|
|
|
|
সুকুমারের পদত্যাগ গৃহীত, নয়া তৃণমূল সভাপতি আশিস
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
আনুষ্ঠানিক ভাবে মেদিনীপুর শহর তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি পদে রদবদল হল। সরলেন সুকুমার পড়্যা। নতুন সভাপতি হলেন আশিস চক্রবর্তী। বৃহস্পতিবার আশিসবাবুর হাতে শহর তৃণমূলের দায়িত্ব তুলে দেন দলের জেলা সভাপতি দীনেন রায়। নতুন সভাপতি বলেন, “দল যে দায়িত্ব দিয়েছে, তা যথাযথ ভাবে পালন করার চেষ্টা করব। শহরে সংগঠন বৃদ্ধিতে জোর দেব। আমি সকলকে নিয়ে কাজ করতে চাই। আশি করি, সহকর্মীদের সহযোগিতা পাবো।” শহর তৃণমূলের সভাপতি বদল ছিল সময়ের অপেক্ষা। কারণ, আগেই ইস্তফা দিয়েছিলেন সুকুমারবাবু। মঙ্গলবার রাতে কলকাতায় গিয়ে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুব্রত বক্সীর সঙ্গে দেখা করেন আশিসবাবু। জেলার পরিস্থিতি নিয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়। দলীয় সূত্রে খবর, রাজ্য সভাপতির সবুজ সঙ্কেত পেয়েই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে কলকাতায় গিয়েছিলেন এই তৃণমূল নেতা। ওই সূত্র জানিয়ে ছিল, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এক- দু’দিনের মধ্যে নতুন সভাপতির নাম আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করা হবে। আর সময় নষ্ট না- করে বৃহস্পতিবারই দলের নতুন শহর সভাপতির নাম আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করলেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
|
নতুন শহর সভাপতিকে বরণ। পাশে দীনেন রায় ও প্রদ্যোৎ ঘোষ। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল। |
জানা গিয়েছে, রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ মতো বৃহস্পতিবার সকালে আশিসবাবুকে ফেডারেশন হলে ডাকেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি দীনেন রায়। ফেডারেশন হলই তৃণমূলের অস্থায়ী কার্যালয়। জেলা সভাপতির সঙ্গে ছিলেন দলের জেলা কার্যকরী সভাপতি প্রদ্যোৎ ঘোষও। ডাকা হয়েছিল সুকুমারবাবুকেও। তবে, তিনি আসেননি। নাম ঘোষণার পর নতুন শহর সভাপতিকে ঘিরে উচ্ছ্বাসে মাতেন তৃণমূল কর্মী- সমর্থকেরা। জেলা সভাপতি, জেলা কার্যকরী সভাপতি এবং নতুন শহর সভাপতি- তিন নেতার হাতে পুষ্পস্তবক তুলে দেন তাঁরা। মিষ্টিমুখও হয়। এ বার মেদিনীপুরে তৃণমূল একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হয়েছে। তবে, ফলাফল প্রত্যাশিত হয়নি।
খারাপ ফলের জেরেই শহর সভাপতি পদে এই রদবদল বলে দলের এক সূত্রের দাবি। শহরে বরাবরই বামবিরোধীদের দাপট রয়েছে। ২০০৮ সালের পুরভোটে তৃণমূল একক ভাবে লড়াই করে তৃণমূল ১০টি আসন পেয়েছিল। সেখানে এ বার ১৩টি আসন পেয়েছে। মেদিনীপুরে ২৫টি ওয়ার্ড। একক ভাবে পুরবোর্ড গড়তে ১৩টি ওয়ার্ড দখলে রাখা দরকার ছিল। তৃণমূল ১৩টি ওয়ার্ডেই জিতেছে। দলীয় নেতৃত্ব মনে করেছিলেন, অন্তত ১৭- ১৮টি আসন তৃণমূল পাবেই। কিন্তু, তা হয়নি। কেন প্রত্যাশিত ফল হল না, তা নিয়ে দলের অন্দরে পর্যালোচনা শুরু হয়। এই পরিস্থিতিতে সাংগঠনিক রদবদলের সম্ভাবনা তৈরি হয়। জানা যায়, পদ খোয়াতে চলেছেন সুকুমারবাবু। এ নিয়ে রাজ্যস্তরে চূড়ান্ত আলোচনা হয়ে গিয়েছে। পুরো পরিস্থিতি নজরে রয়েছে খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁর নির্দেশেই শহর সভাপতি পদে রদবদল নিয়ে আলোচনা হয়েছে। |
|
|
|
|
|