ছাত্রী আবাসের কাজ ধীর গতিতে, নালিশ
কাজ শুরু করার তিন বছর পরেও তফসিলি ছাত্রী আবাসের কাজ শেষ না হওয়ায় ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। মাথাভাঙা কলেজে ও শহরের বিভিন্ন স্কুলে তফসিলি জাতি, উপজাতির বহু ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করে। মহকুমার প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে যাতায়াতে তাদের সমস্যা হয় বলে, শহরে থেকে পড়ার জন্য সরকারি হস্টেল তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু এত দিনেও কাজ শেষ না হওয়ায় এখন সরকারের সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
বাসিন্দাদের দাবি মেনে, ২০১০ সালে মাথাভাঙা কলেজের সামনেই জায়গা নিয়ে ওই হস্টেল তৈরির কাজ শুরু করে জেলা অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ বিভাগ। প্রায় ২ কোটি টাকার ওই প্রকল্পে দ্বিতল ভবনে ৯৬ জন ছাত্রীর থাকার ব্যবস্থা রাখা হয়। প্রথম পর্যায়ে ৫০ জন ছাত্রীর থাকার ব্যবস্থা করে ২০১২ সালের মধ্যে ওই হস্টেল চালুর লক্ষ্য স্থির হয়। ২০১৩ সাল শেষ হতে চললেও হস্টেলটি চালু না হওয়ায় পড়ুয়া ও শিক্ষিক-শিক্ষিকাদের একাংশের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। সরকারি ভাবে জানানো হয়েছে, বিধানসভার পর পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছে। সে জন্য ছাত্রী আবাস তৈরির কাজ ধীর গতিতে চলছে। পাশাপাশি, ছাত্রী আবাস চালুর জন্য বেশ কয়েক জন কর্মী নিয়োগ করা প্রয়োজন। সে কাজেও সময় লাগছে বলে প্রশাসন জানায়। অনগ্রসর কল্যাণ দফতরের জেলা আধিকারিক রামকৃষ্ণ মাঝি এই প্রসঙ্গে বলেন, “দ্রুত সীমানা পাঁচিল তৈরি করে ছাত্রী আবাস চালু হবে।”
মাথাভাঙায় তফসিলি জাতি, উপজাতি সম্প্রদায়ের ছাত্রদের জন্য পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে এক হস্টেল রয়েছে। তাতে ৭০ জনেরও বেশি ছাত্র রয়েছে। তবে ছাত্রীদের কোনও হস্টেল না থাকায় বেশি টাকা দিয়ে বাড়ি ভাড়া করে থাকতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। ওই ছাত্রী আবাস চালু না হওয়ায় তাঁর ক্ষোভ কথা জানান প্রাক্তন বনমন্ত্রী এ কাজের শিলান্যাস করা অনন্ত রায়। তিনি এই প্রসঙ্গে বলেন, “মাথাভাঙা শহরে তফসিলি ছাত্রীদের জন্য একটি হস্টেল খুবই প্রয়োজন আছে। সে কারণেই ওই ছাত্রী আবাস তৈরির সিদ্ধান্ত হয়। বর্তমান সরকার হয়তো ভেবেছেন ওই ছাত্রী আবাস ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, সে কারণেই ওঁরা ঢিমেতালে কাজ করছেন।” বন মন্ত্রী হিতেন বর্মন অবশ্য বলেন, “ওই ছাত্রী আবাস তৈরির কাজ প্রায় শেষ। কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে।”
সিপিএমের যুব সংগঠনের স্থানীয় নেতা কাজল রায় বলেন, “তফসিলি জাতি, উপজাতি সম্প্রদায়ের ১০০ জন ছাত্রী পড়াশোনার জন্য বাড়ি ভাড়া করে মাথাভাঙায় থাকছেন। এদের অধিকাংশ-ই দুঃস্থ। দ্রুত ছাত্রী আবাস চালুর ব্যবস্থা করা হোক।” তৃণমূল শ্রমিক কংগ্রেসের নেতা আলিজার রহমান পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, “৩৪ বছর ক্ষমতায় থেকেও তফসিলি ছাত্রীদের একটি হস্টেল তৈরি করতে যাঁরা পারেনি, তাঁদের সমালোচনার অধিকার আছে বলে মনে করি না। ওই হস্টেলের জন্য আমরা আন্দোলন আগেও করেছি, এখনও করছি। দ্রুত তা চালু করা হবে বলে আশা রাখি।”





First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.