পুজোর ব্যবস্থার পরে এ বার স্মারক-প্রাপ্তি। রাজ-কুলদেবতা মদনমোহনের ছবি দেওয়া রূপোর স্মারকও এ বার সংগ্রহ করা যাবে অনলাইনেই।
সম্প্রতি অনলাইনে মদনমোহনের পুজোর ব্যবস্থা চালু করতে উদ্যোগী হয় দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ড। বোডর্র্ সূত্রেই জানা গিয়েছে, অনলাইনে পুজোর ব্যবস্থা চালুর প্রক্রিয়া এগিয়েছে। ওয়েব সাইট তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। চলতি ডিসেম্বরের মধ্যেই ওই ব্যবস্থা চালু হয়ে যাবে। মদনমোহন দেবের ছবি সংবলিত স্মারকের চাহিদার কথা ভেবে একই ওয়েব সাইটকেই স্মারক বিক্রির কাজে লাগাতে চাইছে দেবোত্তর ট্রাষ্ট বোর্ড। সব ঠিক থাকলে জানুয়ারি থেকেই আগ্রহীরা ঘরে বসে ভক্তদের দানের রূপোর গয়না গলিয়ে গড়া ওই স্মারক কেনার জন্য নাম তালিকাভুক্ত করার সুযোগ পাবেন। লন্ডন থেকে লখনউ বা কুয়ালামপুর-কলকাতাবেসরকারি ব্যাঙ্কের নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দিলেই আবেদনকারীদের দেওয়া ঠিকানায় ঝকঝকে ওই স্মারক পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থাও করবেন ট্রাস্ট বোর্ড কর্তৃপক্ষ। সে ক্ষেত্রে বাড়তি পার্সেল খরচ লাগবে। কোচবিহারের সদর মহকুমা শাসক তথা ওই ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য বিকাশ সাহা বলেন, “মদনমোহন দেবের ছবি সম্বলিত স্মারক সংগ্রহে চাহিদার কথা মাথায় রেখেই আমরা অনলাইনে তা বিক্রির বন্দোবস্ত করার কথা ভাবছি। জানুয়ারি থেকেই যাতে তা চালু করা যা। সে ব্যাপারে যথাসাধ্য চেষ্টা হচ্ছে।”
প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, ওয়েবসাইটে স্মারকের একাধিক ছবি থাকবে। সঙ্গে থাকবে নির্দিষ্ট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নম্বর। ৫, ১০ ও ২০ গ্রাম ওজনের রূপোর স্মারক দেশ বিদেশের যে কোনও এলাকায় বসেই ই-মেল করে পছন্দমতো বুক করা যাবে। বুকিংয়ের সূত্রেই ক্রমানুসারে তৈরি করা হবে ক্রেতাদের তালিকা। তারপর ওই অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দিলেই স্মারক সংশ্লিষ্ট প্রেরকের জন্য সংরক্ষিত হয়ে যাবে। এবং নির্দিষ্ট ঠিকানায় তা পাঠিয়ে দেওয়া হবে। দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ডের কয়েকজন কর্মী জানিয়েছেন, বর্তমান বাজারদরের নিরিখে তৈরির খরচ মিলিয়ে ভারতীয় মুদ্রায় নির্ধারিত ওজনের স্মারক মুদ্রাগুলির দাম পড়বে প্রায় ৩৫০ টাকা থেকে ১৩০০ টাকার মধ্যে। ওয়েবসাইটে ইউরো, ডলার, পাউন্ডে তা কত হবে তাও জানিয়ে দেওয়া হবে। দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ড সূত্রে জানা গিয়েছে, ভক্তদের দানের প্রায় ৭০ কেজি রুপোর গয়না মন্দিরে জমে ছিল তা কাজে লাগাতে রথের সময় পরীক্ষামূলক ভাবে ৫ কেজি গলিয়ে ওই স্মারক করা হয়। তা দ্রুত বিক্রি হতেই আরও ৪০ কেজি রূপো গলিয়ে স্মারক তৈরি করা হয়েছে। ওই স্মারকও দ্রুত ফুরিয়ে যাবে বলে ধরে নিয়ে আরও ২৫ কেজি রূপোর গয়না গলিয়ে স্মারক তৈরির জন্য আদালতের অনুমতি নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তাতেও চাহিদা মেটানো সম্ভব নয়, আঁচ করেই বাজার থেকে রূপো কিনে স্মারক তৈরি করে তা অনলাইনে বিক্রির এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। |