|
|
|
|
আম দাবিতে অস্বস্তিতে আমলারা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি
২২ ডিসেম্বর |
সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত হতে এখনও সোমবার সকালের অপেক্ষা। কিন্তু রাজধানীর আবহাওয়ায় রবিবারই পরিবর্তনের ইঙ্গিত স্পষ্ট। ভিআইপি পার্কিং-ব্যবস্থা বন্ধের প্রক্রিয়া শুরু করে সেই পরিবর্তনের পথেই হাঁটার চেষ্টা করল প্রশাসন। আম আদমি পার্টি (আপ)-এর দাবির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে রেল স্টেশনে এ দিন থেকে বন্ধ হয়ে গেল ভিআইপিদের জন্য বিশেষ গাড়ি পার্কিং ব্যবস্থা। তবে এতেই শেষ নয়। আপ-প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালের অবস্থানের জেরে দিল্লির খাস আদমিদের ডিসেম্বরের শীতেও ঘাম বেরনোর অবস্থা।
কেন এই অস্বস্তি? আসলে, নিজের আঠারো দফা দাবির একেবারে প্রথম দাবিতে অরবিন্দ জানিয়েছিলেন সরকার গড়লে তিনি বা তাঁর দলের কোনও মন্ত্রী বা বিধায়ক লাল বাতি লাগানো গাড়ি নেবেন না। নেওয়া হবে না সরকারি বাংলো। ভোটে জিতে আসার পরও সেই অবস্থানেই অনড় আপ-প্রধান।
বিধায়ক হিসাবে তাঁকে পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল দিল্লি পুলিশ। পত্রপাঠ সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন, তিনি আম আদমি। এক জন আম আদমির মতোই থাকবেন। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী হলেও তিনি স্ত্রী-র সরকারি আবাসনেই থাকবেন বলে জানিয়েছেন।
আর অস্বস্তিটা ঠিক এখানেই। আমলাদের মধ্যে বড় প্রশ্ন, অরবিন্দ মুখ্যমন্ত্রী হয়ে যদি লালবাতি গাড়ি ও সরকারি বাংলো না নেন সে ক্ষেত্রে আমলারা ওই পরিষেবা নেবেন কী ভাবে?
কিছুটা একই সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী-আমলারাও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লালবাতি গাড়িতে না চড়ায় লালবাতি লাগিয়েও পরে তা খুলে নিয়েছেন রাজ্যের অনেক মন্ত্রী। একই ভাবে অরবিন্দ বা তাঁর দলের কোনও মন্ত্রীই যে সরকারি সুবিধা নেবেন না সেটা স্পষ্ট। তা হলে কী করবেন রাজধানীর খাস আদমিরা? তা আপাতত অজানা। তবে রবিবার যা দেখা গেল, তাতে এটা স্পষ্ট সরকার গঠনের আগেই আপ-এর পাশে দাঁড়াতে চাইছে প্রশাসন।
দিল্লি সরকারের বিভিন্ন সরকারি দফতরে শোনা যাচ্ছে সোমবার অর্থাৎ সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনটি থেকেই রেল স্টেশনে গাড়ি-পার্কিংয়ের বিশেষ সুবিধা পাবেন না কোনও ভিআইপি-ই। অন্যান্য জায়গাতেও তাঁরা যে সব সুযোগ-সুবিধা পেতেন, সেটাও এ বার থেকে বন্ধ হতে চলেছে।
কিন্তু হঠাৎ কেন এ পরিবর্তন?
প্রশাসনের অনেকে অবশ্য এ পরিস্থিতির সঙ্গে মিল খুঁজে পাচ্ছেন ‘নায়ক’ ছবিটির। সেখানে এক দিনের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পরে ভোল পাল্টে অনিল কপূরের এসে দাঁড়িয়েছিল গোটা প্রশাসন। রাজধানীতেও বোধহয় সে রকমই কিছু হচ্ছে। ফারাকটা শুধু এটাই। ছবিতে শপথ নেওয়ার পরে প্রশাসনকে পাশে পেয়েছিলেন অনিল। এখানে সরকার গঠনের আগেই আপ-প্রধানের পাশে দাঁড়াতে চাইছেন রাজধানীর খাস আদমিরা। |
|
|
|
|
|