|
|
|
|
অণ্ণার আন্দোলনে খুলেছে নয়া দিগন্ত, মন্তব্য রাষ্ট্রপতির
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি
১৯ ডিসেম্বর |
লোকপাল বিলের দাবিতে অণ্ণা হজারের নাগরিক আন্দোলন ভারতীয় রাজনীতি ও গণতান্ত্রিক কাঠামোয় নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে বলে মন্তব্য করলেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। আজ ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর বার্ষিকী বক্তৃতায় রাষ্ট্রপতি বলেন, “মাত্র দশ বছর আগেও নাগরিক আন্দোলনের কর্মী, এনজিও-দের সম্পর্কে এটা ভাবাই যেত না যে তারা শুধু একটা আইনের দাবি করছে না, বরং আমজনতার স্বার্থে সেই আইনের কী কাঠামো হবে, তাতেও জোর দিচ্ছে।” এই নাগরিক আন্দোলনকে কোনও ভাবেই আর ধামাচাপা দিয়ে রাখা সম্ভব নয় বলেই রাষ্ট্রপতির মত।
ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর বার্ষিক অনুষ্ঠানে বরাবরই সকলে লিখিত বক্তৃতা পাঠ করে এসেছেন। রাষ্ট্রপতি হয়েও আজ সেই প্রথা ভেঙে বেরিয়ে এসেছেন প্রণববাবু। মূল বিষয় থেকে সরে যাচ্ছেন বলে নিজে স্বীকারও করেছেন। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর শীর্ষকর্তাদের সামনে সরকারের নতুন নতুন চ্যালেঞ্জের কথা মনে করিয়ে দিতেও ভোলেননি। এ দিনের বক্তৃতায় রাষ্ট্রপতি জানান, এত দিন গণতন্ত্র মানে ছিল নির্দিষ্ট সময় অন্তর নির্বাচন আর সেই নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন সরকারের কাজের মূল্যায়ন। কিন্তু এখন তা বদলেছে।
অণ্ণা হজারের নেতৃত্বে লোকপালের দাবিতে যখন আন্দোলন চরমে উঠেছিল, তখন প্রণববাবুর নেতৃত্বেই মন্ত্রিগোষ্ঠী তৈরি করে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। আজ সে কথা মনে করিয়ে রাষ্ট্রপতি জানান, ভিয়েতনাম সফরে গিয়েও তাঁকে অণ্ণার আন্দোলন নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। প্রণবের কথায়, “রাজনীতির ছাত্র হিসেবে বলছি, গণতান্ত্রিক কাঠামোর মধ্যে এটা একটা নতুন দিগন্ত।”
রাজনীতির নতুন দিগন্তের পাশাপাশি এ দিনের বক্তৃতায় জাতীয় নিরাপত্তার নতুন চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে গোয়েন্দা-কর্তাদের সতর্ক করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। তাঁর বক্তব্য, নিরাপত্তার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ যে কোনও দিক থেকে আসতে পারে। তথ্য-প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানের অগ্রগতির যুগে তা আর কোনও সীমিত গণ্ডির মধ্যে আটকে নেই।
রাষ্ট্রপতির বক্তব্য, কৌটিল্য ও মেকিয়াভেলির নীতি বলছে, সরকার চালাতে গেলে আগাম তথ্য ও তার বিশ্লেষণ প্রয়োজন। সেই জন্যই গোয়েন্দা বাহিনীর প্রয়োজন। ভারতে তাই ১২৫ বছর আগে গোয়েন্দা বাহিনী তৈরি হয়েছিল। আগামিদিনেও নয়াদিল্লির শাসকদের গোয়েন্দা বাহিনীর প্রয়োজন হবে।
|
|
|
|
|
|