গ্রামীণ লোকশিল্পীদের পরিচয়পত্র দেওয়া শুরু হল পূর্ব মেদিনীপুরে। জেলা তথ্য-সংস্কৃতি দফতরের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসনিক ভবনের সভাকক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রায় ৫০ জন লোকশিল্পীর হাতে পরিচয়পত্র তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে জেলাশাসক অন্তরা আচার্য বলেন, “পালস পোলিও, একশো দিনের কাজ-সহ সরকারি নানা কর্মসূচি, উন্নয়ন ও সামাজিক সচেতনামূলক প্রকল্পের প্রচারে লোকশিল্পীদের কাজে লাগানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। লোকশিল্পীদের পরিচয় পত্র দেওয়ার মাধ্যমে তাঁদের সরকারি ভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হল।” |
লোকশিল্পীদের পরিচয়পত্র তুলে দিচ্ছেন জেলাশাসক।—নিজস্ব চিত্র। |
বাউল, তরজা, রামায়ণ, কীর্তনগান থেকে পটশিল্পী, পুতুলনাচ, বহুরূপী, যাত্রাশিল্পী-সহ সকল গ্রামীণ লোকশিল্পীদেরই এ দিন পরিচয়পত্র দেওয়া হয়েছে। জেলা তথ্য-সংস্কৃতি আধিকারিক তপন তরফদার বলেন, “লোকশিল্পী হিসেবে সরকারি পরিচয়পত্র পাওয়ার জন্য লোকশিল্পের সঙ্গে যুক্ত প্রায় ৮২৪ জন আবেদনপত্র জমা দিয়েছিলেন। তা খতিয়ে দেখে প্রথম পর্যায়ে ৩৫০ জনের আবেদন রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছিল। এর মধ্যে ২৭৭ জনের আবেদন পত্র রাজ্য সরকার গ্রহণ করেছে। এঁদের সবাইকে লোকশিল্পী হিসেবে আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে পরিচয়পত্র দেওয়া হবে।” বাকিদেরও দ্রুত পরিচয় পত্র দেওয়া হবে বলে তিনি জানান। তপনবাবু বলেন, “সরকারি বিভিন্ন কর্মসূচি ও প্রকল্প প্রচারের জন্য লোকশিল্পীদের নিয়ে ৩২টি দল তৈরি করা হয়েছে। তাঁদের নিয়ে শীঘ্রই কর্মশালা হবে।” শিল্পীদের পরিচয় পত্র দেওয়া ছাড়াও ভাতা দেওয়ারও পরিকল্পনা রয়েছে বলে তিনি জানান।
এ দিন অনুষ্ঠানিক ভাবে সরকারি পরিচয় পত্র পাওয়ার পর খুশি তমলুকের পদুমবসানের বাউল শিল্পী পুলিন শাসমল, মহিষাদলের গড়কমলপুরের তরজা শিল্পী দিপালী ভূঁইয়া। দিপালীদেবী বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে সরকারি এই পরিচয়পত্র ও স্বীকৃতির দাবি জানিয়েছি। এবার সেই দাবি পূরণ হল।” |