রয়েছে অটো রুট। কিন্তু পর্যাপ্ত অটো নেই। দীর্ঘ দিন ধরেই হাওড়ায় অটোর আকালে নাজেহাল বাসিন্দারা।
হাওড়া আঞ্চলিক পরিবহন দফতর সূত্রে খবর, এ শহরে সরকারি অনুমোদিত ১৮টি অটো রুট রয়েছে। এর মধ্যে আটটি রুটে অটো চলে না। অথচ হাওড়া ময়দান ও স্টেশন থেকে সালকিয়ার মতো কয়েকটি রুটে
ভিড় উপচে পড়লেও অটো মেলে না বলে অভিযোগ।
হাওড়া ময়দান থেকে সালকিয়া রুটে ৫৬টি অটো চলে। কিন্তু এতে যাত্রীচাপ সামলানো যাচ্ছে না বলে জানান অটোচালকরা। এক অটোচালক বলেন, “অটো কম থাকায় বেশ কিছু বেআইনি শাট্ল সালকিয়া থেকে হাওড়া স্টেশন বা হাওড়া ময়দান যাতায়াত করে। যাত্রীদের থেকে মাথাপিছু ১৫ টাকা ভাড়া নেওয়া হয়। যেখানে অটোয় ভাড়া সাত টাকা।” |
দীর্ঘ অপেক্ষা। হাওড়া ময়দানে। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার। |
বকুলতলা বাস স্ট্যান্ড থেকে সাঁতরাগাছি রেল স্টেশন ভায়া দক্ষিণ বাকসাড়া (রুট নম্বর ১১) সরকারি অনুমোদিত অটো রুট। কিন্তু এ রুটে অটো নেই। কোনও যাত্রীকে বটানিক্যাল গার্ডেন বা বকুলতলা থেকে সাঁতরাগাছি আসতে হলে প্রথমে বাসে মৌড়িগ্রাম স্টেশন। পরে সেখান থেকে ট্রেনে সাঁতরাগাছি স্টেশন। এতে অর্থ ও সময়ের অপচয় হয়। অটো থাকলে খরচ, সময় দুই বাঁচত।
অটোচালকরা জানান, এলপিজি অটো আসার পরে অটোর সংখ্যা কমে গিয়েছে। নতুন অটোর পারমিট পাওয়া যাচ্ছে না। তাই রুট থাকা সত্ত্বেও রাস্তায় অটো নামানো যাচ্ছে না। যাত্রীদের ভোগান্তি হচ্ছে। এক অটোচালক জয়দেব দাস বলেন, “সরকার আমাদের নতুন অটো রাস্তায় নামানোর অনুমতি দিলে সমস্যা মিটবে। অনেক মালিক অটো নামাতে ইচ্ছুক। শুধু সরকারের অনুমতি দরকার।”
তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতি অরূপেশ ভট্টাচার্য বলেন, “যে সব রুটে অটো চলছে না সেখানে দ্রুত অটোর পারমিট দেওয়ার জন্য সরকারকে অনুরোধ করেছি।” কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ মণ্ডল বলেন, “অটোর রুট এবং অটোর সংখ্যা আরও বাড়ানো উচিত। সাধারণ মানুষের খুবই সমস্যা হয়। জেলাশাসকের কাছে লিখিত ভাবে আবেদনও জানিয়েছি।” পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র বলেন, “হাওড়ার অটোর সমস্যা নিয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। কাগজপত্র ঠিক থাকলে নতুন অটোর পারমিট পাওয়া নিয়ে সমস্যা হবে না।” |