রাত বিরেতে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে চড়াও হয়ে লুঠপাট চালানোর সময়ে বাধা দিয়েছিলেন ওই ব্যবসায়ীর স্ত্রী। সেই ‘অপরাধে’ তাঁকে গুলি করল দুষ্কৃতীরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই মহিলাকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের পতিরাম এলাকায় পেঁয়াজ ব্যবসায়ী পীযূষ সরকারের বাড়ি থেকে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ি বড়জোর ৫০০ মিটার দূরে। শুক্রবার গভীর রাতে পীযূষবাবুর সেই বাড়িতে চড়াও হয় জনা সাতেক দুষ্কৃতী। তাঁর পরিবারের লোকজন জানান, কাজ সেরে বাড়ি ফিরতে একটু দেরিই হয়েছিল পীযূষবাবুর। রাত দু’টো নাগাদ তিনি বাড়ি ফিরে কড়া নাড়তেই তাঁর স্ত্রী মায়াদেবী সদর দরজা খুলতেই হুড়মুড়িয়ে জনা সাতেক সশস্ত্র ডাকাতও ঢুকে পড়ে বাড়িতে। বন্দুক উঁচিয়ে সবাইকে এক জায়গায় জড়ো করে শুরু করে লুঠপাট। বাড়ির দু’টি বাচ্চা ছেলেকেও তারা একটি ঘরে আটকে রাখে বলে অভিযোগ। পুলিশ জানায়, আড়ত থেকে ওই দিন নগদ প্রায় ১৪ লক্ষ টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরে ছিলেন পীযূষবাবু। ডাকাতরা পীযূষবাবুর কপালে বন্দুক ঠেকিয়ে সে টাকাও ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে থাকে। এই সময়ে স্বামীকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন মায়াদেবী। আচমকা এক দুষ্কৃতীর বন্দুক থেকে ছিটকে আসে গুলি। সরাসরি তা লাগে ওই মহিলার চোখের নীচে। ছিটকে পড়েন তিনি। গুলির আওয়াজ আর হইচই শুনে ছুটে আসেন পড়শিরা। বেগতিক বুঝে এ বার পালাতে থাকে দুষ্কৃতীরা। পীযূষবাবুর দাদা উদয় জানান, আড়ত থেকে তাঁর ভাই যে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরেছে তা আগেই জানত ডাকাতেরা। তাই বাড়ির আশপাশেই লুকিয়ে ছিল তারা। তিনি বলেন, “ভাই বরাবরই রাত করে বাড়ি ফেরে। কোনও দিন কেউ হামলা করেনি। তবে ডাকাতেরা টাকা নিতে না পারলেও বেশ কয়েক ভরি সোনার গয়না তারা নিয়ে পালিয়েছে।” |