শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদকে রাজ্যের মধ্যে মডেল করে গড়ে তোলা হবে বলে জানালেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী। শনিবার শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ গঠন হওয়ার পর প্রথম বৈঠকে একগুচ্ছ উন্নয়ন প্রস্তাব করেন মন্ত্রী। তা নিয়েই আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন দার্জিলিঙের জেলাশাসক পুনীত যাদব, মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি জ্যোতি তিরকি সহ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ও পঞ্চায়েত প্রধান ও পঞ্চায়েত সদস্যরা। ছিলেন শিলিগুড়ির মহকুমাশাসক দীপাপ প্রিয়া, বিভিন্ন ব্লকের বিডিওরাও। বিরোধীরা এই বোর্ডকে অসাংবিধানিক বলে আখ্যা দিয়ে এদিন পূর্ব ঘোষণামত অনুপস্থিত ছিলেন। যদিও তাঁদের অনুপস্থিতি নিয়ে একটিও শব্দ ব্যয় করেননি গৌতমবাবু।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী বলেন, “গত চার বছরের আটকে থাকা সব কাজ করা হবে। মূলত একশো দিনের কাজকেই প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। তবে সমস্ত প্রকল্পকেই সমান গুরুত্ব দেব।” এদিকে পুরো বৈঠকই অবৈধ ও অসাংবিধানিক বলে মন্তব্য করে সিপিএমের জেলা সম্পাদক জীবেশ সরকার। তিনি বলেন, “আমাদের টিকিটে জয়ী প্রার্থী তৃণমূলে চলে যাওয়ার উপরে আমরা আদালতে মামলা করেছি। যতদিন মামলার রায় না বেরোচ্ছে আমরা কোনও বৈঠকে যোগ দেব না।” আগামী ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আটকে থাকা কাজগুলি একে একে শুরু হবে বলেও মন্ত্রী এ দিন জানান। হাতিঘিষায় হিন্দি কলেজ, খড়িবাড়িতে আইটিআই কলেজ, নকশালবাড়িতে কিসান মণ্ডি তৈরির প্রকল্প তৈরি হয়ে গিয়েছে বলে জানান মন্ত্রী। এছাড়াও গ্রামীণ এলাকায় ২০ হাজার শৌচাগার তৈরি হবে। গীতাঞ্জলি প্রকল্পে ও আমারা ঠিকানায় ঘর প্রকল্পে যারা নিয়ম মেনে আবেদন করবেন তাঁদের বাড়ি তৈরি করে দেবে মহকুমা পরিষদ। এছাড়া বিদ্যুৎ প্রকল্পে ১৫ কোটি ২৯ লক্ষ টাকা মঞ্জুর হয়েছে। প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার জন্য কাজ শুরু করা হবে। মেথিবাড়িতেও পড়ে থাকা রাস্তার কাজ দ্রুত শুরু হওয়ার ব্যপারে কথা হয়েছে। গৌতমবাবু বলেন, “মহকুমা পরিষদ যে টালমাটাল অবস্থায় ছিল তা কেটে গিয়েছে। এখন আমরা শুধু উন্নয়ন নিয়ে ভাবতে চাই। প্রচুর কাজ পড়ে আছে। মানুষের কাছে আমরা দায়বদ্ধ।” |