চা শ্রমিকদের জন্য অভিন্ন ওয়েজ বোর্ড গঠন সহ মহার্ঘ্য ভাতার দাবি হাতিয়ার করে ডুয়ার্সের চা বলয়ে সংগঠন মজবুত করার পথে হাঁটছে আরএসপি। আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি করতে ২১ এবং ২২ ডিসেম্বর হাসিমারায় দলের চা শ্রমিক সংগঠন, ডুয়ার্স চা বাগান ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের দুই দিনের সম্মেলন হচ্ছে। দলের শ্রমিক সংগঠন ইউটিইউসি-র রাজ্য সাধারণ সম্পাদক অশোক ঘোষ বলেন, “লোকসভা নির্বাচন আসে যায়। শ্রমিকরা বঞ্চিত হলে তাদের সংগঠন আন্দোলন করবে এটাই নিয়ম। এর সঙ্গে লোকসভা ভোটকে মেলালে চলবে না।” সারা দেশে চা শ্রমিকদের সমহারে বেতনের দাবিতে কেন্দ্রীয় সরকারের ওয়েজ বোর্ডের মাধ্যমে বেতন কাঠামো স্থির করার দাবি তুলেছে আরএসপি। অশোকবাবুর কথায়, “কেরল ও তামিলনাড়ুতে চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি পান ১৫০ টাকা। অসমের শ্রমিকরা আমাদের তুলনায় বেশি বেতন পান। আমরা রাজ্য সরকারকে চাপ দেব তারাও যাতে কেন্দ্রীয় সরকারকে বিষয়টি নিয়ে চাপ দেন। দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে যাতে পরিবর্তনশীল মহার্ঘ্য ভাতা শ্রমিকদের দেওয়ার দাবি তুলে লাগাতার আন্দোলন করা হবে।” তবে রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু। বলেন, “চা শ্রমিকদের কথা ভাবলে বামেরা পরিবর্তনশীল মহার্ঘ্য ভাতা চালু করতে পারতেন। আর সে বিষয়ে আমার কাছে দাবি জানানো হলে আমি পরবর্তী ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে মালিকদের সঙ্গে কথা বলব।’’ ওয়েজ বোর্ডের মাধ্যমে বেতন কাঠামো স্থির করা ও পরিবর্তনশীল মহার্ঘ্য ভাতার জন্য জেলাশাসকের মাধ্যমে সরকারকে দাবি জানানো হয়েছে বলে জানান চা শ্রমিক ইউনিয়ন এনইউপিডবলুর নেতা মনি ডারনাল। চা মালিকদের সংগঠন ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশনের মহা-সচিব মনোজিত্ দাশগুপ্তের কথায়, “ষাটের দশকে ওয়েজ বোর্ডের মাধ্যমে বেতন কাঠামো ঠিক হত। সত্তরের দশকে শ্রমিক সংগঠনগুলির আপত্তিতে তা বন্ধ করে দ্বিপাক্ষিক বা ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে বেতন কাঠামো ঠিক হয়। নতুন করে ওয়েজ বোর্ডের যুক্তি নেই। পরিবর্তনশীল মহার্ঘ্য ভাতা যা বর্তমানে হওয়া উচিত, তার তুলনায় আমরা এখন শ্রমিকদের বেশি মজুরি দিচ্ছি।” |