ভাষাই এ বার থিম জলপাইগুড়ি জেলা বইমেলায়। বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষায় যে চর্চা চলছে তাকেই তুলে ধরা হচ্ছে বইমেলার মঞ্চে। যাঁরা এই চর্চার সঙ্গে জড়িত তেমন কয়েক জনকে সংবর্ধনাও জানানো হচ্ছে এ বারের বইমেলায়। আজ, রবিবার ফণীন্দ্রদেব হাইস্কুল ময়দানে শুরু হতে চলেছে ২৫তম জলপাইগুড়ি জেলা বইমেলা। মেলার উদ্বোধন করবেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেব।
উদ্বোধনের দিন উপস্থিত থাকছেন ডুয়ার্সের প্রত্যন্ত অঞ্চল টোটোপাড়ার বাসিন্দা, টোটো সংস্কৃতির সংগঠক ধনিরাম টোটো। নাটক ও কবিতা চচার্র পাশাপাশি সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখার দায়বদ্ধতা থেকে তিনি গড়েছেন নিজস্ব লোকসংস্কৃতির দলও। থাকছে ‘মোদের গরব মোদের আশা, আমরি বাংলা ভাষা’র কবি দ্বিজেন্দ্রলাল রায় মঞ্চও। দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের সার্ধ শতবর্ষ উপলক্ষে শ্রদ্ধা জানাতেই মঞ্চের ওই নামকরণ।
মেলা চলবে ২২-২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ২৪ ডিসেম্বর বিকেল ৩টেয় মেলার মঞ্চে সংবর্ধনা দেওয়া হবে কুরুখ ভাষার বিশিষ্ট নাট্যকার ও কবি অভিরাম তিরকি, সাদ্রী ভাষা চর্চাকারী ও পত্রিকা প্রকাশক প্রশান্ত লোহারা, কুরুখ ভাষার প্রাবন্ধিক, গল্পকার ও নাট্যকার বিমল টোপ্পো ও রাজবংশী ভাষা বিষয়ক গবেষক ও প্রাবন্ধিক দীপককুমার রায়কে। আনন্দ পাবলিশার্স-সহ কলকাতার একাধিক প্রকাশনা সংস্থার সঙ্গে থাকছে স্থানীয় প্রকাশনাও। থাকছে ৮৫টি বইয়ের স্টল। স্কুল, কলেজের পড়ুয়া, বিভিন্ন গণসংঠনগুলিকে নিয়ে র্যালির ব্যবস্থাও করেছে বইমেলা কমিটি। বইমেলার মঞ্চে বিভিন্ন দিন তুলে ধরা হবে জলপাইগুড়ি ও লাগোয়া অঞ্চলের লোকসংস্কৃতির টুকরো নিদর্শন বৈরাতী নৃত্য, রাভানৃত্য, সত্যপীরের গান। পরিবেশিত হবে লোকনাটকও। মেলা চলাকালীন প্রতি দিনই সন্ধ্যায় থাকছে কবি সম্মেলন, চলবে সেমিনারও। জেলা গ্রন্থাগার আধিকারিক তুষারকান্তি চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আশা করছি, এ বারের বইমেলায় ৩০-৩৫ লক্ষ টাকার বই বিক্রি হবে।” |