জোকার নিকাশির সংস্কার প্রকল্পকে জওহরলাল নেহরু ন্যাশনাল আর্বান রিনিউয়াল মিশন-এর (জেএনএনইউআরএম) অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা পুরসভা। কারণ পুরসভার বক্তব্য, তাদের একার পক্ষে এত বড় প্রকল্প রূপায়ণ সম্ভব নয়।
কলকাতা পুরসভার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “কী ভাবে জোকা এলাকার নিকাশির উন্নতি করা যায় সে ব্যাপারে একটি নকশা তৈরির কথা ভাবা হয়েছে। আপাতত সেই কাজই চলছে।” পুরসভার মেয়র পারিষদ (নিকাশি) রাজীব দেব বলেন, “এই এলাকার নিকাশির উন্নতির জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিকল্পনার প্রয়োজন। তাই এই প্রকল্পকে জেএনএনইউআরএম-এর অন্তর্ভুক্ত করার কথা ভাবা হয়েছে। এই প্রকল্পের জন্য পরামশর্দাতা নিয়োগের ব্যাপারে দরপত্র ডাকা হয়েছে।” |
জোকা এলাকার নিকাশি উন্নয়নের চেষ্টা চলছে। —নিজস্ব চিত্র। |
বছর খানেক আগেই জোকার ১৮.৫ বর্গকিলোমিটার এলাকা কলকাতা পুরসভার আওতায় আসে। এলাকাটি ১৪২, ১৪৩ এবং ১৪৪ নম্বর ওয়ার্ডে ভাগ হয়ে যায়। পুরসভার নিকাশি দফতরের এক আধিকারিক জানান, এখানকার অন্যতম সমস্যা নিকাশি। সম্প্রতি, পুরসভার নিকাশি দফতরের আধিকারিকরা এই সংযোজিত এলাকার নিকাশি ব্যবস্থা পরিদর্শন করেন। তাঁরা জানান, নিকাশির জন্য কোনও নালা নেই। বৃষ্টির জল আশপাশের ফাঁকা জমিতে জমে থাকে। নিকাশির জল বেরনোর জন্য চড়িয়াল খালই এক মাত্র ভরসা। কিন্তু পলি জমে এই খালের অবস্থাও খারাপ হয়েছিল। যদিও রাজ্য সেচ দফতর সম্প্রতি এই খালের পলি তোলার কাজ শুরু করেছে। এই খাল সংস্কার হলে এখানকার নিকাশি সমস্যা অনেকটাই মিটবে বলে সেচ দফতরের দাবি। কিন্তু যে নর্দমা দিয়ে জল সরাসরি খালে পড়ে সেগুলির অবস্থা খুব খারাপ। পুরসভাকে এই ব্যাপারে জানানো হয়েছে বলেও সেচ দফতর জানিয়েছে।
পুরকর্তৃপক্ষ জানান, নির্দিষ্ট পরিকল্পনা ছাড়া নিকাশির উন্নতি অসম্ভব। এর জন্য প্রয়োজন বড় নালা এবং পাম্পিং স্টেশনের। এর জন্য যে পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন তা পুরসভার হাতে নেই। সেই জন্যই এই প্রকল্পকে জেএনএনইউআরএম-এর অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত।
কলকাতা পরিবেশ উন্নয়ন প্রকল্পের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পর্যায়েও জোকার নিকাশির উন্নয়নের জন্য পরিকল্পনা রয়েছে। যদিও কলকাতা পরিবেশ উন্নয়ন প্রকল্পের ডিরেক্টর জেনারেল সৌম্য গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “জোকার নিকাশির উন্নতির জন্য একটি প্রকল্প থাকলেও তা বাস্তবায়িত করতে সময় লাগবে।” |