কাটোয়াকে অচল করার হুমকি দিলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি তথা কাটোয়া মহকুমার পর্যবেক্ষক অনুব্রত মণ্ডল।
রবিবার বিকালে দাঁইহাট শহরের টাউন হলে দলের এক কর্মিসভায় অনুব্রতবাবু বলেন, “বাইরে থেকে গুন্ডামি এনে মস্তানি হচ্ছে। গুন্ডা আনবেন না। তাহলে আমরাও বাইরে থেকে লোক এনে কাটোয়াকে অচল করে দেব। ইট মারলে তৃণমূলও ইট মারতে জানে।” একই সঙ্গে এ দিনের কর্মিসভায় তিনি কাটোয়ার বিধায়ক তথা প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের নাম করে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেন।
গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার কাটোয়া কলেজে পরপর দু’দিন ছাত্র পরিষদ ও টিএমসিপির মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
তৃণমূলের অভিযোগ, বহিরাগত যুবকেরা ছাত্র পরিষদের হয়ে কাটোয়া কলেজে এসে অশান্তি পাকাচ্ছে। এই পরিপ্রেক্ষিতেই এ দিন কর্মিসভা করতে আসেন অনুব্রতবাবু। ভিড়ে ঠাসা সভায় কাটোয়ার কংগ্রেস বিধায়কের নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, “ রবি চট্টোপাধ্যায় দালাল, ধোঁকাবাজ ও চোর। তাঁর কথায় বিশ্বাস করবেন না।”
এ দিন তৃণমূলের নেতারা অনুব্রতবাবুর কাছে অভিযোগ করেন, পুলিশ ইচ্ছে করে কাটোয়া কলেজে টিএমসিপির ছেলেদের মারছে। এই কথা শুনে অনুব্রতবাবু পুলিশকেও এক হাত নেন। তিনি জানান, তাঁদের সমর্থকদের মারা হলে দল ছেড়ে কথা বলবে না। শনিবার বিকালেই পুলিশের নিরপেক্ষ আচরণের দাবিতে তৃণমূলের এক প্রতিনিধি দল কাটোয়ার এসডিপিও ধ্রুব দাসের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। যদিও এসডিপিও ওই প্রতিনিধি দলকে জানিয়েছিলেন, কোনও পক্ষপাত করা হয়নি।
কংগ্রেস নেতা ও বিধায়ক রবীন্দ্রনাথবাবু অবশ্য অনুব্রতবাবুর মন্তব্যকে গুরুত্ব দিতে চাননি। তিনি বলেছেন, “আমরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে চলি। কোনও আক্রমণ এলে আমরা মানুষকে সঙ্গে নিয়ে গণতান্ত্রিক ভাবেই তার মোকাবিলা করব।” এ দিনের সভায় অনুব্রতবাবু দাঁইহাট পুরসভার কংগ্রেস কাউন্সিলরদের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান। সভার অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলার মন্ত্রী তথা বর্ধমানের সভাপতি(গ্রামীণ) স্বপন দেবনাথ। কাটোয়া ১ ব্লকের আলমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কংগ্রেস সদস্য মোল্লা নজরুল ও দাঁইহাট শহর কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক শিশির মন্ডল সদলবলে এ দিন তৃণমূলে যোগ দেন। সিপিএম ছেড়েও তৃণমূলে যোগ দেন অনেকে। |