সহায়ক মূল্য দিয়ে সরাসরি চাষিদের কাছ থেকে ৩০ লক্ষ মেট্রিক টন ধান কিনতে প্রাথমিক ভাবে লাগবে এক হাজার কোটি টাকা। এই অবস্থায় ৫২০ কোটি টাকা ধার করছে রাজ্যের খাদ্য দফতর। তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ শিল্প উন্নয়ন ও আর্থিক নিগম (ডব্লিউবিআইডিএফসি) দেবে ১২০ কোটি টাকা। বাকি ৪০০ কোটি টাকা দেবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।
তারা ইতিমধ্যে ২৫০ কোটি টাকা দিয়েছে বলে জানান খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
খাদ্য দফতরকে কেন এত টাকা ঋণ নিতে হচ্ছে?
খাদ্যমন্ত্রী জানান, এ বার ২২ লক্ষ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য হয়েছে। ওই চাল পেতে হলে চাষিদের কাছ থেকে ৩০ লক্ষ মেট্রিক টন ধান কিনতে হবে। এ-পর্যন্ত কেনা হয়েছে দু’লক্ষ দু’হাজার মেট্রিক টন। ডিসেম্বরের বাকি কয়েক দিনের মধ্যে তিন লক্ষ ১০ হাজার মেট্রিক টন ধান কেনার লক্ষ্য স্থির হয়েছে। মন্ত্রীর বক্তব্য, অভাবী বিক্রি বন্ধ করতে এ বার চাষিদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কেনার উপরে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এই কাজ ঠিকমতো হচ্ছে কি না, তা দেখতে নজরদারিও থাকছে। প্রতিদিন কোন সংস্থা এবং কোন ধানকল কত ধান কিনছে, তা এসএমএসের মাধ্যমে খাদ্য দফতরে জানাতে হচ্ছে। এই পুরো প্রক্রিয়ার খরচ সামলাতে ঋণ নিতে হচ্ছে। জ্যোতিপ্রিয়বাবু বলেন, “রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, নিগম ছাড়াও ধান কিনতে অর্থ দেবে বেনফেড, নাফেড, কনফেডের মতো বিভিন্ন সমবায় সংস্থা।” এ বার মরসুমের শুরুতেই বাজারে ধানের দর অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। কারণ, এখন পশ্চিমবঙ্গের চাল বিদেশে রফতানি হতে কোনও বাধা নেই। ফলে অনেক জায়গায় সহায়ক মূল্য দিয়ে ধান কেনার চেষ্টা করেও সরকারকে খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে বলে জানান খাদ্যমন্ত্রী।
তবে যে-কোনও উপায়ে চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতেই হবে বলে জেলা প্রশাসন ও খাদ্য দফতরের কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী। প্রয়োজনে ধান সংগ্রহ অভিযান জোরদার করতে বলেছেন তিনি। |