এক নার্সের অস্বাভাবিক মৃত্যুকে ঘিরে রহস্য দানা বাঁধছে। রবিবার বেশি রাতে এক সহকর্মীর বাড়ির বারান্দায় তাঁকে অসুস্থ অবস্থায় পাওয়া যায়। রাতে হাসপাতালে ভর্তির কিছুক্ষণ বাদে তাঁর মৃত্যু হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকাশ মেঘারিয়া জানান, মৃত মামণি সূত্রধর (২৭) এক নার্সিংহোমে কাজ করতেন। গত রবিবার রাত একটা নাগাদ আলিপুরদুয়ার জংশন এলাকায় সহকর্মী তনুশ্রী বসুর বাড়ির বারান্দায় অসুস্থ অবস্থায় পড়েছিলেন। ঘটনার দিন সকালে ওই নার্সিংহোমের কাজ ছেড়ে দেন মামণি। বিকাল ছ’টা নাগাদ মামণি হস্টেলে যাচ্ছি বলে সেখান থেকে বেরোন। পরের দিন ফিরবেন বলে বাড়িতে জানান। রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ তিনি হস্টেল থেকে বেরিয়ে যান। পরে রাতে তাঁকে ওই সহকর্মীর বাড়ির বারান্দা থেকে উদ্ধার করা হয়। তদন্তকারী অফিসারদের অনুমান, মামণি বিষ খেয়েছিলেন। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে তা পুরোপুরি পরিষ্কার হবে। যাঁর বাড়ির বারান্দা থেকে মামণিকে উদ্ধার করা হয়, সেই তনুশ্রীদেবী বলেন, “রবিবার রাত একটা নাগাদ স্বামী জাগিয়ে তুলে বলে, বারান্দা কে যেন আওয়াজ করছে। আমার বাইরে বার হয়ে দেখি মামণি পড়ে রয়েছে। ওঁর হাত-পা শক্ত হয়ে আসছে। প্রতিবেশীদের ডেকে ওঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। ওঁর বাড়ির লোকদের খবর দিই।”
|
মহকুমা পরিষদ দখলে এসেছে। এ বার গ্রামাঞ্চলে বিভিন্ন দলের নেতা কর্মীকে দলে টানার প্রক্রিয়া জোরদার করল তৃণমূল। মঙ্গলবার মাটিগাড়ার পাথরঘাটা ভুবনজোত প্রাথমিক স্কুল ময়দানে নানা দল থেকে বেশ কয়েক হাজার কর্মী দলে যোগ দিয়েছেন বলে দাবি উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রীর। এ দিন পাথরঘাটার বহু মহিলা তৃণমূলে যোগ দেন। গৌতমবাবু বলেছেন, “মুখ্যমন্ত্রীর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে মহিলারা তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন। যা অনুপ্রেরণাদায়ক। লোকসভা ভোটে তৃণমূল কখনও সমস্যায় পড়বে না।” এই প্রক্রিয়ার অনেকটাই ‘ফাঁপিয়ে দেখানো’ বলে মনে করছে অন্য দল। সিপিএমের দার্জিলিং জেলা সম্পাদক জীবেশ সরকার বলেন, “সিপিএম থেকে যত লোক বলা হচ্ছে অত লোক আদৌ যায়নি। দু-একজনকে ভয় দেখিয়ে বা লোভ দেখিয়ে দলে টানা হলেও তাতে সিপিএমেরই লাভ হয়েছে। ওই সব কর্মীরা সিপিএমকে ব্যবহার করছিল।” কংগ্রেসের জেলা সম্পাদক সুবীন ভৌমিক যোগদান প্রক্রিয়া নাটক বলে মনে করছেন। তিনি বলেন, “কংগ্রেসের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা-কর্মী দল ছাড়েনি। কেউ যদি নিজেকে কংগ্রেস সমর্থক বলে পরিচয় দেয় তা হলেই সে কংগ্রেস সমর্থক হয়ে যায় না। লোকসভা ভোটেই সমস্ত প্রমাণ হয়ে যাবে।” বিজেপির জেলা সভাপতি নৃপেন দাস বলেন, “তৃণমূলে যোগ দেওয়া কেউই বিজেপির সঙ্গে যুক্ত নন।”
|
