা হয়। কিন্তু তাঁরা কেউ জিততে পারেননি। আসনটি দখল করে নেন বিজেপি - রাজীব প্রতাপ রুডি।
সেই ঘটনার কথা মনে রেখেই লালুপ্রসাদ ছপরাকে একেবারেই তাঁর পরিবারের হাতের বাইরে যেতে দিতে চান না। ছপরার মানুষের জন্য লালুর অবদানও কম নেই। রেলমন্ত্রী থাকাকালীন এখানে তিনি রেলের কোচ এবং চাকা তৈরির কারাখানা তৈরি করেন।
তাতে হাজার পাঁচেক মানুষের চাকরির ব্যবস্থা হয়। ফলে, ছপরার মানুষ লালুর দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেননি।
যদি রাবড়ী দেবীকে লালু ছপরার লড়াইয়ের মদয়ানে নামান, তবে রাজীব প্রতাপ রুডি কী করবেন? রাজীব জানান, “ছপরায় যেই প্রার্থী হোক না কেন, তা নিয়ে আমার কোনও সমস্যা নেই। আমি ওখান থেকেই দাঁড়াব। লড়াই - করব।” লালু প্রসাদের ছেলে তেজস্বীর বয়স এখনও পঁচিশ হয়নি। সুতরাং লোকসভায় তিনি বার প্রার্থী হতে পারবেন না। বড় ছেলে তেজপ্রতাপের রাজনীতিতে খুব একটা আগ্রহ নেই। ফলে রাবড়ীই লালুর ভরসার জায়গা। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সুবাদে তিনি সকলের কাছে পরিচিত মুখ। তা ছাড়া, আগামী দিনে যদি উচ্চ বা শীর্ষ আদালতে দোষমুক্ত হন, তখন ফের ছপরা যাতে সহজেই ফিরে পান সেটাও লক্ষ্য লালুর।
লালুপ্রসাদ ইতিমধ্যে কংগ্রেস, এলজেপি, এনসিপিকে নিয়ে ধর্মনিরপেক্ষ মঞ্চ তৈরির কথা বলেছেন। আগে থেকেই কংগ্রেসের সঙ্গে লালুর নির্বাচনী বোঝাপড়া আছে। গত লোকসভায় আসন রফা নিয়ে সমঝোতা না -হলেও বাইরে থেকে লালু প্রসাদের দল আরজেডি ইউপিএ - কে সমর্থন জানিয়ে এসেছে। যদিও বিহার কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, প্রাক্ -নির্বাচনী সমঝোতার ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্তই এখনও হয়নি। রাজ্যের ৪০ টি আসনে কংগ্রেসের সম্ভাবনা কী সে সম্পর্কে বিশদে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদিও সমঝোতার ব্যাপারে লালু আশাবাদী। বিশেষ করে, জামিনে লালু ছাড়া পাওয়ার পর কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া তাঁকে ফোন করে কুশল বিনিময় করায় সেই জল্পনা আরও গতি পেয়েছে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.