লটারিতে না পেলে ভর্তির
দায় শিক্ষা দফতরের
ঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য লটারি এখন বাধ্যতামূলক। কিন্তু, লটারিতে নাম না উঠলে কী হবে?
প্রতি বছরই পঞ্চম শ্রেণিতে ছেলে-মেয়েদের ভর্তি নিয়ে উদ্বেগে থাকেন বহু অভিভাবক। পরিস্থিতি দেখে আগাম পদক্ষেপ শুরু করল শিক্ষা দফতর। দফতরের আশ্বাস, কোনও পড়ুয়া যদি কোনও স্কুলেই পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির সুযোগ না-পায়, তা হলে তার ভর্তির ব্যবস্থা করা হবে। এ ক্ষেত্রে উদ্যোগী হবে দফতরই। যে সব ছাত্রছাত্রী কোনও স্কুলেই ভর্তির সুযোগ পাবে না, ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে তাদের লিখিত ভাবে আবেদন করতে হবে দফতরে। আবেদন খতিয়ে দেখে চতুর্থ শ্রেণি উত্তীর্ণদের পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির ব্যবস্থা করবে শিক্ষা দফতর। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) সঙ্ঘমিত্র মাকুড়ের আশ্বাস, “চতুর্থ শ্রেণি উত্তীর্ণ সব ছাত্রছাত্রীই পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির সুযোগ পাবে। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।”
মেদিনীপুর শহরের স্কুলগুলিতে ছাত্রভর্তির দিনও নির্দিষ্ট করে দিয়েছে শিক্ষা দফতর। সম্প্রতি এ নিয়ে জেলা শিক্ষা দফতরে এক বৈঠক হয়। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের (মাধ্যমিক) পাশাপাশি শহরের বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষক সেখানে উপস্থিত ছিলেন। সমস্ত স্কুলকেই জানানো হয়, ১৯ থেকে ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি করাতে হবে। তার আগে লটারি হতে পারে। অসুবিধে নেই। বৈঠকের পর একটি স্কুল লটারির দিন পরিবর্তন করেছে। মেদিনীপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাভবনের পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য লটারি হওয়ার কথা ছিল ২৭ ডিসেম্বর। পরিবর্তে তা ১৭ ডিসেম্বর হবে। ইতিমধ্যে পরিবর্তিত সূচির বিজ্ঞপ্তিও বেরিয়েছে।
শিক্ষা দফতর মনে করছে, ১৯ থেকে ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে শহরের সমস্ত স্কুলে ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হলে ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহেই জানা যাবে, কোন স্কুলের কী পরিস্থিতি। আগামী বছরের গোড়া থেকে নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হবে। রাজ্য সরকারের নির্দেশ রয়েছে, লটারির মাধমেই ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি করাতে হবে। আবার যে সব স্কুলে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিভাগ একই ক্যাম্পাসে রয়েছে, সেখানে চতুর্থ শ্রেণি উত্তীর্ণদের সরাসরি পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি নিতে হবে। এরপর যে সংখ্যক আসন খালি থাকবে, তার জন্য লটারি হবে। পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি নিয়ে সমস্যা মূলত মেদিনীপুর শহরেই দেখা দেয়। কারণ, শহরে বহু বেসরকারি প্রাথমিক স্কুল রয়েছে। ফলে, শহরের স্কুলগুলোতে পঞ্চম শ্রেণির আসন সংখ্যা যত রয়েছে, চতুর্থ শ্রেণি উত্তীর্ণের সংখ্যা হয় তার থেকে বেশি। জানা গিয়েছে, চলতি মাসের কোন দিন আবেদনপত্র দেওয়া হবে, কবে জমা নেওয়া হবে, খুব শীঘ্রই তা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দেবে জেলা শিক্ষা দফতর। বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে দফতরের নোটিস বোর্ডে।
গত বছরও ভর্তি নিয়ে সমস্যা হয়েছিল। পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি হতে না পেরে ৩৯৮ জন ছাত্রছাত্রী জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের (মাধ্যমিক) দফতরে আবেদন করে। আবেদনপত্র জমা পড়ার পর তা খতিয়ে দেখা হয়। পরে তালিকা থেকে ৬২ জন ছাত্রছাত্রীর নাম বাদ পড়ে।
কেন? দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “ওই ৬২ জন কোনও না-কোনও স্কুলে ভর্তি হয়েছিল। অথচ, সেই স্কুল তাদের পছন্দ নয় বলে ফের আবেদন করেছে। এটা হবে না।” ওই আধিকারিকের কথায়, “যারা সরাসরি কিংবা লটারির মাধ্যমে কোনও স্কুলে ভর্তির সুযোগ পাবে না, আবেদন করলে শুধুমাত্র তাদেরই কোনও না কোনও স্কুলে ভর্তির ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। যেমন গত বছর ৩৩৬ জন পড়ুয়াকে কোনও না-কোনও স্কুলে ভর্তির ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছিল।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.