ত্রিফলা বাতির স্তম্ভ থেকে বিপজ্জনক ভাবে বেরিয়ে রয়েছে বিদ্যুতের তার। একটু অসতর্ক হলেই বড় বিপদ ঘটতে পারে। তবু বিপদ মাথায় নিয়েই আলিপুর রোডের চিড়িয়াখানা সংলগ্ন ফুটপাথে রোজ যাতায়াত করতে হয় অসংখ্য মানুষ।
ক্ষুব্ধ পথচারীরা জানান, দিনের পর দিন এমন চলছে। কেউ কোনও ব্যবস্থা নেন না। আলিপুর রোড সংলগ্ন ভানুভকত সরণিতে পুরসভার পুরনো বাতিস্তম্ভের নীচের খোলা বক্সে প্লাস্টিকের কাপ, কাগজ, বোতল এবং অন্যান্য আবর্জনা জমছে। সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা জানান, বার বার আবেদন জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি।
জাতীয় গ্রন্থাগার থেকে চিড়িয়াখানা পর্যন্ত আলিপুর রোডের অংশটি সব সময় খুব ব্যস্ত। |
বাতিস্তম্ভ থেকে বেরিয়ে এসেছে বিদ্যুতের তার। |
রাস্তার পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়া কঠিন। কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ সূত্রে খবর, আলিপুর রোডের এই অংশটি অত্যন্ত দুর্ঘটনাপ্রবণও। ফলে পথচারীদের ফুটপাথই ব্যবহার করতে হয়। স্থানীয় বাসিন্দা রমেশপ্রসাদ সাউ বলেন, “যে ভাবে ল্যাম্পপোস্ট থেকে তার বেরিয়ে রয়েছে তাতে যে কোনও পথচারীর গায়ে লেগে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।”
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, আলিপুর রোডের মতো ব্যস্ত রাস্তায় ত্রিফলা আলোর স্তম্ভগুলির ঠিক ভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় না। এলাকার পুরনো বাতিস্তম্ভগুলির হাল ভালো নয়। প্রতি দিন বহু পড়ুয়াও এই ফুটপাথ দিয়ে যাতায়াত করেন। ত্রিফলা আলোর স্তম্ভ থেকে বেড়িয়ে আসা বিদ্যুতের তার, খোলা মিটার বক্স থেকে ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। |
পুরনো বাতিস্তম্ভের নীচে খোলা বক্সে জমেছে আবর্জনা। |
চিড়িয়াখানা, জাতীয় গ্রন্থাগার, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস, একাধিক বেসরকারি হাসপাতাল থাকায় সারা দিনই এই এলাকায় বহু মানুষের যাতায়াত। কলকাতা পুরসভার আলো বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরের বিভিন্ন এলাকার ত্রিফলা আলোর স্তম্ভগুলি নিয়ে নানা অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু আলিপুর রোডের ত্রিফলা স্তম্ভগুলি নিয়ে তাদের কাছে নির্দিষ্ট ভাবে কোনও অভিযোগ আসেনি। কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (আলো) মনজর ইকবাল বলেন, “আমার কাছে আলিপুর এলাকা থেকে এই ধরনের কোনও অভিযোগ আসেনি। বিভাগের ইঞ্জিনিয়ারদের কাছ থেকে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।” |