|
|
|
|
ইউনেস্কোর হেরিটেজ তকমা হারাতে পারে টয় ট্রেন
নিজস্ব সংবাদদাতা • দার্জিলিং |
দার্জিলিঙে এসে টয় ট্রেনের হাল হকিকৎ ঘুরে দেখে কিঞ্চিৎ অসন্তোষ প্রকাশের সঙ্গে ইউনেস্কোর হেরিটেজ কমিটির তিন সদস্য জানিয়ে গেলেন, তাঁদের আরও একটি প্রতিনিধি দল কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে আগামী বছরের গোড়ায় দার্জিলিঙে আসবেন। তাঁদের রিপোর্টের উপরেই পাহাড়ে টয় ট্রেনের প্রত্যাবর্তনে ওই বিশ্ব সংস্থা কী পরিমাণ অনুদান পাবে তা স্থির করা হবে। এমনকী দ্রুত লাইন মেরামতির কাজ শেষ না হলে ইউনেস্কোর টয় ট্রেনের উপর থেকে হেরিটেজ তকমাও তুলে নিতে পারে বলে প্রতিনিধিরা জানান। |
|
দার্জিলিং স্টেশন পরিদর্শনে ইউনেস্কোর সদস্য হরিবংশ কিরাত। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক। |
ধ্বস্ত পাহাড়ে নতুন করে টয় ট্রেন চালুর কাজ নিয়ে বৃহস্পতিবার স্পষ্টই অসন্তোষ প্রকাশ করে প্রতিনিধি দলের সদস্য হরি বংশ কিরাত বলেন, “টয় ট্রেনের উন্নয়ন খাতে মোটা অঙ্কের অর্থই বরাদ্দ করেছে ইউনেস্কো। কিন্তু কাজ শেষ না হলে সে টাকা অনুমোদন করা হবে কী করে!” ওই দলের তিন সদস্যই ইউনেস্কোর হেরিটেজ কমিটির নেপালের প্রতিনিধি। কাজের গতি প্রকৃতি জানতে এ দিন তাঁরা কথা বলেন দার্জিলিঙের স্টেশন ম্যানেজার সুমন প্রধানকে। তারপর, দার্জিলিং থেকে ঘুম, পর্যটকদের জন্য টয় ট্রেনের ‘জয় রাইড’ করেন তাঁরা।
প্রতিনিধি দলের প্রধান হরিবংশ কিরাত বলেন, “টয় ট্রেনের বর্তমান পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এসেছিলাম। দেখে যে খুব সন্তোষজনক মনে হল এমনটা বলতে পারব না। আমদের রিপোর্টের ভিত্তিতেই জানুয়ারিতে আরও একটি প্রতিনিধি দল আসবে। তারপর কাজের অগ্রগতি দেখেই অনুদানের প্রশ্ন।”
এ ব্যাপারে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের ডিআরএম (কাটিহার ডিভিশন) অরুণ কুমার শর্মা বলেন, “লাইন পাতার কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু তিনধারিয়ায় রাস্তাই তৈরি হয়নি। পূর্ত দফতরের কাছে বার বার আবেদন করেও ফল হচ্ছে না। রাস্তা তৈরি হলেই আমরা রেল লাইন পেতে দেব।”
তিন বছর আগে ধসে গিয়েছিল ওই লাইন। তারপর থেকেই থমকে গিয়েছে টয় ট্রেনের চলাচল। এরপরেই গত সেপ্টেম্বর নাগাদ ইউনেস্কোর পক্ষ থেকে রেলমন্ত্রককে জানিয়ে দেওয়া হয়, দ্রুত টয় ট্রেন চালু না করতে পারলে হেরিটেজ তকমা হারাতে পারে দার্জিলিঙের টয় ট্রেন। |
|
|
|
|
|