রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে জলপাইগুড়ি জেলাশাসকের দফতরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করল কংগ্রেস। ওই অভিযানকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সকাল থেকেই জেলা কংগ্রেস নেতাদের তৎপরতা চোখে পড়েছে। জেলার সব ব্লক থেকে কংগ্রেসের নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য থেকে বিধায়করাও এ দিনের অবস্থানে যোগ দিয়েছিলেন। রাজনৈতিক সূত্রের খবর, সম্প্রতি জেলা কংগ্রেসে পরপর কয়েকটি ভাঙনের ঘটনার মোকাবিলায় সংগঠনকে শক্তিশালী করতেই এদিন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে চড়া সুরে আক্রমণ শুরু করল কংগ্রেস। বস্তুত এ দিন জেলা শাসকের দফতরের সামনে অবস্থান মঞ্চে কংগ্রেস নেতাদের বক্তৃতার সুরও ছিল বেশ চড়া।
জলপাইগুড়ি পুরসভা সহ জেলাকে বিভিন্ন প্রকল্পে রাজ্য সরকারের বঞ্চনার অভিযোগ নিয়েই কংগ্রেস নেতারা এদিন সরব ছিলেন। সেই সঙ্গে এসজেডিএ-এর দুর্নীতির অভিযোগের এবং সারদা কাণ্ডের সিবিআই তদন্তও দাবি করেন জেলা কংগ্রেস নেতারা। জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার সাংগঠনিক দুই জেলার কোঅর্ডিনেটর মোহন বসু, জলপাইগুড়ি জেলা কংগ্রেস সভাপতি নির্মল ঘোষদস্তিদার, বিধায়ক জোসেফ মুন্ডা, শহর ব্লক কংগ্রেস নেতা পিনাকী সেনগুপ্ত, কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন।
নাগরাকাটার বিধায়ক জোসেফ মুন্ডা বলেন, “এক দিকে রাজ্য সরকার জলপাইগুড়ি জেলা, পুরসভা, কংগ্রেসের বিধায়কদের এলাকায় বঞ্চনা করছে আর অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেস ভাঙানোর খেলা শুরু করেছে। তবুও এতে কংগ্রেসের কোনও ক্ষতি হবে না। জেলার চা বাগান গুলিতে অর্ধাহার, অপুষ্টিতে মৃত্যু হলেও রাজ্য সরকার কোনও পদক্ষেপ করছে না। আগামী লোকসভা নির্বাচনে জেলার বাসিন্দারা যোগ্য জবাব দেবেন।”
এ দিন অবস্তানের পরে জেলার উন্নয়ন, এসজেডিএ এবং সারদা কাণ্ডের সিবিআই তদন্ত সব ৯ দফা দাবিতে জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসককে স্মারকলিপি দিয়েছে কংগ্রেস। জেলা কংগ্রেসের অবস্থানে এ দিন কর্মী-সমর্থকদের ভিড় দেখে জেলা নেতারা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। যদিও জেলা তৃণমূলের সভাপতি চন্দন ভৌমিক বলেন, “রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কেউ কোনও দাবি করতেই পারেন। জেলায় কী উন্নয়ন হচ্ছে, তা জেলাবাসী দেখতেই পারছেন। চা বাগানের পরিস্থিতিও যথেষ্ট ভাল।” |