ভাঙন অব্যাহত। শনিবার বিকেলে বজবজ পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান গৌতম দাশগুপ্ত সহ চার কংগ্রেস কাউন্সিলর দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন। এ দিন তপসিয়ায় তৃণমূল ভবনে তাঁদের আনুষ্ঠানিক ভাবে দলে নেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়। ফলে বজবজ পুরসভাও একক ভাবে তৃণমূলের দখলে এল। মুকুলবাবুর দাবি, রাজ্যে ৯২টি পুরসভা এখন তৃণমূল পরিচালিত।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজ পুরসভায় কংগ্রেস-তৃণমূল জোট ছিল। ওই পুরসভায় চেয়ারম্যান সহ তৃণমূলের আটজন কাউন্সিলর ছিলেন। এখন তা বেড়ে দাঁড়াল ১২। মাস খানেক আগে ওই জেলার পুজালি পুরসভাও দলত্যাগের ফলে কংগ্রেসের হাত থেকে পুরোপুরি তৃণমূলের দখলে এসেছে। এ দিন বজবজের কাউন্সিলরদের সঙ্গে বজবজ-১ নম্বর ব্লকের নিশ্চিতপুর পঞ্চায়েতের কংগ্রেসের প্রধান ও উপ-প্রধানসহ সাত সদস্যও তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। ওই পঞ্চায়েতটিও তৃণমূলের দখলে এল। এ দিন বজবজ কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি সহ প্রায় পাঁচ হাজার কর্মী ও সমর্থক তৃণমূলে এসেছেন, মুকুলবাবু জানান। যোগদানকে ঘিরে তৃণমূল ভবনে প্রায় জনসমুদ্র হয়ে যায়। ভিড় সামলাতে হিমসিম খেতে হয় বজবজের তৃণমূল বিধায়ক অশোক দেব ও অন্যান্যদের। লোকসভা ভোটের আগে এই জনজোয়ারে খুশি মুকুলবাবুরা।
প্রায় প্রতিদিন তাঁদের দলে ভাঙনের জন্য পুলিশ-প্রশাসনকে কাজে লাগানো ও শাসক দলের সন্ত্রাসকে দায়ী করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য। এ দিন রানি রাসমণি অ্যাভেনিউতে দলের মহিলা সংগঠনের সমাবেশে তিনি বলেন, “কাউন্সিলর ও আমাদের দলের নেতা ভাঙিয়ে লোকসভা ভোটে তৃণমূলের জয় মসৃন হবে না। কারণ মানুষ অন্য কথা বলবে।” কী ভাবে তাঁরা এই ভাঙন রুখবেন তা নিয়ে এ দিন পরিষ্কার কিছু বলেননি প্রদীপবাবু। বিধায়ক মানস ভুঁইয়া বলেন, “আমরা দিল্লির নেতৃত্বকে অনুরোধ করব, আমাদের একক ভাবে লড়াই (লোকসভা ভোট) করার সুযোগ দিন। জোট করবেন না। তৃণমূলের সঙ্গে জোট করা মানে কংগ্রেসের সর্বনাশ।’’ |