|
|
|
|
|
|
|
ছবি: দ্য লুক অব লাভ
দেশ: ইংল্যান্ড
পরিচালক: মাইকেল উইন্টারবটম
সাল: ২০১৩
শান্তনু চক্রবর্তী |
|
পল রেমন্ড দুনিয়া-কাঁপানো কোনও শিল্পীও নন। মহান জননেতা বা বীর সেনাপতি কিচ্ছু নন! দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় চোরাই নাইলন আর পেট্রোলের কারবার করে মোটা টাকা কামিয়েছিলেন। সেই টাকা প্রোমোটারিতে খাটিয়ে আরও টাকা করেন। এ রকম একটা লোকের জীবন নিয়ে এমনিতে কেউ ‘বায়োপিক’ বানাতে যাবে না। অথচ পরিচালক সেই কাজটাই করলেন! কেন? কারণ রেমন্ড আর এক কাণ্ড করেছিলেন। তিনি ষাট, সত্তর ও খানিকটা আশির দশকের বরফ-কনকনে, বৃষ্টি-স্যঁাতসেঁতে, ছাতা-ওভারকোট-বো-টাই আঁটা ব্রিটিশ মরালিটিকে নগ্ন নারী-শরীরের আঁচে নিয়মিত সেঁকেছিলেন। সরকারের ‘অশ্লীলতা-বিরোধী’ চেম্বারলিন ফতোয়াকে কাঁচকলা দেখিয়ে পল রেমন্ড তৈরি করে নিয়েছিলেন তাঁর নিজস্ব পর্নো-পৃথিবী!
তাঁর বার-রেস্তোরাঁয় ফি-দিন সন্ধে থেকে মাঝরাত অবধি শ্যাম্পেনের সঙ্গে চাখা যেত নারী-শরীর। টপলেস সুন্দরীদের সুডৌল স্তন, মাদকতাময় নিতম্ব, মোহিনী উরু! তবে রেমন্ডের ন্যুড শো-তে সুন্দরীদের শুধু জামাকাপড় খুলে মঞ্চে ছেড়ে দেওয়া হত না, থাকত প্যাকেজিংয়ের নতুন নতুন চমক। কখনও সিংহ ও সুন্দরী! কেশর-ফোলানো ডাঁটিয়াল বদমেজাজি পশুরাজ মাঝখানে একটা টুলের ওপর দাঁড়িয়ে, আর তার দু’পাশে দুটো খুঁটি ধরে ঢলে পড়ছে উদোম গায়ে দুই তন্বী যুবতী। যেন পটে আঁকা ছবি। আবার কখনও তরুণীদের ফিনফিনে কোমর সাপটে ফোঁসফোঁস করছে পাহাড়ি পাইথন। অন্যান্য বার-নাইটক্লাবে স্ট্রিপ-টিজ নাচিয়েরা পোশাক ছাড়তে ছাড়তে শেষ অবধি দু’ফালি ন্যাকড়ায় নামেন। আর পল রেমন্ডের আসরে খেলা তো শূন্য থেকেই শুরু। নগ্নিকা কন্যারা তাঁদের নগ্নতাকেই নতুন নতুন করে মেলে ধরেন। রেমন্ড জানতেন, তাঁর ন্যুড শো যদি রোজ রোজ গাদা গাদা মাংস-চর্বির চিড়িয়াখানা হয়, তা হলে দর্শক দু’দিনে বোর হয়ে যাবে আর ভর সন্ধেবেলা তাঁর রেভ্যুবার-ও ফাঁকা ঢনঢন করবে। তিনি তাই নগ্নতার লাইভ শো-কে আর্ট গ্যালারি বানাতে চেয়েছিলেন, কিংবা কনসার্ট। আলাদা আলাদা নারী-শরীর যেখানে চেলো, হার্প, পিয়ানো কিংবা স্যাক্সোফোন। |
|