জেলার প্রতিটি বুথে সাংগঠনিক সভা করতে চান কংগ্রেসের জলপাইগুড়ি সাংগঠনিক জেলার নয়া সভাপতি নির্মল ঘোষদস্তিদার। সংগঠনের কাজ পরিচালনার সুবিধায় জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার দুই সাংগঠনিক জেলা হিসেবে জলপাইগুড়ি জেলাকে ভাগ করেছে কংগ্রেস নেতৃত্ব। জলপাইগুড়ি সাংগঠনিক জেলার সভাপতির দায়িত্ব পেয়ে নির্মলবাবু বলেন, “কঠিন সময়ে দায়িত্ব পেয়েছি। সকলকে সঙ্গে নিয়ে দল চালাতে চাই। যাঁরা দল ছেড়ে চলে গিয়েছেন তাঁদেরও দলে ফেরাতে চাই।” দলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি তথা জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসু জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার দুই সাংগঠনিক জেলার কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্বে। এদিন মোহনবাবু বলেন, “এক পদ এক ব্যক্তি এই নীতির কারণেই এই রদবদল। প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে কথা হয়েছে। দলকে শক্তিশালী করতে কাজ চালিয়ে যাব।”
|
বিনা নোটিশে ছাঁটাই করা হয়েছে ৬ অস্থায়ী কর্মীকে। তাঁদের কাজে ফেরত নিতে হবে দাবি তুলে ধরনায় বসল গ্রেফ ক্যজুয়াল ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সদস্যরা। মঙ্গলবার তিনবাত্তি মোড়ে তাঁরা ধরণায় বসলে দফতরের কেউ তাঁদের সঙ্গে দেখা করেননি। গত ১১ ডিসেম্বর তাঁদের ছাঁটাই করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন সংগঠনের সম্পাদক হেমচন্দ্র ক্ষত্রী। গ্রেফের পক্ষ থেকে এক আধিকারিক জানান, যা হয়েছে। তা নিয়ম মেনেই হয়েছে।
|
বালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটে জয়গাঁ থানার তোর্সা চা বাগানের বি বাড়ি এলাকায়। সোমবার অভিযোগ জমা পড়ার পর সন্ধ্যায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। জয়গাঁ থানার ওসি পঙ্কজ থাপা জানান, বি বাড়ি এলাকায় ১১-১২ বছরের নাবালিকা বাড়ি একাই ছিল। সেই সুযোগে ধৃত নবীন সন্ন্যাসী তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। মেয়েটি চিত্কার করায় সে পালিয়ে যায়।
|
পথ দুর্ঘটনায় মৃতু হল অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটে হাসিমার ফাঁড়ি বিচ চা বাগানে ১৩ নম্বর এলাকায়। বয়স বছর পঞ্চাশেক। এ দিন সকাল দশটা নাগাদ বিচ চা বাগানের ১৩ নম্বর সেকশন লাগোয়া হাসিমারা জয়গাঁ সড়কে দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। দেহের পাশে সাইকেল ছিল।
|
মঙ্গলবার তৃণমূলে যোগ দিলেন ময়নাগুড়ির খাগরাবাড়ির বেশ কিছু সিপিএম সমর্থক এমনই দাবি করেছে তৃণমূল। জলপাইগুড়িতে গুরজংঝোড়া ভবনে তৃণমূল কার্যালয়ে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূল নেতা কৃষ্ণকুমার কল্যাণী। ময়নাগুড়ি সার ও পরিবহণ সংগঠনের কিছু সদস্যও এ দিন তৃণমূলে যোগ দেন। সিপিএমের দাবি, ময়নাগুড়িতে তাদের কেউ তৃণমূলে যোগ দেননি। |