|
|
|
|
জেলা কংগ্রেসে নতুন সভাপতি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
সামনে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কংগ্রেসের সর্বোচ্চ পদে রদবদল হল। স্বপন দুবেকে অব্যাহতি দিয়ে জেলা কংগ্রেসের সভাপতি করা হল বিকাশ ভুঁইয়াকে। আর প্রস্তাবিত ঝাড়গ্রাম জেলার জন্য দলের সভাপতি করা হয়েছে নিখিল মাইতিকে। বিকাশবাবু জেলা কংগ্রেসের সহ-সম্পাদক ছিলেন। আর নিখিলবাবু ছিলেন জেলা কংগ্রেসের সহ-সভাপতি। সোমবার কংগ্রেস হাইকমান্ড এই রদবদল করেন। রাতে খবর পৌঁছয় জেলায়। জেলা কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি পাওয়ার পরে স্বপনবাবু বলেন, “দলের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। দায়িত্ব নিয়ে সংগঠন বাড়ানোর সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি।” স্বপনবাবু প্রদেশ কংগ্রেসের সদস্য। সঙ্গে এআইসিসি’র সদস্যপদও রয়েছে তাঁর। নতুন জেলা সভাপতি বিকাশবাবুর বক্তব্য, “দল গুরুদায়িত্ব দিয়েছে। যথাযথ ভাবে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করব।”
বিকাশ ভুঁইয়া।
নিজস্ব চিত্র।
|
পশ্চিম মেদিনীপুরে কংগ্রেসের সংগঠন তেমন শক্তপোক্ত নয়। বিস্তীর্ণ এলাকায় দলের হাল ধরার লোক নেই। কর্মী-সমর্থক নামমাত্র। তুলনায় খড়্গপুর, ঘাটাল, মেদিনীপুরের মতো শহর এবং সবংয়ের মতো কয়েকটি ব্লকে কংগ্রেসের অবস্থা ভাল। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে যেখানে জেলার একটি পঞ্চায়েত সমিতিও দখল করতে পারেনি সিপিএম, সেখানে সবং পঞ্চায়েত সমিতি কংগ্রেসের দখলে এসেছে। কিছু দিন আগে খড়্গপুর পুরসভাও একক ভাবে দখল করে কংগ্রেস। কিছু দিন আগে পর্যন্ত ঘাটাল এবং মেদিনীপুর পুরসভাও তৃণমূলের সঙ্গে যৌথ ভাবে কংগ্রেসের দখলে ছিল। এই মুহূর্তে অবশ্য দু’টি পুরসভাই তৃণমূলের দখলে রয়েছে। তবে কংগ্রেস অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যায়নি। সদ্যসমাপ্ত মেদিনীপুর পুর-নির্বাচনে কংগ্রেসের ফল আগের থেকে ভাল হয়েছে। ২০০৮ সালের ভোটে কংগ্রেস যেখানে ৪টি আসন পেয়েছিল, এ বার সেখানে তারা ৬টি আসন পেয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে লোকসভা নির্বাচনের আগে দলীয় সংগঠনকে ঢেলে সাজতে জেলা সভাপতি পদে রদবদল করা হল বলে কংগ্রেস সূত্রের খবর। জঙ্গলমহলকেও বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তাই প্রস্তাবিত ঝাড়গ্রাম জেলার জন্য নতুন সভাপতির নাম ঘোষণা করা হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরকে ভেঙে নতুন ঝাড়গ্রাম জেলা গঠন করার পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্য সরকারের। ইতিমধ্যে খসড়া পরিকল্পনা তৈরি হয়েছে। তবে, এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। অবশ্য এই প্রথম নয়, আগে বিজেপিও সাংগঠনিক ভাবে ঝাড়গ্রাম জেলাকে ভেঙে দিয়েছে।
গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে, ২০১০ সালের মাঝামাঝি জেলা কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছিলেন স্বপন দুবে। ১৯৬৭ সালে নারায়ণগড় ব্লক যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সক্রিয় রাজনীতিতে তাঁর হাতেখড়ি। পরে জেলা যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন। স্বপনবাবুর আগে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন নির্মল ঘোষ। পরে তিনি তৃণমূলে নাম লেখান। এ দিকে, নতুন জেলা সভাপতি বিকাশ ভুঁইয়া জেলা পরিষদের সদস্য। তিনি সবংয়ের কংগ্রেস বিধায়ক মানস ভুঁইয়ার ভাই। নতুন সভাপতি জানান, তিনি ব্লকস্তরে সংগঠন বৃদ্ধিতে জোর দেবেন। |
|
|
|
|
|