আবু নাসের খান চৌধুরী কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করতেই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তৃণমূলের একাধিক নেতা কর্মী কোতুয়ালির বাড়িতে ভিড় করা শুরু করলেন। বৃহস্পতিবার সকালে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অম্লান ভাদুড়ি দীর্ঘক্ষণ কংগ্রেস বিধায়কের সঙ্গে একান্তে বৈঠক করেন। বৈঠকের শেষে অম্লানবাবু বলেন, “লেবুবাবু তৃণমূলে যাচ্ছেন। কবে তৃণমূলে যোগ দেবেন, সে ব্যাপারে কথা বলতেই জেলা সভাপতির নির্দেশে ওঁর সঙ্গে আলোচনা করতে কোতুয়ালি গিয়েছিলাম। লেবুবাবু তৃণমূলে আসলে দল আরও শক্তিশালী হবে।”
দলীয় সূত্রের খবর, লোকসভা ভোটের আগে কোতুয়ালিতে গনি পরিবারে ভাঙন ধরাতে এখন তৃণমূল নেতারা সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। লেবুবাবুকে দলে টেনে নিয়ে লোকসভা ভোটে দাঁড় করাতে তোড়জোড়ও শুরু হয়েছে। পরিস্থিতি দেখে দিল্লি থেকে তড়িঘড়ি মালদহে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী আবু হাসেম খান চৌধুরী ও নবনিযুক্ত জেলা কংগ্রেস সভাপতি মৌসম বেনজির নুর। আবু হাসেম খান চৌধুরী বলেন, “লোকপাল বিলের জন্য দিল্লিতে ব্যস্ত ছিলাম। শনিবারের মধ্যে মালদহে গিয়ে দাদার সঙ্গে কথা বলব। উনি যাতে কংগ্রেস না ছাড়েন, সেই চেষ্টা করব।” আর জেলা কংগ্রেস সভানেত্রী তথা সাংসদ মৌসম বলেন, “১-২ দিনের মধ্যেই মালদহে গিয়ে মামার সঙ্গে কথা বলব। কে কী বলছেন জানি না। উনি যাতে কংগ্রেসে থাকেন, তা দেখব।” তবে আবু নাসের এদিনও নিজের অবস্থানে অনড় রয়েছেন। এদিন তিনি বলেন, “মৌসম আমার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দিতে চাইছে। আমার যে সন্মান পাওয়া উচিত ছিল, তা দেওয়া হয়নি। ডালু (আবু হাসেম) আমাকে বরাবর ভুল বুঝিয়েছে। ওঁর জন্যই আমাকে দেশ ছাড়তে হয়েছিল। আমি আর কারও কথা শুনব না।” তাঁর বক্তব্য, “গনিখানের ছেলে সায়মন খান চৌধুরী ও মেয়ে জসমিনের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। ওঁদের দেশে নিয়ে আসব। ডালু এবং মৌসম গনিখানের সব সম্পত্তি আত্মসাৎ করছেন। এটা আর হতে দেওয়া যাবে না। আমাকে কংগ্রেস নেতৃত্ব লোকসভায় প্রার্থীও করতে চেয়েছিল। ওঁরা দু’জন তা হতে দেয়নি। আমি রাজ্যসভার যোগ দিতে চাই। তৃণমূল নেতাদের আগ্রহের বিষয়টি বলেছি।” |