এ জন্য মডেলদের ইন্টারভিউ থেকে শুরু করে তালিম পুরো ব্যাপারটাই রেমন্ড নিজে দেখতেন। ছবিতে এ ভাবেই তিনি ইন্টারভিউ নিয়েছিলেন ফিয়োনা রিচমন্ডের। সেটা অবশ্য ন্যুড শো-র জন্য নয়। সেক্স-কমেডি নাটক ‘পায়জামা টপ্স’-এর জন্য। শুনশান থিয়েটার হলে দর্শকের চেয়ারে একা রেমন্ড আর মঞ্চের ওপর ফিয়োনা। ফিয়োনা খুলে ফেলেন তাঁর নাইট-গাউন। রেমন্ড জহুরি-চোখে মেপে নেন তাঁর শরীরী-সম্ভার। তার পর মঞ্চের ওপরেই অ্যাকোয়ারিয়ামের মতো একটা সুইমিং পুল-এ আমরা মত্স্যকন্যার মতো ফিয়োনার জলকেলি দেখি। হুবহু এ রকম একটা দৃশ্য তো ওই নাটকেও ছিল, যা দেখে ‘ডেলি এক্সপ্রেস’ লিখেছিল ‘আর্বিট্রারি ডিসপ্লেজ অব নেকেড ফ্লেশ!’ আর সেই রিভিউয়ের ধাক্কায় নাটক দিনের পর দিন হাউসফুল। ন্যুড-ক্লাব থেকে থিয়েটার, থিয়েটার থেকে নরম পর্নো ম্যাগাজিন পল রেমন্ডের পর্নো সাম্রাজ্য ছড়াতেই থাকে। বিতর্ক, মামলা, জেলে যাওয়া কোনওটাই তাঁর ধনী থেকে আরও ধনী হওয়া ঠেকাতে পারে না।
ছবির পরিচালক রেমন্ডের জীবনটাকে প্রায় ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞের মতো একেবারে ক্লিনিকালি দেখেছেন। ছবিটা এগিয়েওছে তাই নিউজ-রিলের মতো টুকরো এপিসোডিক গড়নে। তাঁর রেমন্ড আগাগোড়া এক জন পেশাদার কারবারি লোক। হৃদয়-মন নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামান না। মেয়েরা তাঁর ব্যবসার কাঁচামাল। তবু ফিয়োনা মঞ্চ থেকে তাঁর ম্যাগাজিন ‘মেন্স ওনলি’-র প্রচ্ছদ ঘুরে, বিছানা পেরিয়ে তাঁর জীবনে ঢুকে পড়েন। ফিয়োনার জন্যই রেমন্ডের পুরনো বিয়েটা ভেঙে যায়। পরিবারটা কয়েক টুকরো হয়ে যায়। এর মধ্যে একটা টুকরোকেই তিনি বুকে আঁকড়ে রাখতে চেয়েছিলেন তাঁর মেয়ে ডেবি। তিনি যেন কিং লিয়র আর ডেবি যেন তাঁর কর্ডেলিয়া। ডেবিকেই তিনি তাঁর এই বিপুল সাম্রাজ্যের উত্তরাধিকার সঁপে যেতে চান। আর ডেবি বিদ্রোহিনীর মতো সেটা দু’হাতে ঠেলে সরিয়ে দেয়। হেরোইনের ওভারডোজে ডেবি মারা যায়। আমরা জানতে পারি, তার পরের মাসেই, ১৯৯৩-এর জানুয়ারিতে ফোর্বস ম্যাগাজিন রেমন্ডকে ব্রিটেনের সেরা ধনী ঘোষণা করে। ছবির শেষ দৃশ্যে রেমন্ড ডেবির ছোট্ট মেয়েটাকে নিয়ে ঘুরে বেড়ান। যেমন করে তিনি কিশোরী ডেবিকে ঘুরিয়ে দেখাতেন তাঁর সাম্রাজ্য। বৃদ্ধ সম্রাটের দু’চোখে তখন স্মৃতির বাষ্প। |
