|
|
|
|
বিশেষ অধিবেশন ডাকা নিয়ে চর্চা কংগ্রেসে
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি
১৯ ডিসেম্বর |
ভোটে ভরাডুবির তিক্ততা থাকলেও সংসদে লোকপাল বিল পাশ যেন দুঃসময়ে কিছুটা আশা জাগিয়েছে কংগ্রেসে। দলের অনেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীই মনে করছেন, আরও একটু চেষ্টা করে দেখলে ক্ষতি কী! লোকপাল যদি পাশ করা যায়, তা হলে কে বলতে পারে তেলঙ্গানা বা দুর্নীতি বিরোধী আরও দু’একটি বিল পাশ করানো যেতেই পারে সংসদে। আর তাই কংগ্রেসের এই মন্ত্রীরা চাইছেন, সংসদের বাজেট অধিবেশনের আগে জানুয়ারি মাসে আরও একটি বিশেষ অধিবেশন ডাকুক সরকার। এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে দলের অন্দরে এ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, শীতকালীন অধিবেশন আনুষ্ঠানিক ভাবে শেষ না করে আপাতত মুলতুবি করে রাখার মাধ্যমে মনমোহন সিংহের সরকার সেই সম্ভাবনাই জিইয়ে রেখেছে।
সরকারের এক শীর্ষ মন্ত্রীর বক্তব্য, সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শেষ করে দিলে এর পর বাজেট অধিবেশন ডাকতে হবে। কিন্তু তখন ভোট একেবারে ঘাড়ের উপর এসে পড়বে। তা ছাড়া, বাজেট অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের যৌথ সভায় বক্তৃতা ও রেল এবং সাধারণ বাজেট (ভোট অন অ্যাকাউন্ট) পেশের পর অন্য কোনও বিল নিয়ে আলোচনার সুযোগ বিশেষ থাকবে না। কিন্তু শীতকালীন অধিবেশন আনুষ্ঠানিক ভাবে শেষ না করে আপাতত মুলতুবি করে রাখায় জানুয়ারির মাঝামাঝি বা তৃতীয় সপ্তাহে সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকা হতেই পারে। এবং সেই অধিবেশনে তেলঙ্গানা রাজ্য গঠন বিল পাশ করানোর চেষ্টা করা যেতেই পারে। তা ছাড়া দুর্নীতির বিরুদ্ধে আরও দু’টি বকেয়া বিলও পাশ করানো সম্ভব। তাতে লোকসভা ভোটের প্রচারে যাওয়ার আগে কংগ্রেস হাতে আরও অস্ত্র হাতে পাবে। ওই মন্ত্রীর ব্যাখ্যা, সে ক্ষেত্রে তা তেলঙ্গানায় কংগ্রেসের জয়ের সম্ভাবনা আরও উজ্জ্বল হতে পারে। তাৎপর্যপূর্ণ হল, বিজেপি এমনিতেই তেলঙ্গানা গঠনের পক্ষে। কংগ্রেস নেতারা মনে করছেন, দুর্নীতি বিরোধী বিলগুলির বিরোধিতা করাও সুষমা-জেটলিদের পক্ষে সম্ভব নয়।
প্রসঙ্গত, লোকপাল বিল প্রসঙ্গে আলোচনায় অংশ নিয়ে গত কাল রাহুল গাঁধীও বলেছিলেন, দুর্নীতি দমন সংক্রান্ত বাকি বিলগুলি পাশ করানোর জন্য সংসদের মেয়াদ বাড়ানোর চেষ্টা করা হোক। সন্দেহ নেই, লোকপাল বিল পাশের কৃতিত্ব নেওয়ার পাশাপাশি দুর্নীতি সংক্রান্ত অন্য বিলগুলি পাশ করানোর কথা বলে রাহুল কংগ্রেসের প্রতি আম আদমি-র সমর্থন ফেরানোর চেষ্টা করছেন।
তবে সরকারি সূত্রে বলা হচ্ছে, বিশেষ অধিবেশন ডাকার ক্ষেত্রে একটি বাধা রয়েছে। তা হল, সেবি অধ্যাদেশ-সহ তিনটি অধ্যাদেশের মেয়াদ শেষ হচ্ছে জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে। অধিবেশন সমাপ্ত না করে মুলতুবি করে রাখলে বা তা জিইয়ে রাখলে নতুন করে ওই তিন বিষয়ে অধ্যাদেশ জারি সম্ভব নয়।
এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কমলনাথ আজ বলেন, “সরকার সব দিক বিবেচনা করছে। বিশেষ অধিবেশনের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। ঠিক সময়ে এ ব্যাপারে সরকারের সিদ্ধান্ত বিরোধীদের জানানো হবে।” |
|
|
|
|
|