সময়মতো কাজ শেষ হওয়া নিয়ে এমনিতেই আশঙ্কা রয়েছে ব্রাজিলের একাধিক স্টেডিয়ামে। তার উপর আবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করার দাবিতে ধর্মঘট ডাকায় প্রবল সমস্যার মুখে ব্রাজিলের মানায়ুস স্টেডিয়াম। ১৫ জুন ইংল্যান্ড-ইতালি ম্যাচ ছাড়াও আরও তিনটি বিশ্বকাপের ম্যাচ হওয়ার কথা এখানে। আমাজন লাগোয়া এই স্টেডিয়ামে শনিবার এক নির্মাণ কর্মী কেবল ছিঁড়ে নীচে পড়ে যাওয়ায় মৃত্যু হয়। সে দিনই আর এক কর্মী মারা যান হৃদরোগে। তাঁর পরিবারের অভিযোগ অত্যধিক কাজের চাপই তাঁর মৃত্যুর কারণ। এই ঘটনার পরই ওই স্টেডিয়ামের নির্মাণ কর্মীদের সংস্থা ধর্মঘট ডাকে। এক কর্মীর দাবি, “স্টেডিয়ামে নিরাপত্তা বলে কিছু নেই। টানা প্রবল চাপ সামলাতে হচ্ছে। বছর শেষের আগেই সব কাজ শেষ করার তাড়াহুড়োয় আমাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে।”
এর মধ্যে আবার আদালত মানায়ুস স্টেডিয়ামের ছাদে নির্মাণের উপর স্থগিতাদেশ জারি করায় পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে উঠেছে। স্টেডিয়ামের নির্মাণ সংস্থা ‘আন্দ্রাদে গুইতারেজ’ যতক্ষণ না নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত হওয়ার রিপোর্ট দিচ্ছে ততক্ষণ স্থগিতাদেশ বজায় থাকবে বলে জানানোর পাশাপাশি বড় আর্থিক জরিমানা করার ব্যাপারেও সতর্ক করা হয়েছে ওই নির্মাণ সংস্থাকে।
মানায়ুস স্টেডিয়ামে এখন পর্যন্ত মৃত তিন কর্মীকে নিয়ে ব্রাজিলে মোট পাঁচ নির্মাণ কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে গত কয়েক সপ্তাহে কাজ শেষ করার তাড়ায়। গত মাসে কোরিন্থিয়ান্স এরিনায় একটি ক্রেন ভেঙে পড়ায় দু’জনের মৃত্যু হয়েছিল। এই স্টেডিয়ামেই ব্রাজিল বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ হওয়ার কথা। সরকারি ভাবে জানানো হয়েছে আগামী বছর এপ্রিলের আগে এই স্টেডিয়ামে কাজ শেষ হওয়ার সম্ভাবনা কম।
মানায়ুস স্টেডিয়ামের অবস্থা আরও খারপ। কেউই জানে না কখন আবার কাজ শুরু হবে। অনেকে মনে করছেন বিশ্বখ্যাত বর্ষাবন সংলগ্ন শহরের বাস্কেটের আকারের স্টেডিয়ামে আবার কাজ শুরু হতে চলতি মাস গড়িয়ে যাবে। |