পঞ্চায়েত প্রধান-সহ তিনজন কংগ্রেস সদস্য, তিন জন সিপিএম সদস্য এবং একজন সিপিআই সদস্য যোগ দিলেন তৃণমূলে। মঙ্গলবার নদিয়ার চাকদহ বিধানসভার ঘেটুগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। এর ফলে ওই পঞ্চায়েতে এককভাবে ক্ষমতায় এল তৃণমূল।
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ২৫ সদস্যের এই পঞ্চায়েতে কংগ্রেস এবং তৃণমূলের ৯ জন করে সদস্য, সিপিএমের ৬ জন এবং সিপিআই-এর এক জন সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। এই দল বদলের পর তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা দাঁড়াল ১৬, কংগ্রেসের ৬ জন এবং সিপিএমের ৩ জন। এ দিনই চাকদহ পঞ্চায়েত সমিতির ২ জন কংগ্রেস সদস্য তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।
কিন্তু কেন এই দল বদল? দলবদলকারীদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে যে উন্নয়ন শুরু হয়েছে, তাতে তারা সামিল হতে চাইছেন। মানুষের উন্নয়ন করার জন্যই এই সিদ্ধান্ত। চাকদহের তৃণমূল বিধায়ক নরেশ চন্দ্র চাকী বলেন, “ওঁরা আমাদের দলে যোগদানের জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন। ওঁদের আমাদের দলে নেওয়া হয়েছে। এর ফলে চাকদহ বিধানসভায় ৮টি গ্রাম পঞ্চায়েতের সবকটিই এখন তৃণমূলের দখলে এল।”
চাকদহ ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি বিধুভূষণ চক্রবর্তী বলেন, “কেউ ভয়ে, আবার কেউ লোভে দল ছেড়েছেন। উন্নয়নের যে গল্প শোনাচ্ছেন তা ঠিক নয়।”
সিপিএমের তাতলা লোকাল কমিটির সম্পাদক সমর দত্ত বলেন, “যতদূর শুনেছি বহিরাগত বাইক বাহিনী গিয়ে ওদের ভয় দেখিয়েছে। বাধ্য হয়ে ওরা তৃণমূলে যোগ দিয়েছে।” সম্প্রতি হরিণঘাটা বিধানসভার দেউলী গ্রাম পঞ্চায়েতও দখল করেছে তৃণমূল। পঞ্চায়েত প্রধান সুদর্শন মজুমদার-সহ ৬ জন সিপিএম সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন। ফলে ২৫ সদস্য বিশিষ্ট এই পঞ্চায়েতে তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা হল ১৩। কংগ্রেস এবং সিপিএম-এর সদস্য সংখ্যা হল ১২। |