টুকরো খবর
বন্যা সতর্কতায় এসএমএস
বন্যা সংক্রান্ত তথ্য আগে পাওয়ার জন্য সাটেলাইট প্রযুক্তি ব্যবহার করবে রাজ্য সেচ দফতর। বিশ্ব ব্যাঙ্কের আর্থিক সহায়তায় আগামী আর্থিক বছর থেকেই ওই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। সেচ দফতরের প্রায় ৫০০ ইঞ্জিনিয়ারের মোবাইলে স্যাটেলাইট থেকে আধ ঘণ্টা অন্তর এসএমএস পৌঁছে যাবে। সেই তথ্য দেখে বন্যার আগাম সর্তকতা জারি করা যাবে। রাজ্য সেচ দফতরের ওই প্রকল্প বর্তমানে কেন্দ্রীয় জল কমিশনের বিবেচনাধীন। কমিশন সূত্রে খবর, জানুয়ারি মাসে দিল্লিতে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে নিয়ে আলোচনার পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ওই ব্যবস্থা চালু হলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেকটাই কমবে বলে বনে করছেন রাজ্যের সেচ মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “বন্যার বিষয়ে আগে তথ্য পেলে অনেকটাই ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব।” দফতরের কর্তাদের দাবি, প্রকল্পের জন্য ২০ কোটি টাকা খরচ হবে। দামোদর ও গঙ্গা অববাহিকা-সহ ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার তথ্যও পাওয়া যাবে।

৪৪৪ শীর্ষ কর্তাকে নিয়ে বৈঠক আজ
৪২ জন মন্ত্রী, ১৬০ জন আইএএস, ২১৫ জন ডব্লিউবিসিএস, ১৮ জন জেলাশাসক ও তাঁর সচিবালয়ের ৯ জন অফিসার। শুক্রবার টাউন হলে রাজ্য প্রশাসনের এমন ৪৪৪ জন শীর্ষ কর্তাকে নিয়ে বৈঠকে বসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে শহর পর্যন্ত সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ কেমন হচ্ছে, তার পর্যালোচনা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। কাজের নির্দেশও দেবেন। বৈঠকে বসার ব্যবস্থাপনার নক্শাও তৈরি করেছেন মমতা। সেই মতো বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পুর কমিশনার টাউন হল পরিদর্শন করেন।

স্কুলে যৌনশিক্ষা নিয়ে সমীক্ষায় বিশেষ কমিটি
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের পাঠ্যক্রমে যৌনশিক্ষাকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে কি না, একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি তা খতিয়ে দেখবে। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বৃহস্পতিবার জানান, এখন অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত জীবনশৈলী পড়ানো হয়। তার পরের পাঠ্যক্রমে যৌনশিক্ষাকে অন্তর্ভুক্ত করতে গেলে সবিস্তার আলোচনার দরকার। সেই জন্য একটি বিশেষজ্ঞ কমিটিকে সমীক্ষা চালিয়ে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। গরিষ্ঠ সংখ্যক অভিভাবক যা চাইবেন, তা-ই হবে। মন্ত্রী বলেন, “আমি ব্যক্তিগত ভাবে এটা চালু করার পক্ষে। তবে আমার ব্যক্তিগত মত ছাত্রছাত্রীর উপরে চাপাতে চাই না। বিশেষজ্ঞ কমিটি সমীক্ষা করে জানাক। তার পরেই আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

সংখ্যালঘু উন্নয়নে বাড়তি বরাদ্দ
পশ্চিমবঙ্গে সংখ্যালঘু উন্নয়নের কাজ ঊর্ধ্বমুখী বলে দাবি করলেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগম আয়োজিত মিলন মেলার উদ্বোধন করে অর্থমন্ত্রী জানান, সংখ্যালঘু উন্নয়নে বাজেট-বরাদ্দ বাড়ানো হচ্ছে। সংখ্যালঘুদের স্কুল, বৃত্তিশিক্ষা, স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে ঋণ দিতেই অধিকাংশ টাকা খরচ হচ্ছে। ঋণ ও বৃত্তি মিলিয়ে ১০৩ কোটি ১৩ লক্ষ টাকা মঞ্জুর হয়েছে। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “সাচার কমিটির রিপোর্ট দেখে লজ্জা পেয়েছিলাম। তাই ক্ষমতায় এসে সংখ্যালঘু উন্নয়নে নজর দিয়েছি।”

আলু রফতানি ফের রুখে দিলেন মমতা
কিছু দিন বন্ধ রেখে ধীরে ধীরে ভিন্ রাজ্যে ফের আলু পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আবার পশ্চিমবঙ্গ থেকে আলু রফতানি বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের বাজার-পরিস্থিতি বুঝে নিয়ে বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা হবে বলে বৃহস্পতিবার নবান্নে সরকারের টাস্ক ফোর্সের বৈঠকে জানিয়ে দেন তিনি। বৈঠকের পরে টাস্ক ফোর্সের সদস্য রবীন্দ্রনাথ কোলে জানান, মুখ্যমন্ত্রী আপাতত ৫-৭ দিনের জন্য আলু রফতানি বন্ধ রাখতে বলেছেন। আলুচাষিদের যাতে ক্ষতি না-হয়, সরকার সে-দিকে নজর রাখবে। রাজ্যে মাছের চাষ বাড়াতে মুখ্যমন্ত্রী মাছচাষি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে খুব শীঘ্রই বৈঠকে বসবেন। রাজ্যে মাছের খাবার উৎপাদনের ব্যাপারেও ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে।

ঘূর্ণাবর্তের চক্করেই আটকে শীত
বদলায়নি ঘূর্ণাবর্তের চেহারা। তাই শীতের পথে এখনই বাধা সরার লক্ষণ দেখছেন না আবহবিদেরা। আলিপুর আবহাওয়া দফতর বৃহস্পতিবার জানায়, ঘূর্ণাবর্তটি রয়েছে বাংলাদেশ ও সংলগ্ন এলাকায়। ফলে দক্ষিণবঙ্গের বাতাসে জলীয় বাষ্প থাকবে। তাপমাত্রাও থাকবে স্বাভাবিকের উপরে। ওই ঘূর্ণাবর্তের জেরে মঙ্গলবার রাত থেকেই তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করে। বুধবার কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে দু’ডিগ্রি উপরে উঠে গিয়েছিল। এ দিন কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের তুলনায় এক ডিগ্রি বেশি। আজ, শুক্রবার তা ১৬ ডিগ্রির কাছাকাছি থাকবে।

পুরনো খবর:



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.