|
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ |
গত কাল যুবকল্যাণ ও বিনোদন মন্ত্রী বাইপাসের ধারে একশো একর জমির ওপর উদ্বোধন করলেন ‘নব বৃন্দাবন পার্ক’-এর। এর ফলে শহরে প্রেমিক-প্রেমিকাদের দীর্ঘ দিনের সমস্যা মিটল। সুইমিং পুল, টয় ট্রেন, রোপওয়ে, বোটিং সহ সব ধরনের বিনোদনের ব্যবস্থা আছে এখানে, আছে কৃত্রিম পাহাড় ও ঝরনা। এমনকী রাত্রিযাপনের জন্য বিলাসবহুল সরকারি লজও আছে। অত্যাধুনিক এই পার্কে হেলিপ্যাডেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। হাওড়া, শিয়ালদহ ও এয়ারপোর্ট থেকে পার্কে আসার জন্য স্পেশাল এসি বাসের ব্যবস্থা আছে। কেবলমাত্র প্রেমিক প্রেমিকাই পার্কে ঢোকার প্রবেশাধিকার পাবেন। তাঁদের আচরণবিধির ওপর কোনও রকম নজরদারির ব্যবস্থা করবে না সরকার। ১২ বছরের নীচে পার্কে প্রবেশ কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ। প্রবেশমূল্য দুজনের জন্য আড়াই হাজার টাকা। ভিতরে বিভিন্ন রাইডের জন্য আলাদা চার্জ লাগবে। ৬০ থেকে ৮০ বছরের প্রেমিক প্রেমিকারা প্রবেশমূল্যের ওপর ৭৫% ছাড় পাবেন। তবে ৮০-র ঊর্ধ্বে কোনও প্রবেশমূল্য দিতে হবে না। উপরন্তু তাঁদের সহজপাচ্য খাবারের প্যাকেট ও উপহারসামগ্রী দেওয়া হবে। পার্কের উদ্বোধন করতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এত দিন শহরে শুধুমাত্র প্রেমিক প্রেমিকাদের জন্য কোনও পার্ক ছিল না। যা ছিল, সবই সর্বসাধারণের জন্য। ফলে প্রেমিক প্রেমিকারা খুবই অসহায় বোধ করতেন। আমাদের পূর্বতন সরকার রাজনীতির স্বার্থসিদ্ধির বাইরে একটি কাজও করেননি। ভোটের আগে আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, মানবজীবনকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলার দিকে মন দেব। সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষার ক্ষেত্রে এটি মাত্র প্রথম ধাপ।’ তিনি আরও বলেন, এর পর আস্তে আস্তে প্রতিটি জেলা শহরে ‘নব বৃন্দাবন পার্ক’ খোলা হবে। লেজার শোয়ের মাধ্যমে হলিউড, বলিউড ও টলিউডের বিখ্যাত রোম্যান্টিক দৃশ্যগুলি দেখিয়ে, তুমুল করতালি ও সিটিধ্বনি সহযোগে অনুষ্ঠানটি শেষ হল।
অতীশচন্দ্র ভাওয়াল, কোন্নগর, হুগলি |
|
|
|
|
রিটায়ার্ড খেলোয়াড়ের সরঞ্জামের
