ক্ষমতায় এসেই শরৎ সদনে আলো এনে দিল হাওড়া পুরসভার তৃণমূল বোর্ড। ৯২ লক্ষ টাকা বিদ্যুতের বিল বকেয়া থাকায় অক্টোবরে শরৎ সদনের বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দিয়েছিল সিইএসসি। শুক্রবারই বকেয়া টাকার এক তৃতীয়াংশ মিটিয়ে দেওয়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ ফেরাল সিইএসসি।
এ দিন হাওড়ার তৃণমূলের মেয়র রথীন চক্রবর্তী বলেন, “বাসিন্দাদের কাছে সুখবর যে শরৎ সদনে ফের আলো জ্বলে উঠেছে। গত বাম বোর্ড বিদ্যুতের বিল না মেটানোয় যে টাকা বাকি ছিল তা সিইএসসি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে তিনটি কিস্তিতে মিটিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। শুক্রবার ৩০ লক্ষ টাকার চেক দেওয়া হয়। এর পরই সিইএসসি কর্তৃপক্ষ বিদুৎ সংযোগ দিয়ে দেন।” |
হাওড়া পুরসভা পরিচালিত শরৎ সদনে বিদুৎ সংযোগ কেটে দেওয়া নিয়ে কয়েক মাস আগে বিস্তর জলঘোলা হয়। বিদ্যুতের বিল না দিতে পারার কারণ হিসাবে বিগত বামবোর্ড তৃণমূল সরকারকে দায়ী করে অভিযোগ করেছিল, রাজ্য সরকার বিদু্যৎ বিলের টাকা না দেওয়ায় অত টাকা বকেয়া থেকে গিয়েছে। রাজ্য সরকারের তরফে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছিলেন, শরৎ সদনের ভাড়া নেয় পুরসভা, নিয়ম অনুযায়ী তারাই বিদ্যুতের বিল দেবে। এর পর এ বারের পুর নির্বাচনে হাওড়ায় বামফ্রন্টকে হটিয়ে তৃণমূল পুরবোর্ড দখল করার পরই শরৎ সদন নিয়ে নিজে সিইএসসি-র সঙ্গে কথা বলেন মন্ত্রী। তার পরই সমস্যা মেটে।
এ দিনই হাওড়া পুরসভা এলাকায় কেব্ল ফল্ট বা অন্য কারণে রাস্তা খোঁড়া নিয়ে সিইএসসি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মেয়র ও পুরসভার আধিকারিকরা। বৈঠকে সিইএসসিকে স্পষ্ট জানানো হয়, পুরসভার প্রয়োজনীয় অনুমতি ছাড়া এখন থেকে আর যখন তখন রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি করা যাবে না বা রাস্তা খোঁড়ার পর দীর্ঘদিন ফেলে রাখা যাবে না। দ্রুত সারিয়ে ফেলার ব্যবস্থা করতে হবে।
মেয়র বলেন, “আগে সিইএসসি-র সঙ্গে পুর কর্তৃপক্ষের কোনও সমন্বয় না থাকায় রাস্তা খোঁড়ার পর তা সারানো হত না। এখন তাই ঠিক হয়েছে পুরসভা ও সিইএসি-র মধ্যে এ ব্যাপারে একটা সমন্বয় তৈরির চেষ্টা করা হবে এবং যাতে দ্রুত রাস্তা সারানো যায়, তা আগে নিশ্চিত করতে হবে।” বৈঠকের পর সিইএসসি-র এক পদস্থ কর্তা বলেন, “রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি নিয়ে প্রাথমিক একটা আলোচনা হয়েছে। পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, এ ব্যাপারে দু’পক্ষের মধ্যে আলোচনা করে কাজ করতে হবে যাতে পুর পরিষেবা বিঘ্নিত না হয়।” মেয়র জানান, সিইএসসি-র সঙ্গে এ দিন ত্রিফলা আলো লাগানো নিয়েও কথা হয়। কারণ খুব শীঘ্রই শহর জুড়ে ২০ কোটি টাকার ত্রিফলা আলো লাগানো হবে। ত্রিফলার বিদ্যুৎ সংযোগ কোন কোন জায়গা থেকে নেওয়া হবে তা নিয়ে সিইএসসি-র সঙ্গে একপ্রস্থ আলোচনা হয়েছে। মেয়র জানান, ‘ক্লিন হাওড়া, গ্রিন হাওড়া’র লক্ষ্যেও কাজ শুরু হয়েছে। কিছু কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে জঞ্জাল পরিষ্কারের বিষয়েও। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে দ্বিতীয় দফায় সাফাইয়ের জন্য একশো দিনের কাজের আওতায় পুরসভায় আরও ২০ জন লোক নেওয়া হয়েছে। |