|
|
|
|
সবংয়ে আঁতাত তৃণমূল-সিপিএমে, সভায় সরব মানস |
নিজস্ব সংবাদদাতা • সবং |
গ্রাম সংসদ সভাকে কেন্দ্র করে কংগ্রেস-তৃণমূল হাতাহাতির পরে মঙ্গলবার সবংয়ে এলেন স্থানীয় কংগ্রেস বিধায়ক মানস ভুঁইয়া। এ দিন দুপুরে বিষ্ণুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মুরারিচক গ্রাম পরিদর্শনে যান তিনি। গত রবিবার এই এলাকাতেই তৃণমূল ও কংগ্রেসের সংঘর্ষ হয়। গ্রামের বুথ কংগ্রেস সভাপতি হরিপদ ধাড়া ও তাঁর ভাই রাধানাথ ধাড়ার বাড়িতে ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। এ দিন তার প্রতিবাদে মিছিল ও পথসভায় যোগ দেন মানসবাবু। তিনি বলেন, “রাজ্যে কংগ্রেস ভাঙানোর যে মরিয়া চেষ্টা তৃণমূল চালাচ্ছে, তাতে গণতন্ত্র বিপন্ন হবে।” এ দিন মানসবাবুর সঙ্গে মুরারিচকে যান ব্লক কংগ্রেস সভাপতি অমল পণ্ডা ও জেলা পরিষদ সদস্য বিকাশ ভুঁইয়া। ওই গ্রাম পঞ্চায়েতটি তৃণমূলের দখলে থাকলেও সংশ্লিষ্ট বুথটি কংগ্রেসের দখলে রয়েছে। প্রথমে গ্রামে মিছিল হয়। তারপর মানসবাবু যান আক্রান্ত দুই নেতার বাড়িতে। মানসবাবুর অভিযোগ, ১৯৮২সালেও হরিপদ ধাড়ার বাড়িতে হামলা করেছিল সিপিএম। এ বার তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান গুরুপদ মান্না, তপন ওঝাদের নেতৃত্বে হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ। |
 |
মুরারিচকের বেহাল নলকূপ দেখছেন বিধায়ক মানস ভুঁইয়া। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল। |
এ দিন গ্রামবাসীদের সঙ্গে এলাকার সমস্যা নিয়েও কথা বলেন সবংয়ের বিধায়ক। গ্রামবাসীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে টিউবওয়েল বিকল। স্থানীয় বাসিন্দা জবা ধাড়া, সঞ্জীব সাঁতরা, ভবানী ধাড়ারা বলেন, “দু’বছর ধরে টিউবওয়েলটি খারাপ হয়ে রয়েছে। অথচ ৪০টি পরিবার এর উপর নির্ভরশীল। বাধ্য হয়ে আধ কিলোমিটার হেঁটে জল আনতে হচ্ছে।” মানসবাবু জানান, টিউবওয়েল মেরামত বিধায়ক তহবিলের টাকায় হলেও কাজের দায়িত্ব গ্রাম পঞ্চায়েতের। ব্লক কংগ্রেস সভাপতিকে বিডিওর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলতে বলেন তিনি।
এ দিন হরিপদ ধারার বাড়ির সামনে পথসভার আয়োজন করেছিল কংগ্রেস। সবংয়ে কংগ্রেস-তৃণমূল আঁতাতের অভিযোগ করে মানসবাবু বলেন, “দিদি সারা বাংলায় বলছেন সিপিএম হটাও। কিন্তু এখানে সিপিএমের সঙ্গে বন্ধুত্ব করছে তৃণমূল। ১৯৮২ সালে হরিপদ ধাড়ার বাবা গুরুপদ ধাড়ার উপর সিপিএমের নেতৃত্বে আক্রমণ চালিয়েছিল তপন ওঝার বাবা স্বপন ওঝা। আমি ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট কালই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠাব। মুখ্যমন্ত্রীকে বলব, স্থানীয় অফিসার নয়, উচ্চপদস্থ অফিসারদের দিয়ে ঘটনার তদন্ত করতে হবে।”
রাজ্যের নানা প্রান্তে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে নাম লেখানোর যে হিড়িক চলছে, তা গণতন্ত্র বিরোধী বলে জানান মানসবাবু। তাঁর কথায়, “তৃণমূল যে দলবদলের রাজনীতি করছে তা সংসদীয় গণতন্ত্রের বিরোধী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাবছেন, রাজ্যে বিরোধী থাকবে না। আড়াই বছরে মমতাকে দেখে মনে হচ্ছে স্বৈরতন্ত্রই তাঁর রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে।” |
|
|
 |
|
|