দশটা আশ্চর্য ব্যবহার
উপল সেনগুপ্ত |
|
|
১ |
২ |
৩ |
ব্যাডমিন্টনের কক হবে ল্যাম্পশেড |
স্নুকারের বলগুলো ঘষেমেজে
ক্রিসমাস ট্রি সাজান |
ক্যারম বোর্ডটাকে দেওয়ালে
টাঙিয়ে দিলেই নোটিস বোর্ড |
|
|
৪ |
|
ক্রিকেটের স্টাম্পগুলো পুঁতে বেড়া বানিয়ে ফেলুন
|
৫ |
৬ |
৭ |
ভলিবলের নেট এখন মাছ ধরার জাল
|
টিটি-র র্যাকেট অনায়াসে হবে খাসা ফ্রাইং প্যান
|
বেয়াড়া মাছিদের মারতে
টেনিস র্যাকেট দারুণ কাজের |
|
|
৮ |
৯ |
বুল ফাইটিংয়ের কাপড়টা
তো দিব্যি গ্ল্যামারাস গামছা |
হকি স্টিকটাকে উলটে নিলেই
বুড়ো বাবার চমত্কার লাঠি
|
|
|
১০ |
তির আর ধনুক কাগজের হকারকে দিয়ে দিন, কক্ষনও টার্গেট মিস হবে না |
|
|
|
|
• বছরখানেক আগে ঘটা করে রটানো হয়েছিল, সারা দেশের মধ্যে কলকাতাতেই প্রথম দোতলা শৌচালয় তৈরি হতে চলেছে। এক বছর পর যখন ৩০টি ‘দোতলা সুলভ’ শহরের বুকে জ্বলজ্বলে, তক্ষুনি ঘোষণা, এই শহরে দোতলা শৌচালয় অবাস্তব, ভাবনার গোড়ায় গলদ ছিল। অতএব পুরকর্তাদের নিদান, একতলা যেমন ছিল থাকুক, শুধু শৌচালয়ের দোতলায় রেস্তরাঁ হোক। অ্যাত্ত ভাঙাগড়ার খরচা সব আসছে কেন্দ্রের ট্যাঁক থেকে, তাই দোতলা বাড়ির মূল নকশা পালটানো যাবে না, তাই পুরকর্তাদের এ হেন সলিউশন-সূত্র। না হয় হলই এট্টু হাঁসজারু মার্কা (একতলায় টয়লেট আর দোতলায় কাটলেট, এ বড় উল্লুস কম্বো নয়), তাতে কী, ঘিঞ্জি বড়বাজারে ওরম কত্ত আছে কেউ পোঁছেও না! শুধু খেয়াল রাখতে হবে, দোতলার খুশবু যত খুশি নীচে নামুক ক্ষতি নেই, ভাইসি ভার্সা হলে কেলো। হয়তো রেস্তরাঁর কেবিনগুলো একটু বেশি ছোট আর সরু (আসলে তো বাথরুম ভেবে তৈরি) বলে কিঞ্চিত্ হাঁপ ধরবে, জানলাগুলো কালো কাচে ফরএভার সাঁটা তাই আউটডোর অদৃশ্য। তবে ভরসা, বুঝদার মাত্রেরই মনে পড়বে, ওপরে ভোজনালয় আর নীচে শৌচালয়, এই আপাত-কদর্য সমীকরণের মধ্যে লুকিয়ে অমোঘতম দর্শন: ওপরে বসে যে সুন্দর সুস্বাদু খাবারই খাও, অন্তিম তো ওই নীচতলার বর্জ্যবস্তুই। ‘ফুরাবে সব চিতার কাঠে’ টাইপ এই শিক্ষে দিতেই মহাপুরুষরা পেল্লায় খেটেছেন, এক জন তো বাজার-মধ্যিখানে গণিকার অতুলন রূপবতী মৃতদেহ রেখে দিয়েছিলেন, লোকে যাতে পচনোত্তর ভেতর-সত্য বোঝে। এ কাণ্ডও তেমনই, নতুন আইটেম: বৈরাগ্য-বিরিয়ানি!
