|
|
|
|
যুব আধিকারিক মাত্র ৮, সমস্যা ছাত্র-যুব উৎসবে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
থাকার কথা ৩০, কিন্তু আছেন মাত্র ৮ জন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অধিকাংশ ব্লকেই যুব কল্যাণ আধিকারিকের পদ ফাঁকা পড়ে। ফলে এক জন যুব আধিকারিককেই একাধিক ব্লকের দায়িত্ব সামলাতে হচ্ছে। রাজ্যের যুব কল্যাণ দফতরের উদ্যোগে ছাত্র-যুব উৎসব শুরু হতেও আর বেশি দিন বাকি নেই। এই অবস্থায় অধিকাংশ যুব আধিকারিকের পদ শূন্য থাকায় ওই উৎসবের প্রস্তুতি নিয়েও সমস্যা বাড়ছে। জেলা যুব আধিকারিক অসীম পাল বলেন, “জেলায় বিভিন্ন ব্লকে যুব আধিকারিকের পদ শূন্য থাকায় কাজে কিছুটা অসুবিধা হচ্ছে। তবে যে সব ব্লকে বর্তমানে যুব আধিকারিক রয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেককে আরও কিছু ব্লকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। জেলার প্রতিটি ব্লক, পুরসভা ও জেলা স্তরে ‘বিবেক চেতনা উৎসব’ পালন করতে সব রকম প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।”
যুব কল্যাণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রাম ও শহর এলাকার ছাত্র-ছাত্রী ও যুবক-যুবতীদের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক চর্চার জন্য উৎসাহ দিতে প্রতিটি ব্লক ও পুরসভায় রয়েছে যুব কল্যাণ দফতর। এর জন্য প্রতিটি ব্লক ও পুরসভায় যুব আধিকারিক পদও রয়েছে। ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক চর্চার সঙ্গে যুক্ত এলাকার বিভিন্ন ক্লাব ও সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করা ও তাঁদের সরকারি ভাবে বিভিন্ন ক্রীড়া সরঞ্জাম দেওয়ার কাজ করে থাকেন যুব আধিকারিকরা। এছাড়া ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন-সহ বিভিন্ন কাজে সাহায্যও করে থাকেন তাঁরা। যুব কল্যাণ দফতরের বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ণেও এইসব আধিকারিকদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু গত কয়েক বছরে জেলার বিভিন্ন ব্লকের যুব আধিকারিকের পদগুলি পূরণ না হওয়ায় সমস্যা বাড়ছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার ২৫টি ব্লক ও ৫টি পুরসভা এলাকায় মোট ৩০ জন যুব আধিকারিক থাকার কথা। কিন্তু জেলায় ব্লক যুব আধিকারিক রয়েছেন মাত্র ৮ জন। ফলে জেলার অধিকাংশ ব্লকেই যুব আধিকারিকের পদ শূন্য পড়ে রয়েছে। জেলার একজন ব্লক যুব আধিকারিককে গড়ে প্রায় ৪টি ব্লকের দায়িত্ব সামলাতে হচ্ছে।
এদিকে, জেলায় ব্লক ও পুরসভা স্তরে আগামী ১৫-২৩ ডিসেম্বর ছাত্র-যুব উৎসব পালন করার দিন নির্দিষ্ট করেছে রাজ্য যুব কল্যাণ দফতর। স্বামী বিবেকানন্দের জন্মের সার্ধ শতবর্ষ উপলক্ষে এবছর এই উৎসবের নামকরণ করা হয়েছে ‘বিবেক চেতনা উৎসব’। এই উৎসব উপলক্ষে ব্লক ও পুরসভা স্তরে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। ব্লক ও পুরসভার পর জেলা স্তরের প্রতিযোগিতা আগামী বছরের ৫-৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। আর চূড়ান্ত পর্যায়ে রাজ্য স্তরের প্রতিযোগিতা হবে আগামী বছরের ১৫-১৭ জানুয়ারি কলকাতার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে। কিন্তু জেলার অধিকাংশ ব্লকে যুব আধিকারিকের পদ শূন্য থাকায় ব্লক ও পুরসভা স্তরে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে যুব কল্যাণ দফতর। এক-একজন যুব আধিকারিককে একাধিক ব্লকের উৎসব আয়োজনের দায়িত্ব পালন করতে হওয়ায় সমস্যা বাড়ছে বলেও অভিযোগ।
জেলা পরিষদের শিক্ষা-সংস্কৃতি-ক্রীড়া দফতরের কর্মাধ্যক্ষ মামুদ হোসেন বলেন, “রাজ্য যুব কল্যাণ দফতরের উদ্যোগে প্রতি বছর ব্লক ও জেলাস্তরে ছাত্র-যুব উৎসব পালন করা হয়। এজন্য এলাকার বিভিন্ন ক্লাব ও সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করা-সহ ওই উৎসবের আয়োজনের ক্ষেত্রে যুব আধিকারিকরা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে থাকেন। কিন্তু জেলার অধিকাংশ ব্লকে ও পুরসভায় যুব আধিকারিক না থাকায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। ব্লক যুব আধিকারিকের শূন্য পদগুলি দ্রুত পূরণের আর্জি জানিয়ে রাজ্যের যুব কল্যাণ দফতরের মন্ত্রীকে ইতিমধ্যে চিঠি দিয়েছি।”
প্রশিক্ষণ শিবির। মৎস্য চাষের বিভিন্ন দিক নিয়ে চাষিদের সচেতন করতে প্রশিক্ষণ শিবির শুরু হল। মঙ্গলবার রামনগর-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাকক্ষে এই শিবিরের উদ্বোধন করেন ব্লকের বিডিও তমোজিৎ চক্রবর্তী। সাত দিন ব্যাপী এই শিবির ব্লকের ১২০ জন মৎস চাষি অংশগ্রহণ করছেন। উপস্থিত ছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নিতাই সার, মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ মুসলেমা বিবি প্রমুখ। |
|
|
|
|
|