উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে থানার টেবিলে নিজের ইস্তফাপত্র লিখে চলে গিয়েছেন আউশগ্রাম থানার আইসি মিহিরকুমার দে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাতে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেলা পুলিশের মধ্যে তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বর্ধমানের এসপি সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা বলেন, “উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে কিছু না জানিয়ে থানা ছাড়া যে কোনও স্তরের পুলিশ কর্মীর পক্ষেই বেআইনি কাজ। ঘটনাটির কথা আমি ডিআইজিকে জানিয়েছি।” তিনি আরও জানান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনন্দ রায় ও ডিএসপি (ক্রাইম) কাজি সামসুদ্দিনকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। তাঁরা ফিরে যে রিপোর্ট দেবেন, তার ভিত্তিতে মিহিরবাবুর বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার থানায় নিজের টেবিলে মাত্র চার-পাঁচ লাইনের একটি চিঠি লিখে চলে যান তিনি। চিঠিতে তিনি বলেছেন, ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে তিনি কাজ ছেড়ে চলে যেতে চান। গত ১৮ ডিসেম্বর আউশগ্রামের বিষ্ণুপুরে একটি রাজনৈতিক গোলমালের ঘটনা ঘটে। মিহিরবাবু সেটিকে নিয়ন্ত্রন করতে ব্যর্থ হন। জেলা সদর থেকে পুলিশবাহিনী নিয়ে সিআই, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ডিএসপিদের দিয়ে ওই থানার কাজকর্ম চালাতে হচ্ছিল। ওই সংঘর্ষের পরে মিহিরবাবুকে পাঁচ দিনের ছুটিতে পাঠানো হয়েছিল। শনিবার তিনি কাজে যোগ দেন। তারপরেই নিজের টেবিলে কাজ থেকে অব্যহতি চেয়ে লেখা চিঠিটি রেখে তিনি কাউকে কিছু না বলে থানা ছাড়েন। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, কয়েকদিন আগে মিহিরবাবু পারিবারিক ও ছেলের লেখাপড়ার কারণে আউশগ্রাম থানার আইসির পদ থেকে অব্যহতি চেয়ে জেলার এসপিকে মৌখিক অনুরোধ করেছিলেন। এসপি জানান, মিহিরবাবুকে তুলনায় কম গুরুত্বপূর্ন কোনও পদে বদলি করা হচ্ছিল।মিহিরবাবুর বাড়ি দুর্গাপুরে। তাঁর মোবাইল ফোন অনেক বার বেজে গেলেও তিনি ফোন ধরেননি। |