• ইতালির রাস্তায় জনতার প্রতিবাদ মিছিলে এক প্রতিবাদী তরুণী পুলিশের হেলমেটে চুমু খাওয়ায় কর্তৃপক্ষ মেয়েটির বিরুদ্ধে পুলিশকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ আনলেন। সোশাল মিডিয়ায় যখন এই ছবি ঘিরে তুমুল দাপাদাপি, এই চুমু ‘শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের পরাকাষ্ঠা’ এই নিয়ে আলোচনা কাঁপাকাঁপি, তক্ষুনি জনতার এন্থু-অগ্নিতে বেরসিক জল ঢেলে পুলিশের বিবৃতি, ‘অন ডিউটি’ পুলিশের হেলমেটে চুমু খাওয়া মানে এক জন কর্তব্যরত পুলিশকে শুধু অপমান করাই নয়, তা সেক্শুয়াল ভায়োলেন্স-এর শামিল। যদি উলটোটা হত, পুলিশই মেয়েটিকে জাপটে চুমু খেত বা আচমকা চাপড়ে দিত পিছনটা, তবে তো তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ লেগে যেত। তা হলে একই কম্ম কেউ ‘ইন ইউনিফর্ম’ সরকারি কর্মীকে করলে কেন অপরাধ হবে না? অবিশ্যি হেলমেটে চুমু মারকাটারি নিরামিষ, তবু ঠিকই, আইন সবার জন্যেই সমান, কেউ ‘মেয়ে’ বলে তাঁকে শুধু যৌন নির্যাতনের সম্ভাব্য শিকারই ভাবা হবে, শিকারি ভাবা যাবে না, কেন? আবার এ কাণ্ড দেখিয়ে দিল, গাঁধীগিরির মহা বিপদ। এখন থেকে ‘জাদু কি পাপ্পি’ দিতেও কাঁড়ি ভাবতে হবে। তুরস্কের এরদেম গুন্দুজ শহরের মধ্যিখানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সটান দাঁড়িয়ে থেকে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। ওই স্থাণু প্রতিবাদভঙ্গিই এখন থেকে আচরণীয়? |
|
|
অ্যালোন
অ্যা করতেও লোন নেয় যে
ফুরায় এ জীবনের সব Lane.
Then,
থাকে শুধু অন্ধ Car
‘মুখোমুখি বসি’ Bar. |
|
|
|
• নিঃসঙ্গতার মধ্যেই জীবনের গভীরতম কাজগুলো শুরু হয়।
টমাস মার্টন
• নেশা করে আমার নিঃসঙ্গতাকে ঠকাতে পারব না। ওইটুকুই তো আমার আছে।
ফ্রান্জ কাফকা
• যখন নিজের সঙ্গে কথা বলা আমরা বন্ধ করে দিই, তখনই শেষের শুরু।
এডওয়ার্ড গিবন
• যদি নিঃসঙ্গতাকে ভয় পাও, বিয়ে কোরো না।
আন্তন চেখভ
• নিঃসঙ্গতায় প্রধান অবদান টিভি-র। গোটা পরিবার এক সঙ্গে ‘একা’ হয়ে যায়।
অ্যাশলে মন্টাগু
• কোনও নিঃসঙ্গতাই ব্যর্থতার নিঃসঙ্গতার চেয়ে ভয়াবহ নয়।
এরিক হফার
সমগ্র পশ্চিমবঙ্গ
প্রচণ্ড নিঃসঙ্গ
কাব্যে কাঁদছে গানে কাঁদছে
এসএমএসে ঝরছে কান্না
অচেনা লোককে ডেকে বলছে,
ফুচকা খাবেন? খান না!
প্রেম করছে বিয়ে করছে বিয়ের বাইরেও প্রেম
কিচ্ছু না করার থাকলে করছে সিপিয়েম
তবু নিজের সঙ্গে একলা থাকার রিস্ক
কেউ নেবে না, ব্যান্ড: আত্ম-ইশ্ক!
• প্রঃ একা থাকা ভাল?
গর্গরেফ: সবচেয়ে ভাল। সার্ত্র-র কথা মনে রাখা উচিত: অন্য মানুষরাই হচ্ছে ‘নরক’। অন্যদের তোয়াক্কা না করে, নিজের গন্ধ নিতে নিতে যে বাঁচা, সে-ই আসল বাঁচা।
প্রঃ হৃদয় যে কাঁদে?
গর্গরেফ: হৃদয় নয়, অধিকাংশ সময় যৌনাঙ্গ কাঁদে, যমজ ভাই বলে এর সঙ্গে ওর গুলিয়ে যায়। হৃদয় দিব্যি ছিল, কিন্তু টিভির সঙ্গে মিশে, নাটুকে আকাঙ্ক্ষাগুলোকে নিজের বলে জপিয়ে নিয়েছে। |
|
|
আপনিও লিখে পাঠাতে চান ভবিষ্যতের একটা রিপোর্ট? ঠিকানা:
টাইম মেশিন,
রবিবাসরীয়,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০ ০০১ |
|
|
|
|
|
|
|