অ্যাসেজ জয়ের আনন্দে ইংরেজ ক্রিকেটারদের বিয়ার খেয়ে ঐতিহাসিক ওভালের পিচে প্রস্রাব করার ঘটনার কথা এখনও সম্ভবত ভোলেননি কেউ। মঙ্গলবার অ্যাসেজ পুণরুদ্ধার করে মাইকেল ক্লার্ক ও তাঁর সতীর্থরাও ওয়াকার পিচে জড়ো হলেন। তবে পিটারসেনদের মতো কোনও কোনও কাণ্ড ঘটানোর জন্য নয়। বরং পিচের উপর দাঁড়িয়ে, একে অন্যের কাঁধে হাত রেখে ‘টিম-সং’ গাইলেন অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটাররা।
মঙ্গলবার পারথে টেস্ট জিতে অ্যাসেজ জয়ের পর বিয়ারের বোতল অজিদের হাতেও ছিল। ছ’ বছর পর প্রথম অ্যাসেজ জেতার আনন্দে তাঁরা একে অপরকে অভিনন্দন জানান, জড়িয়ে ধরেন, লাফালাফিও করেন। বাকিটুকু ড্রেসিংরুমের বন্ধ দরজার ওপারে। ইংরেজদের মতো মাঠের মাঝখানে বাইশ গজের জমি ভাসিয়ে নয়।
মিচেল জনসনের শর্ট বল যখন জেমস অ্যান্ডারসনের ব্যাট হয়ে সোজা জর্জ বেইলির হাতে গেল, বদলা নেওয়া হয়ে গেল মাইকেল ক্লার্কের। জবাব দেওয়া হয়ে গেল, ইয়ান বোথাম থেকে শুরু করে সেই সব ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের যাঁরা সিরিজ শুরুর আগে বলেছিলেন, ইংল্যান্ড জিতবে ৫-০। |
পাঁচশোরও বেশি রানের টার্গেট নিয়ে নামা ইংল্যান্ড আগের দিন ২৫১ তুলে ফেললেও পাঁচ উইকেট হারায়। এ দিন জনসনরা বাকি পাঁচ ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে দেন ইংল্যান্ডকে ৩৫৩-য় পৌঁছতে দেওয়ার মধ্যেই। সকালে স্টোকস (১২০), প্রায়ররা (২৬) ফেরার পর থেকেই বার্মি আর্মি-র গলায় দুঃখের গান। ৫৭ রানে শেষ চার উইকেট ফেলে দিয়ে দেড়শো রানে ব্রিসবেন টেস্ট জয়ের মুহূর্তে মিচেল জনসনের চোখে জল। তিনিই যে এই সিরিজে দু’দলের তফাতটা গড়ে দিলেন। ক্রিসমাসের আগেই যে সিরিজ জয়ের স্বস্তি চলে আসবে অস্ট্রেলিয়া শিবিরে, তা একবারও ভাবেননি, সেটা সাংবাদিকদের সামনে স্বীকার করে নিলেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক। মাঠে দাঁড়িয়ে বলে গেলেন, “এখন কুকদের মনে যে ঝড় চলছে, সে রকম ঝড় কয়েক মাস আগে আমাদের মনেও চলছিল। এতদিনে সেই দুঃখ ভুলতে পারলাম। মিচ-কে অজস্র ধন্যবাদ দিতেই হবে। কিন্তু এটাও ঠিক যে, এটা গোটা দলের জয়।”
কিছুক্ষণ পরেই প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবটের বার্তা এসে পৌঁছল, “তোমাদের এই সাফল্যে দেশে অনেক আগে থেকেই ক্রিসমাস শুরু হয়ে গিয়েছে।” গ্লেন ম্যাকগ্রা টুইট করলেন, “কী দারুণ ব্যাপার!!!” শেন ওয়ার্নের প্রতিক্রিয়া, “অভিনন্দন। সাফল্য উপভোগ করো।” ম্যাকগ্রা ফাউন্ডেশন আবার টুইটারে বার্তা পাঠাল, “এ বার হোয়াইট ওয়াশ ক্রিসমাস চাই। এর আগে আমরা যেমন করতাম।” |
ক্যাঙারুর দেশে যখন বাঁধভাঙা উল্লাস, তখন ইংল্যান্ডের ক্রিকেট মহলে উঠে পড়েছে দলের সিনিয়রদের ছাঁটাইয়ের দাবি। বিশেষ করে কেভিন পিটারসেনকে নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে বিতর্ক। স্পষ্টবক্তা স্যর জিওফ্রে বয়কট পিটারসেনকে ‘স্বার্থপর’ আখ্যা দিয়ে তাঁকে বিশ্রাম দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেন, “ওর খেলার মধ্যে নিয়ন্ত্রণ, শৃঙ্খলা কিছুই নেই। কোচ, ব্যাটিং কোচরা ওকে যা বলে, তার কিছুই শোনে না। যতটা স্বার্থপর হওয়া যায়, ও ততটাই হচ্ছে। কোচদের কি কেপি-কে কিছু বলার কোনও ক্ষমতাই নেই?” অন্যদিকে নাসের হুসেন আবার বয়কটের এই বক্তব্য মানতে রাজি নন। তাঁর কথা, “আমি সিনিয়রদের হয়ে কথা বলছি না। কিন্তু কেপি বা সোয়ানকে বাদ দিয়ে কি ইংল্যান্ড দলটা ভাল হবে? আমার তো মনে হয় পিটারসেন এখনও অস্ট্রেলিয়ার কাছে দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠতে পারে। কুক সম্পর্কেও একই কথা বলব।”
|
বেসবলে ওয়ার্নার |
মাকির্ন যুক্তরাষ্ট্রে বেসবল খেলতে যাবেন ডেভিড ওয়ার্নার? তেমনই পরিকল্পনা তাঁর। ওয়ার্নারের সাম্প্রতিক ফর্মের পর সে দেশ থেকে একাধিক বেসবল খেলার অফার এসেছে। তাই সেখানে ট্রায়ালও দিতে যাচ্ছেন ওয়ার্নার। সব ঠিকঠাক হলে ২০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি চুক্তিতে সই করতে পারেন এই অজি ব্যাটসম্যান। |
|