টাকা না আসায় মালদহে আটকে সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরের ভবন তৈরির কাজ। এ বছর মার্চ মাসে রাজ্যের সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরের কাছে প্রায় ২ কোটি ৫৭ লক্ষ টাকা চেয়ে পাঠানোর আট মাস পরেও তা মেলেনি। তার জেরেই ইংরেজবাজার পুরসভা এর নির্মাণ বন্ধ রেখেছে বলে জানা গিয়েছে।
২০১২ সালে ৩০ অগস্ট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এই ভবনের শিলান্যাস করে বলেছিলেন ‘এক বছরে ভবনের কাজ শেষ হয়ে যাবে’। যদিও ভবন তৈরির কাজ শেষ না হওয়ায় অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। জেলাশাসক বাংলোর সামনে জেলার সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরের দোতলা নতুন ভবন তৈরির জন্য রাজ্যের সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতর ৭৯ লক্ষ টাকা অনুমোদন করে। ২০১২ সালে সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতর ভবন তৈরির জন্য ইংরেজবাজার পুরসভাকে দায়িত্ব দেয়। বরাদ্দ মেলার পরেই ২০১২ সালে সেপ্টেম্বর মাসে ভবন তৈরির কাজ শুরু করে ইংরেজবাজার পুরসভা। সেই সময়ে রাজ্য সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতর দোতলার পরিকল্পনা অনুমোদন করলেও পরে ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান, মন্ত্রী, বিধায়ক, জেলাশাসক বৈঠক করে একসঙ্গেই সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতর, ওয়াকফ বোর্ড, মাদ্রাসা স্কুল সার্ভিস কমিশন ও মাদ্রাসা স্কুল বোর্ডের অফিস তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়। তার পর প্রকল্পটি ফের অনুমোদন করিয়ে ৫তলা ভবন তৈরির সিদ্ধান্ত হয়। যার জেরে খরচ বেড়ে হয় ৩ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতর দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক কৃষ্ণাভ ঘোষ বলেছেন, “খরচ বেড়ে যাওয়ায় অর্থসঙ্কট দেখা দিয়েছে।” |
অন্য দিকে, কেন অতিরিক্ত টাকা প্রয়োজন তা জানতে চেয়ে চিঠি দেয় রাজ্যের সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতর। এই কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত কাউন্সিলর আশিস কুণ্ডু বলেন, “১৬ সেপ্টেম্বর পুরসভা রাজ্যের সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরে চিঠি পাঠিয়ে জানিয়ে দিয়েছে একই ছাদের নীচে চারটি অফিস আনার জন্য দোতলা ভবনকে পাঁচ তলা ভবন তৈরি করা হচ্ছে। সে জন্যই খরচ বেড়েছে।” আশিস কুণ্ডু বলেন, “খুব শীঘ্রই টাকা চলে আসবে। মার্চ মাসের মধ্যে ভবন তৈরির কাজ শেষ হবে বলে আশা করছি। টাকার অভাবে এখন ভবনের কাজ ধীর গতিতে চলছে।” |