অগ্নিকাণ্ডের জেরে জঙ্গিপুরে ভাগীরথী সেতুর তিনটি স্তম্ভের বেয়ারিং বিকল হয়ে পড়েছে। আর সেই কারণে ভাগীরথী সেতুকে বিপজ্জনক বলে ঘোষণার পাশাপাশি সেখানে নোটিসও ঝুলিয়ে দিয়েছে পূর্ত দফতর (সড়ক)। কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই অবাধে চলছে ভারী যানবাহন।
শনিবার রাতে জঙ্গিপুরে সেতুর নীচে ১৩টি দোকান পুড়ে যায়। ঘণ্টা দু’য়েকের ওই আগুনে সেতুর পিলারের উপর বসানো বেয়ারিং পুড়ে গিয়েছে। জঙ্গিপুরের পূর্ত দফতরের (সড়ক) সহকারী বাস্তুকার রাজেন্দ্রপ্রসাদ মণ্ডল বলেন, ‘‘বেয়ারিং নষ্ট হয়ে যাওয়ায় সেতুর স্তম্ভের উপর বসানো গার্ডারগুলিও কাজ করছে না। সোমবার ওই সেতুর উপর দিয়ে যান চলাচল নিষিদ্ধ করে নোটিসও ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ ও পুরসভাকেও জানানো হয়েছে। তারপরেও যান চললে আমরা কী করতে পারি! ওটা দেখার দায়িত্ব পুলিশ ও পুরসভার।”
পূর্ত দফতর (সড়ক) সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ ওই সেতুটি তৈরি হয় ২০০১ সালের ডিসেম্বরে। |
তারপর থেকেই কোনও নিয়মের তোয়াক্কা না করেই সেতুর নিচে অন্তত কয়েকশো দোকান ঘর তৈরি হয়েছে। গত আট মাসে দু’ বার ওই দোকানগুলি তুলে দেওয়ার চেষ্টা হয়। কিন্তু তা করা সম্ভব হয়নি। রাজেন্দ্রপ্রসাদবাবু বলেন, “অবিলম্বে দোকানগুলি না তুলে দিলে সেতুর স্থায়িত্ব বিপন্ন হবে। সেতুর কথা রাজ্য পূর্ত দফতরকে জানানো হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই বিশেষজ্ঞরা সেতুটির অবস্থা খতিয়ে দেখতে আসবেন। তাঁদের সুপারিশ মতো সেতুটি সারানো হবে।”
জঙ্গিপুর পুরসভার পুরপ্রধান মোজাহারুল হোসেন অবশ্য বলেন , ‘‘রঘুনাথগঞ্জ-লালগোলার মতো গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় এই সেতুতে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করলে মানুষ অসুবিধায় পড়বেন। সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও যান নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। এটা পূর্ত দফতরকে বুঝতে হবে।’’ মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও বলেন, ‘‘সেতুর ক্ষতি হয় এমন কোনও অবৈধ নির্মাণ সেতুর নিচে থাকতে দেওয়া হবে না। পূর্ত দফতরের সঙ্গে কথা বলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত সাহা বলেন, ‘‘পুলিশ, প্রশাসন ও পূর্ত দফতরের সঙ্গে কথা বলে সেতুটির রক্ষণাবেক্ষণের কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় দেখা হচ্ছে।” |